আয়েজ উদ্দিন আহমেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আয়েজ উদ্দিন আহমেদ
মৃত্যু২১ অক্টোবর ২০১৯
জাতীয়তাবাংলাদেশি

আয়েজ উদ্দিন আহমেদ একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে বীর প্রতীক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল।[১][২]

জীবনী[সম্পাদনা]

আয়েজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৫১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন।[৩] স্বাধীনতা ঘোষণার পর তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি তখন চট্টগ্রামের হালিশহরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩ ইঞ্চি মর্টারের সাহায্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি যুদ্ধ জাহাজের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।[৪]

করেরহাটের পতনের পর মুক্তিযোদ্ধারা শুভপুর সেতুর দক্ষিণ অংশ থেকে উত্তর অংশে অবস্থান নেন। তারপর, তারা পুনরায় আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ১২ মে শুভপুরের যুদ্ধে তিনি আহত হন।[৪]

এরপর, আয়েজ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ভারত গমন করেন। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পুনরায় রণক্ষেত্রে যোগদান করেন। তারপর, তিনি উৎমা বিওপিসহ আরো অন্যান্য স্থানে যুদ্ধ করেন।[৪]

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে বীর প্রতীক সম্মাননা প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। তিনি ১৯৮৪ সালে তার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৩]

আয়েজ উদ্দিন আহমেদ ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা"বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449 
  3. "ভাড়া বাসায় নয় শেষ জীবনে নিজ বাড়িতে মরতে চাই-বীর প্রতীক আয়েজউদ্দিন আহমেদ"দৈনিক আগমনী। ২৫ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  4. "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"প্রথম আলো। ২৪ জুন ২০১১। ৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  5. "নিরবে চলে গেলেন বীর প্রতীক আয়েজউদ্দিন"ভোরের আলো। ২১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]