শাহাদাত চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Shahadat Chowdhury
শাহাদত চৌধুরী
জন্ম(১৯৪৩-০৭-২৮)২৮ জুলাই ১৯৪৩
মৃত্যু২৯ নভেম্বর ২০০৫(২০০৫-১১-২৯)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাসাংবাদিক, সম্পাদক
পুরস্কারএকুশে পদক –২০০৬

শাহাদাত চৌধুরী (২৮ জুলাই ১৯৪৩-২৯ নভেম্বর ২০০৫) [১] একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক এবং বেশ কয়েকটি নিউজ ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন। [২] ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৭ সালে প্রকাশনা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [৩] তারপরে তিনি সাপ্তাহিক ২০০০ এবং আনন্দধারার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে তাকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক-এ (মরণোত্তর) ভূষিত করেন।[৪][৫]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

আবদুল হক চৌধুরী জাহানারা চৌধুরীর ১২ সন্তানের মধ্যে অন্যতম। [১] চৌধুরী ঢাকা গ্র্যাজুয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পেইন্টিংয়ে স্নাতক পাস করেছেন।

পেশা[সম্পাদনা]

চৌধুরী ১৯৭১ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের শিশু পৃষ্ঠার কচি-কাঁচার আসরের সম্পাদক ছিলেন। [২] তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিশু সাংস্কৃতিক সংগঠন কচি কাঁচার মেলার ভ্রমণকাহিনী লেখক। [৩]

চৌধুরী মিডিয়া ওয়ার্ল্ড গ্রুপ সাপ্তাহিক ২০০০ এর জার্নালের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। [২]

চৌধুরী দুই নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন। [৬] তিনি গেরিলা বাহিনী গঠন করেন ঢাকায়। তিনি কবি সুফিয়া কামালের দু:সাহসী কন্যাকে সীমান্ত পার করতে সহায়তা করেছিলেন[২] যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি লড়াই করেছেন। সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন মুক্তি বাহিনীর সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে । তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম স্থপতিও ছিলেন। [৭]

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে তিনি ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় সহকারী সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৯ ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটির সম্পাদক হন। [১] ১৯৯৮ সালে, তিনি সাপ্তাহিক ২০০০ এবং পাক্ষিক আনন্দধারার সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেছিলেন।

চৌধুরী ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম বিউটি পজেন্ট টেলিভিশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল আনন্দ বিচিত্রা ফটো সুন্দরি। সেই বছর অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি বিজয়ী ছিলেন। [৮]

ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৭৭ সালে, বাংলাদেশের প্রথম মরণোত্তর চক্ষু দাতা, এআরএম ইনামুল হকের একটি চোখ চৌধুরীকে স্থানান্তরিত করেছিলেন। [৯]

চৌধুরী ২৯ শে নভেম্বর ২০০৫ এ মারা যান। [৩] তাঁকে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করা হয়।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Shahadat Chy's 2nd anniversary of death today"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-১১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১ 
  2. Mohammad Amjad Hossain (২০০৫-১২-১০)। "A valiant fighter with gun and pen"। The Daily Star। ২০১৯-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১ 
  3. "Shahadat Chowdhury buried with state honour, people from all strata pay homage"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১ 
  4. "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান" (পিডিএফ)সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ১৬। ২২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ 
  5. "একুশে পদক: ২০০৬ সাল"বই বাজার। ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ 
  6. "Good-bye, Mahfuz Ullah bhai, your history has ended"। New Age। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১ 
  7. "Shahadat Chy's first death anniversary today"The Daily Star। ২০০৬-১১-২৯। ২০১৯-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১ 
  8. "From runways to reels"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১ 
  9. "41st death anniversary of ARM Inamul Haq" (ইংরেজি ভাষায়)। Bangla Tribune। ২০১৮-১১-১১। ২০১৯-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১