প্যাট্রিক ম্যাকশেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্যাট্রিক ম্যাকশেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপ্যাট্রিক জর্জ ম্যাকশেন
জন্ম১৮ এপ্রিল, ১৮৫৮
কেইলর, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১১ ডিসেম্বর, ১৯০৩
কিউই, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪১)
২১ মার্চ ১৮৮৫ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১০ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৮ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৬
রানের সংখ্যা ২৬ ১১১৭
ব্যাটিং গড় ৫.২০ ১৮.৩১
১০০/৫০ ০/০ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ১২* ৮৮
বল করেছে ১০৮
উইকেট ৭২
বোলিং গড় ৪৮.০০ ২৫.৩৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৩৯ ৯/৪৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/০ ২৪/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

প্যাট্রিক জর্জ ম্যাকশেন (ইংরেজি: Patrick McShane; জন্ম: ১৮ এপ্রিল, ১৮৫৮ - মৃত্যু: ১১ ডিসেম্বর, ১৯০৩) ভিক্টোরিয়ার কেইলর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৫ থেকে ১৮৮৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন প্যাট্রিক ম্যাকশেন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৮৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৮৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত প্যাট্রিক ম্যাকশেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৮৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৮৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া বুশর‍্যাঞ্জার্সের সদস্যরূপে ৩৬টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৮.৩১ গড়ে ১১১৭ রান সংগ্রহ করেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ৮৮ রান। বামহাতি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে ২৫.৩৬ গড়ে ৭২ উইকেট সংগ্রহ করেন। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৯/৪৫। এছাড়াও, ফিল্ডার হিসেবে ২৪ ক্যাচ তালুবন্দী করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন প্যাট্রিক ম্যাকশেন। ২১ মার্চ, ১৮৮৫ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৮ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। সবগুলো টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড দল।

১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে আম্পায়ারিত্ব করার পর পরের সপ্তাহে মেলবোর্নে টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। ৯ ও অপরাজিত ১২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরও দুই টেস্টে অংশ নেন। তবে, শেষ তিন ইনিংসে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে প্রত্যাবর্তন করতে হয়েছিল প্যাট্রিক ম্যাকশেনকে ও একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। সবগুলো টেস্টে অংশ নিয়ে ৫.২০ গড়ে মাত্র ২৬ রান তুলেন এবং ৪৮ রান খরচায় একটিমাত্র উইকেট পান।

আম্পায়ার[সম্পাদনা]

১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়ায় পদার্পণ করে। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে আম্পায়ারিত্ব করেন। দূর্লভ কৃতিত্বের সাথে নিজ নামকে জড়িয়ে রেখেছেন প্যাট্রিক ম্যাকশেন। টেস্ট খেলায় অভিজ্ঞতা লাভের পূর্বেই টেস্ট খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সতীর্থ অস্ট্রেলীয় জর্জ কোল্টহার্ডের সাথে আম্পায়ার হিসেবে অংশগ্রহণের পর টেস্টে অংশ নেয়ার বিরল কৃতিত্বের ভাগীদার হন।[১]

১৪ মার্চ, ১৮৮৫ তারিখ থেকে ১৭ মার্চ, ১৮৮৫ তারিখ পর্যন্ত সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্টে পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ঐ সময়ে জর্জ বোনর ১০০ মিনিটে সেঞ্চুরি করে তৎকালীন দ্রুততম সময়ের রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে আট উইকেটে জয় এনে দিয়েছিলেন। খেলা পরিচালনায় তাকে যোগ্য সহায়তা করেন টেড এলিয়ট

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে দক্ষ ছিলেন। ভিএফএ প্রতিযোগিতায় ফিটজরয় ফুটবল ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন শেষে সেন্ট কিল্ডা ক্লাবের মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতেন। এ সময়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে কিউ মানসিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।[২] ১১ ডিসেম্বর, ১৯০৩ তারিখে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার কিউই এলাকায় প্যাট্রিক ম্যাকশেনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Williams 2000, পৃ. 20।
  2. Haigh, Gideon (২০০৬)। Silent Revolutions: Writings on Cricket History। Black Inc। আইএসবিএন 1-86395-310-8  p.243

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]