নিয়াজ আহমদ চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিয়াজ আহমদ চৌধুরী
نیاز احمد چوہدری
জন্ম(১৯৪৯-১২-১৫)১৫ ডিসেম্বর ১৯৪৯
জাতীয়তাপাকিস্তানি
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রহর্টিকালচার
প্রতিষ্ঠানসমূহপাকিস্তান সরকার

নিয়াজ আহমদ চৌধুরী ১৯৪৯ সালে জেলা ঝাঙ্গ (পাঞ্জাব, পাকিস্তান) জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে উদ্যানতত্ত্ব ক্ষেত্রে তিনি এম.এস.সি. (অনার্স) করেছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিন বছর চাকরি করার পরে তিনি ১৯৭৬ সালে পাঞ্জাবের কৃষিক্ষেত্রে উদ্যানতত্ত্ব গ্রুপে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি গবেষণা কেন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিভিন্ন ফল ফসল যেমন আম, খেজুর, সাইট্রাস ইত্যাদির উপর গবেষণা পরিচালনা করেন। তাঁর গবেষণা চলাকালীন গবেষণাটি নামী গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।

কৃতিত্ব[সম্পাদনা]

নিয়াজ আহমদ চৌধুরী, বিভিন্ন ফলের ফসলের উপর গবেষণা পরিচালনা করেছেন। সাইট্রাস গবেষণায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ব্যয় করেছেন। প্রধান অবদানের মধ্যে রয়েছে:[১]

  • পরাগায়নের একটি নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করে এবং একটি হ্যান্ড ডেট পরাগরেণকের উদ্ভাবন করে। এর জন্য তাঁকে গভর্নর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
  • আঙুর, মান্ডারিন এবং মিষ্টি কমলা জাতীয় নতুন সাইট্রাস প্রবর্তিত।
  • মুসাম্বিতে কুঁড়ি ইউনিয়ন ক্রিজে উত্তরণের জন্য একটি নতুন গ্রাফটিং কৌশল যেমন ডাবল গ্রাফটিং অর্থাৎ আন্তঃ স্টকের ব্যবহার চালু হয়েছিল।
  • ডিরেক্টর সিআরআই সারগোধায় পোস্ট করার সময় একটি বীজবিহীন কিন্নু মিউট্যান্ট আবিষ্কার করেছেন।
  • নতুন উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র ডিজি খান, গবেষণা উপকেন্দ্র বাহাওয়ালপুর, সিআরএস এবং সিট্রাস গবেষণা ইনস্টিটিউট সরগোধায় প্রতিষ্ঠিত করেন।

তিনি হর্টিকালচার পরিষেবাগুলোর স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৮ সালে নরম্যান বোরলগ পুরস্কার পেয়েছিলেন। অল পাকিস্তান ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সিট্রাস গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বীজবিহীন কিন্নু আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসাবে শংসাপত্র প্রদান করে নামী জার্নালে সাইট্রাস উত্পাদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে ৭৮ টি গবেষণা প্রকাশনা রয়েছে। উদ্যানতত্ত্ববিদ, বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা / প্রকল্প পরিচালক ও পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। [২]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]