মসুলিপত্তনম

স্থানাঙ্ক: ১৬°১০′ উত্তর ৮১°০৮′ পূর্ব / ১৬.১৭° উত্তর ৮১.১৩° পূর্ব / 16.17; 81.13
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মসুলিপত্তনম
মসুলিপত্তনম, মাসুলা, বন্দর
শহর
কোনেরু কেন্দ্র, মসুলিপত্তনমের ব্যবসা কেন্দ্র
কোনেরু কেন্দ্র, মসুলিপত্তনমের ব্যবসা কেন্দ্র
মসুলিপত্তনম অন্ধ্রপ্রদেশ-এ অবস্থিত
মসুলিপত্তনম
মসুলিপত্তনম
মসুলিপত্তনম ভারত-এ অবস্থিত
মসুলিপত্তনম
মসুলিপত্তনম
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৬°১০′ উত্তর ৮১°০৮′ পূর্ব / ১৬.১৭° উত্তর ৮১.১৩° পূর্ব / 16.17; 81.13
দেশভারত
রাজ্যঅন্ধ্রপ্রদেশ
জেলাকৃষ্ণা জেলা
মণ্ডলমসুলিপত্তনম
স্থাপিত১৪শ শতক
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকমসুলিপত্তনম পৌরসভা, মুদা
 • বিধায়কপের্নি ভেঙ্কটরামিয়া (ননি)) (যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টি)
 • পৌর কমিশনারপি জে সম্পথ কুমার
আয়তন[১]
 • মোট২৬.৬৭ বর্গকিমি (১০.৩০ বর্গমাইল)
উচ্চতা১৪ মিটার (৪৬ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[২]
 • মোট১,৬৯,৮৯২
 • জনঘনত্ব৬,৮৭৫/বর্গকিমি (১৭,৮১০/বর্গমাইল)
ভাষাসমূহ
 • সরকারিতেলুগু
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন৫২১০০১
টেলিফোন কোড৯১-০৮৬৭২
যানবাহন নিবন্ধনএপি-১৬
ওয়েবসাইটmachilipatnam.cdma.ap.gov.in

মসুলিপত্তনম (উচ্চারণ), মছিলিপট্টনম এবং বন্দর নামেও পরিচিত, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কৃষ্ণা জেলার একটি শহর। এটি একটি পৌর কর্পোরেশন এবং কৃষ্ণা জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর।[৩] এটি জেলার মসুলিপত্তনম রাজস্ব বিভাগের মসুলিপত্তনম মণ্ডলের মণ্ডল সদর দপ্তর।[৪][৫] প্রাচীন বন্দর শহরটি ১৬শ শতাব্দী থেকে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের বসতি হয়ে উঠেছিল, এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি ব্রিটিশ, ওলন্দাজ এবং ফরাসিদের জন্য একটি প্রধান বাণিজ্য বন্দর ছিল।[৬]

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

১৭শ শতকে, এটি মসুলিপট্টনম, মসুলা এবং 'বন্দর' (তুর্কি, আরবি এবং ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে) নামে পরিচিত ছিল।[৭][৮][৯] প্রাচীনকালে বন্দর শহরটিকে মেসোলিয়া নামেও উল্লেখ করা হত।[১০]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.±%
১৮৭১ ৩৬,১৮৮—    
১৮৮১ ৩৫,০৫৬−৩.১%
১৮৯১ ৩৮,৮০৯+১০.৭%
১৯০১ ৩৯,৫০৭+১.৮%
১৯১১ ৪২,১২৩+৬.৬%
১৯২১ ৪৩,৯৪০+৪.৩%
১৯৩১ ৫৬,৯২৮+২৯.৬%
১৯৪১ ৫৯,১৪৬+৩.৯%
১৯৫১ ৭৭,৯৫৩+৩১.৮%
১৯৬১ ১,০১,৪১৭+৩০.১%
১৯৭১ ১,১২,৬১২+১১%
১৯৮১ ১,৩৮,৫২৫+২৩%
১৯৯১ ১,৫৯,১১০+১৪.৯%
২০০১ ১,৭৯,৩৫৩+১২.৭%
২০১১ ১,৬৯,৮৯২−৫.৩%

ভারতের জনপরিসংখ্যান ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী, মসুলিপত্তনমের জনসংখ্যা ছিল ১,৭০,০০৮। মোট জনসংখ্যা ৮৩,৫৬১ জন পুরুষ এবং ৮৬,৪৪৭ জন মহিলা — অর্থাৎ যৌন অনুপাত অনুসারে প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ১০৩৫ জন মহিলা। ১৩,৭৭৮ জন শিশু ০-৬ বছর বয়সীদের মধ্যে পড়েছে, এদের মধ্যে ৭,০৭৬ জন বালক এবং ৬,৭০২ জন বালিকা। গড় সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৮৩.৩২%, অর্থাৎ সাক্ষরের সংখ্যা ১৩০,১৭৩ জন, রাজ্যের গড় ৬৭.৪১% এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।[২][১১]

জলবায়ু[সম্পাদনা]

মসুলিপত্তনম শহরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয়। এর জলবায়ু হল ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু (কোপ্পেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস আও), অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে অসহ্য গরম এবং শীতকালে মাঝারি শীত পড়ে। উষ্ণতম মাসগুলি হল এপ্রিল থেকে জুন। জেলার গড় বৃষ্টিপাত ৯৫৯ মিলিমিটার (৩৭.৮ ইঞ্চি) এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মসুলিপত্তনম শহরের সমুদ্রে বড় বড় ঢেউয়ের ঝুঁকি রয়েছে। ১৯৭৭ অন্ধ্রপ্রদেশ ঘূর্ণিঝড় নিজামপত্তনমের কাছে উপকূল পেরিয়েছিল এবং প্রায় ১০,০০০ মানুষের জীবন গিয়েছিল। ঝড় উপকূলের কাছাকাছি আসতেই, প্রবল বাতাস ২০০ কিমি/ঘণ্টা প্রবাহিত হয়ে প্রকাশম, গুন্টুর, কৃষ্ণা, পূর্ব গোদাবরী এবং পশ্চিম গোদাবরী জেলায় আছড়ে পরে। ৫০০ মিটার উঁচু তীব্র ঢেউ, কৃষ্ণা মোহনা এবং মসুলিপত্তনম শহরের (বন্দর) দক্ষিণ উপকূল ডুবিয়ে দেয়।

৮ই ডিসেম্বর ২০০৪ সালে, একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এস-ব্যান্ড ডপলার সাইক্লোন সতর্কতা রাডার এই শহরে বসিয়ে চালু করা হয়েছিল।[১২] এটি তৈরি করেছিল একটি জার্মান সংস্থা, জেম্যাট্রোনিক। রাডার স্থাপনের সাথে, বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাজ্যটি ঘূর্ণিঝড়গুলিকে অনুসরণ করতে আরও সক্ষম হবে, দ্য হিন্দু সংবাদপত্রের সাথে কথা বলে রাজ্য আবহাওয়া অফিস এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছিলেন। এর ফলে রাজ্যের ৯৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখা জুড়ে পর্যবেক্ষণের সুবিধা থাকবে।[১৩]

মসুলিপত্তনম-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) ৩২.৪
(৯০.৩)
৩৪.৬
(৯৪.৩)
৩৮.১
(১০০.৬)
৪১.৮
(১০৭.২)
৪৬.৫
(১১৫.৭)
৪৫.৪
(১১৩.৭)
৪০.৮
(১০৫.৪)
৩৮.৬
(১০১.৫)
৩৬.৮
(৯৮.২)
৩৭.২
(৯৯.০)
৩৩.৩
(৯১.৯)
৩৩.০
(৯১.৪)
৪৬.৫
(১১৫.৭)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ২৮.৫
(৮৩.৩)
৩০.২
(৮৬.৪)
৩২.৫
(৯০.৫)
৩৪.৬
(৯৪.৩)
৩৭.৩
(৯৯.১)
৩৬.৭
(৯৮.১)
৩৩.৭
(৯২.৭)
৩২.৬
(৯০.৭)
৩২.৫
(৯০.৫)
৩১.৬
(৮৮.৯)
৩০.১
(৮৬.২)
২৮.৮
(৮৩.৮)
৩২.৪
(৯০.৪)
দৈনিক গড় °সে (°ফা) ২৩.৮
(৭৪.৮)
২৫.৫
(৭৭.৯)
২৭.৫
(৮১.৫)
৩০.২
(৮৬.৪)
৩২.৪
(৯০.৩)
৩২.৪
(৯০.৩)
২৯.৭
(৮৫.৫)
২৯.০
(৮৪.২)
২৮.৯
(৮৪.০)
২৭.৮
(৮২.০)
২৫.৮
(৭৮.৪)
২৪.৩
(৭৫.৭)
২৮.১
(৮২.৬)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ১৯.০
(৬৬.২)
২০.৮
(৬৯.৪)
২২.৬
(৭২.৭)
২৫.৭
(৭৮.৩)
২৭.৫
(৮১.৫)
২৭.০
(৮০.৬)
২৫.৬
(৭৮.১)
২৫.৪
(৭৭.৭)
২৫.৩
(৭৭.৫)
২৪.০
(৭৫.২)
২১.৬
(৭০.৯)
১৯.৯
(৬৭.৮)
২৩.৭
(৭৪.৭)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) ১৪.০
(৫৭.২)
১৫.৬
(৬০.১)
১৭.৩
(৬৩.১)
১৭.৮
(৬৪.০)
১৭.৬
(৬৩.৭)
২১.০
(৬৯.৮)
১৮.৮
(৬৫.৮)
১৮.৮
(৬৫.৮)
১৮.১
(৬৪.৬)
১৭.৮
(৬৪.০)
১৫.৩
(৫৯.৫)
১৪.৬
(৫৮.৩)
১৪.০
(৫৭.২)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি)
(০.১)

(০.৩)

(০.২)
১০
(০.৪)
৩৫
(১.৪)
১১৭
(৪.৬)
১৯৫
(৭.৭)
১৮৪
(৭.২)
১৬৭
(৬.৬)
২৪২
(৯.৫)
৮৬
(৩.৪)
১৯
(০.৭)
১,০৭০
(৪২.১)
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় ০.৫ ০.৬ ০.৫ ০.৮ ২.২ ৭.৭ ১৩.৮ ১২.৬ ১০.৪ ৯.২ ৫.৬ ১.২ ৬৫.১
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) ৭৬ ৭৫ ৭৩ ৭৩ ৬৬ ৬২ ৭২ ৭৪ ৭৮ ৭৯ ৭৫ ৭৫ ৭৩
উৎস ১: NOAA (1971–1990)[১৪]
উৎস ২: Climate-Data.org[১৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Machilipatnam at Glance"। Machilipatnam Municipality। ৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৫ 
  2. "Statistical Abstract of Andhra Pradesh, 2015" (পিডিএফ)Directorate of Economics & Statistics। Government of Andhra Pradesh। পৃষ্ঠা 43। ১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "Mandals in East godavari district"। aponline.gov.in। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Krishna District Mandals" (PDF)। Census of India। পৃষ্ঠা 517। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "District Census Handbook – Krishna" (PDF)Census of India। পৃষ্ঠা 15,16। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. Reddy, Consulting Editor-KV Nandini। Social Sci. (History) 7 (Rev.) (ইংরেজি ভাষায়)। Ratna Sagar। পৃষ্ঠা 72। আইএসবিএন 9788183322966। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৬ 
  7. Guru Srikanth, S (২ এপ্রিল ২০১৫)। "Machilipatnam Growth May Trigger Off Reverse Migration"The New Indian Express। Machilipatnam। ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  8. Bhatia, Gita Duggal, Joyita Chakrabarti, Mary George, Pooja। Milestones Social Science – 7 (History, Geography, Social and Political Life) (ইংরেজি ভাষায়)। Vikas Publishing House। পৃষ্ঠা 55। আইএসবিএন 9789325982673 
  9. Gateways Of Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781136169021 
  10. "The rise and fall of Maesolia port"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  11. "Literacy of AP (Census 2011)" (পিডিএফ)। Official Portal of Andhra Pradesh Government। পৃষ্ঠা 43। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  12. "Weather Radar Network of India Meteorological Department"India Meteorological Department। ১২ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  13. "The Hindu : Andhra Pradesh News : Modern cyclone warning system for Machilipatnam"hindu.com 
  14. "Musulipatnam Climate Normals 1971–1990"National Oceanic and Atmospheric Administration। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ 
  15. "Climate: machilipatnam"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Krishna district টেমপ্লেট:Mandal headquarters in Krishna district