গাংখার পেনসুম

স্থানাঙ্ক: ২৮°০২′৫৪″ উত্তর ৯০°২৭′১৫″ পূর্ব / ২৮.০৪৮৩৩° উত্তর ৯০.৪৫৪১৭° পূর্ব / 28.04833; 90.45417
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুলা কাংড়ি
কুলা কাংড়ি শীর্ষ চূড়া
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা৭,৫৭০ মিটার (২৪,৮৪০ ফুট) [১]
৪০ তম স্থান প্রাপ্ত
সুপ্রত্যক্ষতা২,৯৯৫ মিটার (৯,৮২৬ ফুট) [১]
৯৯ তম স্থানে রয়েছে
বিচ্ছিন্নতা২২৮ কিমি (১৪২ মা) উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
তালিকাভুক্তিদেশের সর্বোচ্চ স্থান
প্রান্তিক
স্থানাঙ্ক২৮°০২′৫৪″ উত্তর ৯০°২৭′১৫″ পূর্ব / ২৮.০৪৮৩৩° উত্তর ৯০.৪৫৪১৭° পূর্ব / 28.04833; 90.45417[১]
নামকরণ
স্থানীয় নাম {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য)
ভূগোল
কুলা কাংড়ি ভুটান-এ অবস্থিত
কুলা কাংড়ি
কুলা কাংড়ি
তিব্বতের সীমান্তে ভুটানের মানচিত্রে গাংখার পেনসুমের অবস্থান
অবস্থানভুটানচীন সীমান্ত
মূল পরিসীমাহিমালয়
আরোহণ
প্রথম আরোহণআরোহণ করেনি

গাংখার পেনসুম (জংখা: གངས་དཀར་སྤུན་གསུམ་ Kangkar Punsum, কিংবা, গাংকার পেনসুম বা গাংকার পেনজুম) ভূটানের সর্বোচ্চ উচ্চতার পর্বতমালা এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতারোহণের শক্তিশালী পর্বত যার উচ্চতা ৭,৫৭০ মিটার (২৪,৮৩৬ ফুট) এবং ২,৯৯৫ মিটার (৯,৮২৬ ফুট) এর যে পর্বতটি আছে সেটিই সবাই খেয়াল করে।[১] এর নামের অর্থ "তিন আধ্যাত্মিক ভাইয়ের সাদা চূড়া"।[২]

এটি তিব্বতের সীমান্তে অবস্থিত (তবে, এর সঠিক অবস্থান সম্পর্কে বিরোধের জন্য নিচে দেখুন)। ১৯৮৩ সালে ভুটানকে পর্বতারোহণের জন্য উন্মুক্ত করার পরে চারটি অভিযান হয়েছিল। যা ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ সালে ব্যর্থ শীর্ষ চূড়াের ফলাফলস্বরুপ হয়েছিল।[৩] ১৯৯৯ সালে জাপানের একটি অভিযানে লিয়ানকাং কাংরিতে আরোহণ সফল হয়েছিল। যা ৩,৭৩৫ মিটার (২৪,৭২১ ফুট) উচু, উপ-শিখর (স্বাধীন পর্বত নয়), উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে ২ কিলোমিটার (১.২ মাইল) দীর্ঘ পর্বত দ্বারা মূল শীর্ষ থেকে আলাদা।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

গোফু লা পাস থেকে পর্বতের দৃশ্য

গাংখার পেনসুমের উচ্চতা ১৯২২ সালে প্রথম পরিমাপ করা হয়েছিল তবে সাম্প্রতিক বছর অবধি এই অঞ্চলের মানচিত্র যথাযথভাবে সঠিক ছিল না। এবং পর্বতটি বিভিন্ন স্থানে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন উচ্চতায় প্রদর্শিত হচ্ছিল। প্রকৃতপক্ষে, অপর্যাপ্ত ম্যাপিংয়ের কারণে, প্রথম শীর্ষে থাকা দলটি পর্বতটির শীর্ষ খুঁজে পাচ্ছিল না।[৪]

১৯৮৬ সালের ব্রিটিশ অভিযানের বইয়ে এই পর্বতের উচ্চতা ২৪,৭৭০ ফুট (৭,৫৫০ মিটার) উল্লেখ করা ছিল। এবং সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, গাংখার পেনসুম পুরোপুরি ভুটানের অভ্যন্তরে রয়েছে, তবে নিকটবর্তী কুলা কাংরি পুরোপুরি তিব্বতের অভ্যন্তরে রয়েছে। কুলা কাংরি ৭,৫৫৪ মিটার উচু। একটি উত্তর পর্বতমালা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে আলাদা একটি পর্বত। আর এই পর্বতে প্রথম ১৯৮৬ সালে আরোহণ করা হয়েছিল। এই পর্বতটি বিভিন্নভাবে ম্যাপিং করা হয়েছে এবং তিব্বত বা ভুটান হিসাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[৩]

১৯৯৪ সাল থেকে ভুটানে ৬,০০০ মিটারের বেশি উঁচু পর্বত আরোহণ নিষিদ্ধ করা হয়। আর পর্বত আরোহণ নিষিদ্ধ করা হয় স্থানীয় আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে[৫] এবং ২০০৩ সাল থেকে পর্বতারোহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।[৬] তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, গাংখার পেনসুম কিছু সময়ের জন্য তার অনন্য অবস্থান বজায় রাখতে পারে। যেমনঃ পৃথিবীর যে কোনও উচ্চতর চূড়া, যেগুলোতে আরোহণ করা হয়নি সেই পর্বতগুলো একসঙ্গে একটি পর্বত হতে পারে, আলাদা আলাদা পর্বত নয়।

১৯৯৮ সালে জাপানের একটি অভিযান চীন পর্বতারোহণ সমিতি থেকে এই পাহাড়ে আরোহণের অনুমতি পেয়েছিল। তবে ভুটানের সাথে রাজনৈতিক কারণে এই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। পরিবর্তে, ১৯৯৯ সালে, দলটি তিব্বত থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং সাফল্যের সাথে লিয়ানকাং কাংরির ৭,৫৩৫ মিটার শীর্ষে উঠেছিল(যা গাংখার পেনসুম উত্তর নামেও পরিচিত)। বেশিরভাগ মানচিত্রের মতে, এই অভিযানের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, এই শীর্ষ চূড়াটি তিব্বতে এবং তিব্বত-ভুটানের সীমান্তে ৭,৫৭০ মিটার দূরে "ভুটানের সর্বোচ্চ শিখর" হিসাবে বর্ণিত গাংখার পেনসুমের শীর্ষে উঠতে দেখা গেছে।[৭] এই উত্থাপনটি জাপানি উৎস দ্বারা সমর্থিত হয়। এবং পরবর্তিতে চীনা উৎসগুলোর ভিত্তিতেও একই ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ভুটান এটি জরিপ করে নি।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "High Asia II: Himalaya of Nepal, Bhutan, Sikkim and adjoining region of Tibet"। Peaklist.org। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৪ 
  2. Berry, S.K. (১৯৮৮)। "Kingdom Of The Thunder Dragon"Himalayan Journal44। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  3. Berry, Steven K. (১৯৮৮)। The Thunder Dragon Kingdom : A Mountaineering Expedition To Bhutan। Wiltshire: Crowood Press। আইএসবিএন 0-938567-07-1 
  4. Berry, Steven K. (১৯৮৮)। The Thunder Dragon Kingdom : A Mountaineering Expedition To Bhutan। Wiltshire: Crowood Press। আইএসবিএন 0-938567-07-1 
  5. Verschuuren, Bas (২০১৬)। "Nye within protected areas of Bhutan"। Asian Sacred Natural Sites: Philosophy and practice in protected areas and conservation। Routledge। 
  6. Mason, Colin (২০১৪)। "Nepal and Bhutan"। A Short History of Asia। Macmillan International Higher Education। আইএসবিএন 9781137340634 
  7. Itami, Tsuguyasu (অক্টোবর ২০০১)। "Gankarpunzum & First Ascent Of Liankang Kangri Mountain In Dispute On China-Bhutan Border" (পিডিএফ)Japanese Alpine News1। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]