সুরেন্দ্রনগর জেলা

স্থানাঙ্ক: ২২°৪৪′ উত্তর ৭১°৩১′ পূর্ব / ২২.৭৩° উত্তর ৭১.৫১° পূর্ব / 22.73; 71.51
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুরেন্দ্রনগর জেলা
জেলা
গুজরাতে সুরেন্দ্রনগর জেলার অবস্থান
গুজরাতে সুরেন্দ্রনগর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৪′ উত্তর ৭১°৩১′ পূর্ব / ২২.৭৩° উত্তর ৭১.৫১° পূর্ব / 22.73; 71.51
দেশ ভারত
রাজ্যগুজরাত
অঞ্চলসৌরাষ্ট্র
সদরসুরেন্দ্রনগর
আয়তন
 • মোট১০,৪৮৯ বর্গকিমি (৪,০৫০ বর্গমাইল)
উচ্চতা৫৪৭ মিটার (১,৭৯৫ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১৭,৫৬,২৬৮
 • জনঘনত্ব১৪৪.৪৫/বর্গকিমি (৩৭৪.১/বর্গমাইল)
ভাষা
 • অফিসিয়ালগুজরাতি, হিন্দি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন৩৬৩০০১
টেলিফোন কোড০২৭৫২
যানবাহন নিবন্ধনGJ 13
লিঙ্গ অনুপাত০.৯২৪ /
সাক্ষরতা৭২.১৩%census of 2011

সুরেন্দ্রনগর হল ভারতের গুজরাত রাজ্যের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের একটি প্রশাসনিক জেলা।[২] এই জেলার জনসংখ্যা প্রায় ১.৭ মিলিয়ন। সুরেন্দ্রনগর শহর এবং তার যমজ শহর ওঁধওয়ান এ মোট ৪,০০,০০০ বাসিন্দা থাকে এবং এটি "শিবির" নামে পরিচিত।

ভারতের গুজরাতের জিনজুওয়াদা গেট

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

পূর্বে উপনিবেশবাদীরা সুরেন্দ্রনগরকে হিল স্টেশন হিসাবে ব্যবহার করতেন, কারণ এখানে শুষ্ক পরিবেশ শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য উপকারী ছিল। সুরেন্দ্রনগরের শুষ্ক বায়ু এখনও গুজরাতের সেরা স্থান বলে মনে করা হয় যা যক্ষ্মা রোগীদের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

এই জেলার রাজধানী সুরেন্দ্রনগর যা পৌরসভার অন্তর্গত এবং ভোগাভো নদী দ্বারা বিভক্ত শহরের উভয় প্রান্তে দুটি বাঁধ দুর্বল রয়েছে। গুজরাতের সুরেন্দ্রনগর শহর থেকে অনেকগুলি পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

ব্যবসা[সম্পাদনা]

মিষ্টান্ন, মৃৎশিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইঞ্জিনিয়ারিং প্লাস্টিক, বিয়ারিংস ও স্পিন্ডলস এবং লবণ উৎপাদনসহ অনেকগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বৃহৎ শিল্প রয়েছে। ওঁধওয়ান শহর হল কৃষি পণ্য, তুলা, লবণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, রাসায়নিক ও প্লাস্টিক, টেক্সটাইল বিয়ারিং, মৃৎশিল্প এবং স্যানিটারি সরঞ্জামের জন্য একটি বড় বাণিজ্য এবং প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র।

প্রাকৃতিক সম্পদ[সম্পাদনা]

ভারতের সুরেন্দ্রনগর অঞ্চল থেকে প্রায় ২৫ শতাংশ লবণ সরবরাহ করা হয়। এইখানে অনেকগুলি মিল আছে তার মধ্যে আগার (লবণ হ্রদ) বিশেষত খড়ঘোদা অঞ্চলে রয়েছে। জিনজুওয়াদা মরুভূমি অঞ্চলে উচ্চমানের লবণ উৎপাদিত হয়।

বস্ত্র[সম্পাদনা]

ভারতের সুরেন্দ্রনগরে তুলা এবং তুলা থেকে দানা আলাদা করা প্রক্রিয়া কেন্দ্র, প্রচুর জিনিং এবং প্রেসিং ইউনিট রয়েছে। শঙ্কর কটন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম উৎপাদক। সুরেন্দ্রনগর কটন অয়েল অ্যান্ড অয়েলসিডস অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড, (ভারত সরকার স্বীকৃত) তুলার জন্য বিশ্ববিখ্যাত ফিউচার ট্রেডিং এক্সচেঞ্জ। ১৯৬৪ সালে ভারতের প্রথম কটন ফিউচার ট্রেডিং এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

সুরেন্দ্রনগর শহরে বিশেষত শাড়ি বাজার, বড় বস্ত্র শিল্প এবং পোশাকের বাজার রয়েছে। জওহর রোড এবং ভিথাল প্রেস রোড এলাকায় শহরের বড় পোশাকের শো-রুম রয়েছে।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সুরেন্দ্রনগর জেলার জনসংখ্যা ১,৭৫৬,২৬৮ জন,[৩] গাম্বিয়া[৪] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা রাজ্যের সমান জনসংখ্যা।[৫] এটি ভারতের ২৭৪তম স্থান (মোট ৬৪০ এর মধ্যে)।[৩] এই জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটার (৪৩০/বর্গ মাইল) এ ১৬৭ জন রয়েছে। ২০০১-২০১১ সালের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১৫.৮৯%।[৩] সুরেন্দ্রনগরে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে ৯২৯ জন মহিলার লিঙ্গ অনুপাত রয়েছে এবং সাক্ষরতার হার ৭৩.১৯%।[৩]

ভারতের ২০১১ সালে আদমশুমারি অনুসারে, ৯৮.৮৪% জনসংখ্যা এই জেলার প্রথম ভাষা গুজরাতি এবং ০.৬৯% হিন্দি ভাষায় কথা বলেন।[৬]

জনসংখ্যার বেশিরভাগই জৈন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জৈন মন্দির শ্রী ভাসুপুজ্যস্বামী ভবন যা ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো। অন্যান্য জনসংখ্যার মধ্যে ব্রহ্মন্, ক্ষত্রিয়, প্যাটেলস, ভঙ্কার পাশাপাশি ভারবদ, রাবারি, লুহার সুথার এবং কানসারা, মোচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

লিম্বদি ৮ নং জাতীয় সড়কের নিকটবর্তী রাজ-রাজেশ্বরী মন্দির অবস্থিত, ওই এলাকায় আবাস্থল, হাসপাতাল এবং স্কুল রয়েছে। এই মন্দিরে ঋষি দ্বারা যোগ ব্যায়াম পরিবেশিত হয়। এই মন্দিরে ভিতরে তিনটি প্রধান ভগবান — ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর র মন্দির রয়েছে। গুজরাতের এই মন্দিরটি একমাত্র স্থাপত্যের জন্য খ্যাতি লাভ করেছে।

ত্রিমন্দির - পরম পূজ্য দাদা ভগবান দ্বারা নির্মিত 'ত্রিমন্দির' নামে পরিচিত ওই মন্দিরে সিমান্ধার স্বামী, শিব স্বরূপ, কৃষ্ণ ভগবান রয়েছে।[৭]

"গঙ্গাভো" নামে বিখ্যাত কুণ্ডটি দেদাডারা গ্রামে অবস্থিত। এটি একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Basic Data Sheet: District muli(08), Gujarat (24)" (PDF)। Census of India। ২০০১। 
  2. https://surendranagardp.gujarat.gov.in/surendranagar/english/index.htm
  3. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  4. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১১Gambia, The 1,797,860 July 2011 est. 
  5. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১Nebraska 1,826,341 
  6. 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
  7. "The Surendranagar Trimandir"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১০