ভাবতা রেলওয়ে স্টেশন

স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৯′১২″ উত্তর ৮৮°১৪′৩০″ পূর্ব / ২৩.৯৮৬৮° উত্তর ৮৮.২৪১৬° পূর্ব / 23.9868; 88.2416
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভাবতা
যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন
অবস্থানভাবতা, মুর্শিদাবাদ জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
স্থানাঙ্ক২৩°৫৯′১২″ উত্তর ৮৮°১৪′৩০″ পূর্ব / ২৩.৯৮৬৮° উত্তর ৮৮.২৪১৬° পূর্ব / 23.9868; 88.2416
উচ্চতা২১ মি (৬৯ ফু)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতপূর্ব রেল
লাইনশিয়ালদহ-লালগোলা মেইন লাইন
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনভূমিগত স্টেশন
পার্কিংনেই
সাইকেলের সুবিধানেই
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকারনেই
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
স্টেশন কোডবিএফটি
অঞ্চল পূর্ব রেল
বিভাগ শিয়ালদহ
বৈদ্যুতীকরণহ্যাঁ
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   ভারতীয় রেলওয়ে   পরবর্তী স্টেশন
Eastern Railway zone
অবস্থান
ভাবতা ভারত-এ অবস্থিত
ভাবতা

ভাবতা
ভারতে অবস্থান
ভাবতা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ভাবতা

ভাবতা
ভারতে অবস্থান

ভাবতা রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের শিয়ালদহ – রানাঘাট – লালগোলা রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার ভাবতা গ্রামে জাতীয় সড়ক ৩৪ নিকট অবস্থিত। এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছাড়া ভাবতা এবং বেলডাঙা I ব্লকে রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। কয়েকটি বৈদ্যুতিক একাধিক পরিবহন (ইএমইউ) এবং লোলোগোলা যাত্রীবাহী সহ মোট ১২ টি ট্রেন ভাবতা রেলওয়ে স্টেশনে চলাচল করে।[১] শিয়ালদা এবং ভাবতার দূরত্ব ১৭৭ কিলোমিটার।[২]

অবস্থান[সম্পাদনা]

ভাবতা রেলওয়ে স্টেশন মুর্শিদাবাদ জেলার ভাবতা গ্রামে জাতীয় সড়ক ৩৪ নিকট অবস্থিত। এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - সারগাছি রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল বেলডাঙা রেলওয়ে স্টেশন

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৬২ সালে শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ রেলপথের মূল লাইনটি নির্মাণ করা হয়েছিল এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের শিয়ালদহ এবং রানাঘাট স্টেশনের মধ্যে যাত্রী রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। একই বছর শিয়ালদহে রেলওয়ের কলকাতা টার্মিনাস চালু করা হয়েছিল। শিয়ালদহ-রানাঘাট-গেদে লাইন ছিল কলকাতা-শিলিগুড়ি মেইন লাইনের অংশ। ১৯৪৭ সালে, দেশ (ভারত) ভাগের পরে, মূল লাইনটি ভাগ হয়ে যায় এবং পশ্চিমবঙ্গে যা থেকে যায় তা গেদে শাখার লাইন হিসাবে গঠন করা হয়েছিল।[৩][৩][৪]

১৯০৫ সালে রানাঘাট-লালগোলা শাখা লাইন (বর্তমানে কখনও মেন লাইন নামে পরিচিত) চালু করা হয়েছিল।[৫]

পরিকাঠামো[সম্পাদনা]

স্টেশনটির পরিকাঠামো ভূমিগত। এই স্টেশনে ২ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ফুট ওভার ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। ভাবতা রেলওয়ে স্টেশনে ২ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই।

ভাবতা রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।

বৈদ্যুতীকরণ[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে ভাবতা রেলওয়ে স্টেশন সহ কৃষ্ণনগর-লালগোলা বিভাগটি বৈদ্যুতিক একাধিক পরিবহন ইএমইউ পরিষেবার জন্য বৈদ্যুতীকরণ করা হয়েছিল। ২০১০ সালে ২ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক করা হয়েছিল।[৬]

রেল পরিষেবা[সম্পাদনা]

এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা শিয়ালদহ এবং কৃষ্ণনগর ও লালগোলাগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ট্রেন যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

ভাবতা রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "BFT/Bhabta"indiarailinfo.com। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৯ 
  2. "BHABTA to SEALDAH Trains"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৯ 
  3. "The Chronology of Railway development in Eastern Indian"। railindia। ২০১২-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  4. J.H.E.Garrett। "Nadia, Bengal District Gazetteers (1910)"IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  5. L.S.S.O’Malley। "Murshidabad District (1914)"IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  6. "Project Details"। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮