পাড থার্লো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাড থার্লো
আনুমানিক ১৯৩২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে পাড থার্লো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামহিউ মটলে থার্লো
জন্ম(১৯০৩-০১-১০)১০ জানুয়ারি ১৯০৩
টাউন্সভিল, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু৩ ডিসেম্বর ১৯৭৫(1975-12-03) (বয়স ৭২)
রোজালি, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ১৪১)
২৯ জানুয়ারি ১৯৩২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৮ - ১৯৩৪কুইন্সল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩১
রানের সংখ্যা ২০২
ব্যাটিং গড় ০.০০ ৫.৩১
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৩
বল করেছে ২৩৪ ৬৬০৮
উইকেট ৮০
বোলিং গড় ৪২.৮৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ০/৩৩ ৬/৫৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ১০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

হিউ মটলে পাড থার্লো (ইংরেজি: Pud Thurlow; জন্ম: ১০ জানুয়ারি, ১৯০৩ - মৃত্যু: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭৫) কুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। [১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন পাড থার্লো

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৩৪-৩৫ মৌসুম পর্যন্ত পাড থার্লো’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডিসেম্বর, ১৯২৯ সালে কুইন্সল্যান্ডের সদস্যরূপে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৬/৬০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে সকলের পাদপ্রদীপে চলে আসেন। এ পর্যায়ে তিনি বিল উডফুলের আঙ্গুলে ভেঙে ফেলেন ও মৌসুমের বাদ-বাকি সময়ে মাঠের বাইরের অবস্থান করতে বাধ্য করেন। এরপর থেকে কয়েক মৌসুমে রাজ্য দলের পক্ষে কার্যকর ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পাড থার্লো। ২৯ জানুয়ারি, ১৯৩২ তারিখে অ্যাডিলেডে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে বিল ও’রিলি’র সাথে তার একযোগে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৩১-৩২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। অ্যাডিলেডে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে পাড থার্লোকে অস্ট্রেলীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐ টেস্টে তিনি না কোন উইকেট, না কোন ক্যাচ কিংবা না কোন রান পেয়েছেন। খেলায় স্বাগতিক দল জয়লাভসহ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় করলেও তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর রাখা হয়নি। উভয় ইনিংসেই তিনি বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। তবে, খেলায় ৮৬ রান খরচ করলেও কোন উইকেটের সন্ধানে পাননি তিনি। স্পিন বান্ধব পিচে ক্ল্যারি গ্রিমেট ও বিল ও’রিলি’র ১৮ উইকেট ভাগাভাগি করে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ফেলতে পারেননি। একবারই ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে, শূন্য রানে রান আউটের মাধ্যমে বিদেয় নিতে হয় তাকে। ফলশ্রুতিতে ডন ব্র্যাডম্যানকে ২৯৯ রানে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।[২][৩]

দলের সংগ্রহ ৪৯৯/৯ থাকা অবস্থায় ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। ঐ সময় ডন ব্র্যাডম্যান ২৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরপর, ব্র্যাডম্যান দ্রুত নিজেকে মেলে ধরেন ও ২৯৮-এ নিয়ে যান। সিরিল ভিনসেন্টের ওভারের শেষ বলে লেগ সাইডে স্ট্রোক মেরে সিড কার্নো’র দিকে মেরে এক রান নেন। দ্বিতীয় রানের জন্যে ঘুরে দাঁড়াতেই তিনি দেখতে পান থার্লো এ প্রান্তের দিকে চলে আসতে শুরু করেছেন। তিনি থার্লোকে ফেরৎ পাঠালেও কার্নো’র লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন ও উইকেট ভেঙ্গে যায়।[৪]

৩ ডিসেম্বর, ১৯০৩ তারিখে ৭২ বছর বয়সে কুইন্সল্যান্ডের রোজালি এলাকায় পাড থার্লো’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Player Profile, Cricinfo, Retrieved on 23 April 2009
  2. [১]
  3. "Trumper's solo onslaught"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "South Africa v Australia – statistical anomalies, SA v Aus, stats"icc-cricket.com। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]