খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ
ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সাংসদ
(পুনর্বিন্যাসের পর আসনটি ঢাকা-১৩)
কাজের মেয়াদ
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – জুন ১৯৯৬
পূর্বসূরীজমির উদ্দিন সরকার
উত্তরসূরীমকবুল হোসেন
কাজের মেয়াদ
২০০১ – ২০০৬
পূর্বসূরীমকবুল হোসেন
উত্তরসূরীসাবের হোসেন চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৭ ডিসেম্বর ১৯২৫
খন্দকার বাড়ি, উত্তর পাড়া, গোপীনাথপুর গ্রাম, গোপালগঞ্জ জেলা
মৃত্যু১ মার্চ ২০১৪(2014-03-01) (বয়স ৮৮)
ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
সন্তানখন্দকার শামসুদ্দিন মাহমুদ (ছেলে)
পিতামাতাখন্দকার শামস্ উদ্দিন আহাম্মাদ (পিতা)

খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ (৭ ডিসেম্বর ১৯২৫-১ মার্চ ২০১৪) আইনজীবী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন রাজনীতিবিদ এবং ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ ৭ ডিসেম্বর ১৯২৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর গ্রামে উত্তর পাড়া খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খন্দকার শামস্ উদ্দিন আহাম্মাদ ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির এমএলএ।[৩][৪]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহবুব দীর্ঘদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে দলীয় কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ থেকে বাদ পড়েন তিনি। এরপর থেকে তাকে দলীয় কোনো কার্যক্রমে আর দেখা যায়নি।[৫]

তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৯ (২০০৮ সাল পুনর্বিন্যাসের পর আসনটি ঢাকা-১৩) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম জাতীয় সংসদদে তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দফা সভাপতি ও সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ।[১][২][৫]

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়ে ছিলেন।[৬]

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তিন মেয়ে এবং এক ছেলের জনক তিনি। মেয়েরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রবাসী এবং একমাত্র ছেলে খন্দকার শামসুদ্দিন মাহমুদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক।[৪]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১ মার্চ ২০১৪ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইউনাইটেড হাসপাতালে খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Khondker Shams Uddin Smrity High School"ksshighschool.edu.bd। ২০১৯-১১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  4. "বরেণ্য আইনজীবী খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমেদের ইন্তিকাল"The Daily Sangram। ২০১৯-১১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  5. "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব আহমাদের জীবনাবসান"www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  6. "খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  7. "কয়েকদফা জানাযা শেষে খন্দকার মাহবুব উদ্দিনের দাফন সম্পিন্ন"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]