হরিদ্বার

স্থানাঙ্ক: ২৯°৫৬′৪২″ উত্তর ৭৮°০৯′৪৭″ পূর্ব / ২৯.৯৪৫° উত্তর ৭৮.১৬৩° পূর্ব / 29.945; 78.163
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হরিদ্বার
শহর
উপরে থেকে ঘড়ির কাঁটা অনুসারে:
হর কি পৌরিতে গঙ্গা আরতি, চণ্ডী দেবী মন্দির,
হর কি পৌরির সকালের দৃশ্য, মনসা দেবী মন্দির,
হরিদ্বার রেলস্টেশন, গঙ্গা নদীর পাশে শিবমূর্তি,
হর কি পৌরির সন্ধ্যা দৃশ্য এবং চণ্ডী দেবী মন্দিরে যাবার জন্য রোপওয়ে (রজ্জুপথ)
হরিদ্বার উত্তরাখণ্ড-এ অবস্থিত
হরিদ্বার
হরিদ্বার
হরিদ্বার ভারত-এ অবস্থিত
হরিদ্বার
হরিদ্বার
স্থানাঙ্ক: ২৯°৫৬′৪২″ উত্তর ৭৮°০৯′৪৭″ পূর্ব / ২৯.৯৪৫° উত্তর ৭৮.১৬৩° পূর্ব / 29.945; 78.163
দেশভারত
রাজ্যউত্তরাখণ্ড
উত্তরাখণ্ড জেলার জেলা তালিকাহরিদ্বার জেলা
পৌরসভা১৮৬৮
সরকার
 • ধরনমেয়র – কাউন্সিল
 • শাসকহরিদ্বার পৌর কর্পোরেশন
 • মেয়রঅনিতা শর্মা (আইএনসি)
 • পৌর কমিশনারঅলোক কুমার পান্ডে, আইএএস
আয়তন
 • শহর১২.৩ বর্গকিমি (৪.৭ বর্গমাইল)
উচ্চতা৩১৪ মিটার (১,০৩০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[২]২,২৮,৮৩২[১]
 • মহানগর২,৩১,৩৩৮
ভাষা সমূহ
 • সরকারিহিন্দি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন২৪৯৪০১
টেলিফোন কোড+৯১-১৩৩৪
যানবাহন নিবন্ধনইউকে-০৮
যৌন অনুপাত১.১৮[২] /
ওয়েবসাইটharidwarnagarnigam.com

হরিদ্বার (/hʌrɪˈdwɑːr/; স্থানীয় উচ্চারণ, হরদ্বারও বলা হয়, ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার জেলার একটি প্রাচীন শহর এবং পৌরসভা। কিংবদন্তি অনুযায়ী, এখানেই দেবী গঙ্গা ভগবান শিবের জটা থেকে মুক্তি পেয়ে পৃথিবীতে নেমেছিলেন। গঙ্গোত্রী হিমবাহের প্রান্তে গোমুখ থেকে উৎপন্ন হয়ে, উৎস থেকে ২৫৩ কিলোমিটার (১৫৭ মা) চলে, হরিদ্বারে প্রথমবারের জন্য সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমিতে প্রবেশ করে। যা থেকে এই শহরটির প্রাচীন নাম হয়েছে গঙ্গাদ্বার।

হরিদ্বার বা হরদ্বারকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে সপ্তপুরী নামে পরিচিত সাতটি পবিত্রতম স্থানের একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সমুদ্রমন্থন অনুসারে,[৩] উজ্জয়িনী, নাশিক এবং প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ)-সহ হরিদ্বার এমন চারটি স্থানের মধ্যে একটি যেখানে অমৃতের বিন্দু, (যা অমরত্ব প্রদান করে) পড়েছিল। মহাজাগতিক পাখি গরুড় অমৃতের কলস বহন করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে অমৃত ছড়িয়ে পড়েছিল। এটি কুম্ভমেলায় অভিব্যক্ত হয়েছে, যা প্রতি ১২ বছরে একবার হরিদ্বারে পালিত হয়। হরিদ্বার কুম্ভ মেলা চলাকালীন, লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী, ভক্ত এবং পর্যটকরা মোক্ষ অর্জনের জন্য এবং তাদের স্খালন করার জন্য গঙ্গা নদীর তীরে ধর্মীয় স্নান করতে হরিদ্বারে জমায়েত হয়। ব্রহ্ম কুণ্ড হচ্ছে সেই জায়গা, যেখানে অমৃত পড়েছিল। এটি হর কি পৌরিতে অবস্থিত (আক্ষরিক অর্থে, "প্রভুর পদবিন্যাস") এবং হরিদ্বারের সবচেয়ে পবিত্র ঘাট হিসাবে বিবেচিত হয়।[৪] এটি কাঁওয়ার তীর্থযাত্রার প্রাথমিক কেন্দ্রও, যেখান থেকে লক্ষ লক্ষ অংশগ্রহণকারী গঙ্গা থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করে এবং শত শত মাইল বয়ে নিয়ে গিয়ে, শিব মন্দিরগুলিতে নৈবেদ্য হিসাবে দেয়।[৫]

হরিদ্বার সদর শহর এবং জেলার বৃহত্তম শহর। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (এসআইডিসিএল) এর দ্রুত বিকাশমান শিল্প তালুকসহ আজ এই শহরটি এবং ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড এর জনপদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক কাছাকাছি শহরগুলির, তার ধর্মীয় গুরুত্বের বাইরেও বিকাশ ঘটাচ্ছে।

হরিদ্বার ভারতীয় সংস্কৃতি ও বিকাশের একটি বর্ণময় চিত্র উপস্থাপন করেছে। পবিত্র রচনায় এটি আলাদাভাবে কপিলস্থান, গঙ্গাদ্বার এবং মায়াপুরী নামে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও এই অঞ্চলটি চারধাম (উত্তরাখণ্ড ভ্রমনের চারটি মূল স্থান যেমন, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রি) ভ্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। পরবর্তীকালে শৈবরা (ভগবান শিবের অনুগামী) এবং বৈষ্ণবরা (ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা) এই স্থানটিকে যথাক্রমে হরদ্বার এবং হরিদ্বার বলে পৃথকভাবে ডাকে, কারণ হর হলেন শিব এবং হরি হলেন বিষ্ণু।

শব্দতত্ত্ব[সম্পাদনা]

মূল গঙ্গা নদী, যা এখানে 'নীল ধর' (বাম) এবং গঙ্গা খাল (ডানদিকে) নামে পরিচিত, হরিদ্বারের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে

শহরের নামটির দুটি বানান রয়েছে: হরদ্বার এবং হরিদ্বার । এই নামের প্রত্যেকটির নিজস্ব অর্থ রয়েছে।

হরি শব্দের অর্থ "ভগবান বিষ্ণু"। সুতরাং, হরিদ্বার বলতে বোঝায় "ভগবান বিষ্ণুর কাছে প্রবেশের দ্বার"। চারধামের মধ্যে একটি বদ্রীনাথে পৌঁছানোর জন্য, যেখানে ভগবান বিষ্ণুর মন্দির আছে, হরিদ্বার তীর্থযাত্রীর যাত্রা শুরু করার জন্য বিশিষ্ট জায়গা। এর থেকে, নাম হরিদ্বার।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hardwar Population Census 2011
  2. "haridwar City Population Census of India, 2011"। Office of the Registrar General, India। ২ মার্চ ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৫ 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; sahaja নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. Gopal, Madan (১৯৯০)। K.S. Gautam, সম্পাদক। India through the ages। Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India। পৃষ্ঠা 178 
  5. Singh, Vikash (২০১৭)। Uprising of the Fools। Stanford University Press। আইএসবিএন 9781503601673 

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]