আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবরার ফাহাদ
জন্ম(১৯৯৮-০২-১২)১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮
মৃত্যু৭ অক্টোবর ২০১৯(2019-10-07) (বয়স ২১)
শেরে বাংলা হল, বুয়েট, ঢাকা, বাংলাদেশ
মৃত্যুর কারণবাংলাদেশ ছাত্রলীগের কিছু নেতাদের দ্বারা অত্যাচারের ফলে[১]
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষাকুষ্টিয়া জিলা স্কুল
নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
পেশাছাত্র
পিতা-মাতা
  • বরকতউল্লাহ (পিতা)
  • রোকেয়া খাতুন (মাতা)

আবরার ফাহাদ (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ - ৭ অক্টোবর ২০১৯) ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ।[২] ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ভোঁতা জিনিসের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।[৩] আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্দেহ করে যে আবরারকে তার সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আক্রমণ করা হয়েছিল, যা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা বলে মনে হয়েছিল।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

আবরার ফাহাদ ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। তার পিতার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি নটর ডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। ৩১ মার্চ, ২০১৮ এ, তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।

তার বাবা বরকতউল্লাহ ব্র্যাকে অডিটর এবং মা রোকেয়া খাতুন কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষক ছিলেন।[৫] আবরার দুই ভাইয়ের বড় ছিল, তার ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এইচএসসি ছাত্র ছিল। ফায়াজ শের-ই-বাংলা হলের নিকটবর্তী ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসে থাকতেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে নিহত হয়েছেন। তিনি একই হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। আবরার ১০ দিন আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল এবং ২০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিলেন। পরীক্ষা কাছাকাছি চলে আসায় তিনি পড়াশোনা করতে হলে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপসম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে আবরারকে মারার নির্দেশনা দেন। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা তাকে বাড়ি থেকে ফেরার অপেক্ষা করতে বলেন। ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। বুয়েট ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর মোবাইল ফোন দুইটি চেক করেন। একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মুনতাসির আল জেমি ল্যাপটপটি চেক করেন। এসময় মেহেদী হাসান রবিন চড় মারতে থাকেন আবরারকে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সামসুল আরেফিন রাফাত স্টাম্প এনে দিলে তা দিয়ে ইফতি মোশাররফ সকাল চার-পাঁচটি আঘাত করলে স্টাম্পটি ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অনিক সরকার, আবরারের হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে স্টাম্প দিয়ে মারতে থাকেন। এরপর ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন আবরারকে চড় এবং স্টাম্প দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করেন। এসময় মেহেদী হাসান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন মেহেদি হাসান রাসেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারধরের ফলে অসুস্থ আবরার মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। ইফতি মোশাররফ সকাল ধমক দিয়ে তাকে দাড় করিয়ে চড় দেন। পরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদুর রহমান স্কিপিং রোপ দিয়ে আবরারকে মারতে থাকেন। এরপর ইফতি মোশাররফ সকাল স্টাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু ও পায়ে মারেন। খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর চড়-থাপ্পড় মারেন আবরারকে। রাত ১১টার দিকে অনিক সরকার গায়ের সব শক্তি প্রয়োগ করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে স্টাম্প দিয়ে আবরারকে আঘাত করেন। এরপর ১২ টার দিকে সবাই কক্ষটি থেকে বের হয়ে যান।

আবরারের শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ইফতি মোশাররফ সকাল তার মাথার নিচে দুইটি বালিশ দেন। বেশ কয়েকবার বমি করে আবরার। আবরারকে এরপর ২০০৫ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা সবকিছু জানার চেষ্টা করেন, তাকে মেরে আরও তথ্য বেড় করার কথা বলেন। তিনি আবরারের অবস্থা খারাপ জেনে তাকে হল থেকে বেড় করতে বলেন। মেহেদী হাসান ও অনিক সরকার ২০০৫ নম্বর কক্ষে ঢুকে দেখে তার অবস্থা ঠিক আছে বলে চলে যান। এরপর আবরার আবার বমি করেন। মেহেদী হাসান তাকে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করার কথা বলছিলেন। ১৭ ব্যাচের ছেলেরা তখন তাকে তোশকসহ নিচতলায় নামিয়ে রাখেন। সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল তখন পুলিশের সাথে কথা বলছিলেন। মুনতাসির আল জেমি আবরারের অবস্থা খারাপ জানালে ইফতি মোশাররফ সকাল মালিশ করতে বলেন। ইসমাইল ও মনির অ্যাম্বুলেন্সে ফোন দিলে তা আসতে দেরি হওয়ায় তামিম বুয়েট মেডিকেলের চিকিৎসককে নিয়ে আসেন।[৬]

বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের নিচতলায় সোমবার ভোর তিনটায় পুলিশ আবরারের লাশ উদ্ধার করে। মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মাশুক এলাহী রাত ৩ টার দিকে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।[৭] আবাসিক হলের দ্বিতীয় তলায় ইনস্টল করা একটি ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা দ্বারা ধারণ করা ফুটেজে দেখা গেছে যে কয়েকজন লোক তার হাত ও পায়ে করিডরে নিচে টেনে নিচ্ছেন।

ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরাতে দেখা যায় রাত ৩টা বেজে ২৬ মিনিটে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান লাশ এর সামনে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তদের সাথে আলোচনা করে চলে যান। পরের দিন তিনি দাবী করেন যে এই বিষয়ে সকাল হবার আগে তিনি কিছুই জানতেন না। আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। তাই মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে সহপাঠীদের কেউ ফোন দিতে পারছিলেন না। আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজকে পড়াতেন দিগন্ত নামে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে ফাইয়াজকে ফোন দেওয়া হয়। ফাইয়াজ কয়েকবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে। এভাবে তার আত্মীয়-স্বজন জানতে পারে।

আবরার হত্যার পর শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে কেউ কাউকে খবর দিতে পারছিলেন না। ভয়ের কারণ, যদি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেখে ফেলে। এজন্য ১৭তম ব্যাচের কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটি মেসেজ লেখেন। একই সময় সেই টেক্সটটি বুয়েটের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সব ক’টি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে তারা পোস্ট করেন। এরপর সবাই ধীরে ধীরে ঘটনাটি জানতে পারেন।[৮] আবরার যখন মুমূর্ষু অবস্থায় তখন তাকে প্রথমে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চান ছাত্রলীগের এসব নেতা। এজন্য ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা চকবাজার থানার ডিউটি অফিসারের নম্বরে খবর দিয়ে বলেন, ‘এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ খবর পেয়ে চকবাজার থানা থেকে টহল পুলিশের একটি দলকে শেরেবাংলা হলে পাঠানো হয়। এই হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশের একটি গাড়ি আসে। তারা শিবিরকর্মী কোথায় জানতে চান। তবে ছাত্রলীগ তাদের পরে আর হলে ঢুকতে দেয়নি।’

এই হত্যার সাথে ২২ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জড়িত। হত্যার পরে মেহেদি হাসান রাসেল ও অনিক সরকারসহ খুনীরা লাশ গুম ও ফাহাদকে মাদক দিয়ে ‘গণপিটুনির নাটক’ বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করতে থাকেন।[৯][১০][১১][১২] চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমাদের ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে শিবির ধরা হয়েছে বলে ফোন দেওয়া হয়। তবে আমাদের টহল পুলিশকে তারা হলে ঢুকতে দেয়নি।’[৮]

ফেসবুক সম্পৃক্ততা[সম্পাদনা]

আবরারের সহপাঠীরা বলেছিলেন যে তিনি সম্ভবত ফেসবুকে লেখার জন্যই মারা গিয়েছিলেন।[১৩] ফেসবুক স্ট্যাটাসে, নিহত আবরার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের সরকারি সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক দলিল স্বাক্ষরের সমালোচনা করেছিলেন।

তার ফেসবুক পোস্টে ভারতকে মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া, ফেনী নদী থেকে পানি প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশ থেকে এলপিজি আমদানি করার বিষয়গুলি নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন।[১৪]

স্ট্যাটাসটি হচ্ছে:

পরবর্তী ঘটনা[সম্পাদনা]

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।[১৫] আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৩ ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪ ব্যাচ, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), অনীক সরকার (১৫ ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল বিভাগ, ১৫ ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬ ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫ ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (এমই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), তানীম (সিই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), মোয়াজ, মনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ)।[১৬]

হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের দশ সদস্যকে আটক করা হয় এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়।[১৭] এরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাতুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতামির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মোজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাছান রবিন।[১৮] পরবর্তীতে আরও ৩ জন - মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, শামসুল আরেফিনকে ডেমরা, গাজীপুর বাইপাস, ঢাকা জিগাতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।[১৯]

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ[সম্পাদনা]

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ

বুয়েটে[সম্পাদনা]

সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং বুয়েটের শিক্ষার্থীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। তার মৃত্যু বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।[২০] বুয়েটে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিপূরণের লক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো:

  1. খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে শনাক্তকৃত খুনিদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
  2. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিশ্চিতভাবে খুনি শনাক্তকরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্তকৃত খুনিদের সকলের আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।
  3. মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। এ মর্মে অফিসিয়াল নোটিশ ১১ তারিখ ৫টার মধ্যে প্রদান করতে হবে।
  4. দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করার জন্য বুয়েট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বুয়েট প্রশাসনকে সক্রিয় থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত ছাত্রদের আপডেট করতে হবে।
  5. অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে।
  6. বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে বুয়েটে হলে হলে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে রাখা হয়েছে। জুনিয়র মোস্ট ব্যাচকে সবসময় ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক জোর করে রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে যুক্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেকোনো সময় যেকোনো হল থেকে সাধারণ ছাত্রদের জোরপূর্বক হল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে হলে হলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। রাজনৈতিক সংগঠনের এহেন কর্মকাণ্ডে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ। তাই আগামী ৭ দিনের (১৫ অক্টোবর) মধ্যে বুয়েটে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
  7. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং পরবর্তীতে ৩৮ ঘণ্টা পরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন, এজন্য তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ দুপুর ২টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে।
  8. আবাসিক হলগুলোতে র‍্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে জড়িত সকল সন্ত্রাসীর ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লা হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
  9. পূর্বে ঘটা এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ এবং পরবর্তীতে ঘটা যেকোনো ঘটনা প্রকাশের জন্য একটা কমন প্ল্যাটফর্ম (কোনো সাইট বা ফরম) থাকতে হবে এবং নিয়মিত প্রকাশিত ঘটনা রিভিউ করে দ্রুততম সময়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বুয়েটের বিআইআইএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে এবং ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রদর্শন করতে হবে এবং পরবর্তী এক মাসের মধ্যে কার্যক্রম পূর্ণরূপে শুরু করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো হলের প্রত্যেক ফ্লোরের সবগুলা উইংয়ের দুপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে।
  10. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।[২১]

পরবর্তীতে অভিযোগপত্রে উল্লেখিত এবং পূর্বে র‍্যাগের শিকার সবাইকে বহিষ্কারসহ তিনদফা দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা একাডেমিক অসহযোগ বজায় রাখার ঘোষণা দেয়।[২২] অভিযোগপত্র দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ই নভেম্বর শিক্ষকগণ তাদের তদন্তকাজ শেষ করার জন্য তিন সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন।[২৩]

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ[সম্পাদনা]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের গোড়ায় একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও আবরার হত্যাকারীদের ফাঁসির শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলো।[২৪][২৫] এছাড়াও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণও আবরারের হত্যাকারীদের শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করে।[২৬] খুলনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসের সামনে মহাসড়কে ব্যারিকেড করে কালো ব্যাজ দিয়ে মুখ বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি মানববন্ধন গঠন করে এবং আবরার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে।[২৭]

আবরার ফাহাদের বীভৎস হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। শিক্ষার্থীরাও আধা ঘণ্টা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সিলেটের ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে একটি মানববন্ধন করেন। পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে যা সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।[২৮] ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, বগুড়া, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, যশোর, পটুয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী তে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।[২৯][৩০]

তারকাদের প্রতিবাদ[সম্পাদনা]

গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ, নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নাট্যকার মাসুম রেজা, নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, নির্মাতা রেদওয়ান রনি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ, সংগীতশিল্পী কোনাল তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারে শোক ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।[৩১]

আন্তর্জাতিক উদ্বেগ[সম্পাদনা]

এই নির্মম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘ[৩২] যুক্তরাজ্য এই হত্যার ঘটনায় বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছে এবং মানুষের বাক স্বাধীনতার পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। জার্মানি দুঃখপ্রকাশ করেছে এবং গণতন্ত্রে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকারের কথা বলেছে। ফ্রান্স সমবেদনা প্রকাশ করে খুনীদের দ্রুত বিচারের কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্র হতবাক ও মর্মাহত হয়েছে এবং ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছে।[৩৩][৩৪][৩৫][৩৬]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম[সম্পাদনা]

এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ভয়েস অব আমেরিকা, গার্ডিয়ান, দ্য হিন্দু, গালফ নিউজ, দ্য ন্যাশনাল, এবিসি নিউজ এর মত স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমগুলোতে এই নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়। বেশীরভাগ সংবাদে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির সমালোচনার জন্য হত্যা করায় ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়।[৩৭]

বিচার[সম্পাদনা]

বুয়েট প্রশাসন[সম্পাদনা]

আন্দোলনের মুখে বুয়েট প্রশাসনের পদক্ষেপগুলি হল:[৩৮][৩৯]

  • বুয়েটে দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও পূর্ব থেকেই সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল।[৪০]
  • বুয়েট কর্তৃপক্ষ হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় ১৯ আসামীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। মূল অভিযোগপত্রে যারা অভিযুক্ত হয়, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২২ অক্টোবর বুয়েট প্রশাসন অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ২৫জন সহ মোট ২৬ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে।[৪১]
  • আবরার হত্যা মামলার সব খরচ ও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেয় বুয়েট প্রশাসন।
  • পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নির্যাতনের ঘটনার বিচার করবে এবং অনলাইনে অভিযোগ জমা দেওয়ার প্লাটফর্ম করবে।
  • প্রত্যেক হলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং মনিটরের ব্যবস্থা করা।

বিচার কার্যক্রম[সম্পাদনা]

শুরু থেকেই এ হত্যাকাণ্ড সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়, যদিও এখনো জড়িত চারজন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।[৪২] ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এতে মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়।[৪৩] আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান মামলার বিচারকার্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই হবে।[৪৪] এ ট্রাইব্যুনালে প্রথম সময় ৯০ দিনের, তারপর সম্প্রসারিত ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়। মোট ১২০ দিনের মধ্যেও বিচারকার্য শেষ না হলে অতিরিক্ত তৃতীয়বারের মত ১৫ দিন সময় পাবে। অর্থাৎ মোট ১৩৫ দিনে বিচারকাজ শেষ করতে হবে।[৪৫]

বিচারের রায়[সম্পাদনা]

২০২১ এর ৭ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিচারের রায়ে ২০ জনের ফাঁসি আর ৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড হয়। তিনজন আসামী পলাতক যথা মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মুজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এএসএম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামসুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপদপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল), মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল), এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) এবং মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল)। এর মধ্যে শেষের তিনজন পলাতক।

যাবজ্জীবনের ৫ আসামি হলো বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

আবরার হত্যা মামলা
ক্রমিক আসামীর নাম বুয়েট পরিচয় বুয়েট রোল[৪৬] বুয়েট বহিষ্কার ছাত্রলীগ পরিচয়[৪৭] ছাত্রলীগ বহিষ্কার বর্তমান অবস্থা[৪৮] আদালতের রায়
মেহেদী হাসান রাসেল পুরকৌশল, '১৩ ব্যাচ ১৩০৪০৯৮ আজীবন বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন পুরকৌশল '১৪ ব্যাচ ১৪০৪০১০ আজীবন বহিষ্কৃত সহ সভাপতি স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড[৪৯][৫০]
মো. অনিক সরকার অপু যন্ত্র প্রকৌশল, '১৫ ব্যাচ ১৫১০০৮৩ আজীবন বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
মেহেদী হাসান রবিন রসায়ন প্রকৌশল বিভাগ, '১৫ ব্যাচ ১৫০২০৫০ আজীবন বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
ইফতি মোশাররফ সকাল বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬১৮০২৭ আজীবন বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
মো. মনিরুজ্জামান মনির পানিসম্পদ প্রকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬১৬০২৮ আজীবন বহিষ্কৃত সাহিত্য সম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
মো. মেফতাহুল ইসলাম (জিয়ন) মেরিন প্রকৌশল, '১৫ ব্যাচ ১৫১২০৪৭ আজীবন বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ এমএমই বিভাগ, '১৭ ব্যাচ ১৭১১০২৩ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য মুজাহিদ গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ ইইই বিভাগ, '১৬ ব্যাচ ১৬০৬১১৬ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
১০ খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম (তানভীর) যন্ত্র প্রকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬১০১০০ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
১১ হোসাইন মোহাম্মদ তোহা যন্ত্র প্রকৌশল, '১৭ ব্যাচ ১৭১০১২৩ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
১২ মো. আকাশ হোসেন পুরকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬০৪১৯৪ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড[৪৯][৫০]
১৩ মো. শামীম বিল্লাহ নেইম বিভাগ, '১৭ ব্যাচ ১৭১২০৫৪ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
১৪ এ এস এম নাজমুস সাদাত যন্ত্র প্রকৌশল, '১৭ ব্যাচ ১৭১০১০৮ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
১৫ মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম যন্ত্র প্রকৌশল, '১৭ ব্যাচ ১৭১০১৪১ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
১৬ মুয়াজ আবু হুরায়রা ইইই বিভাগ, '১৭ ব্যাচ ১৭০৬১০৬ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড[৪৯][৫০]
১৭ মুনতাসির আল জেমি যন্ত্র প্রকৌশল, '১৭ ব্যাচ ১৭১০০৮৭ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
১৮ অমিত সাহা পুরকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬০৪১৫১ আজীবন বহিষ্কৃত আইনবিষয়ক উপসম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড[৪৯][৫০]
১৯ ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না যন্ত্র প্রকৌশল, '১৫ ব্যাচ ১৫১০০৬৯ আজীবন বহিষ্কৃত গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড[৪৯][৫০]
২০ মো. শামসুল আরেফিন রাফাত যন্ত্র প্রকৌশল, '১৭ ব্যাচ ১৭১০১০৩ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
২১ মো. মিজানুর রহমান পানিসম্পদ প্রকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬১৬০০৪ আজীবন বহিষ্কৃত গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
২২ এস এম মাহমুদ সেতু রসায়ন প্রকৌশল, '১৪ ব্যাচ ১৪০২০০৪ আজীবন বহিষ্কৃত সাবেক সহসভাপতি গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
২৩ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল জিসান ইইই বিভাগ, '১৬ ব্যাচ ১৬০৬১৫৪ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য পলাতক[৫১] মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
২৪ এহতেশামুল রাব্বি (তানিম) পুরকৌশল, '১৭ ব্যাচ ১৭০৪১৩৫ আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য স্থায়ী বহিষ্কৃত পলাতক[৫১] মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
২৫ মুজতবা রাফিদ রসায়ন প্রকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬০২০১৭ আজীবন বহিষ্কৃত উপ দপ্তর সম্পাদক স্থায়ী বহিষ্কৃত পলাতক[৫১] মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত[৪৯][৫০]
২৬ আশিকুল ইসলাম বিটু* রসায়ন প্রকৌশল, '১৬ ব্যাচ ১৬০২০১৬ আজীবন বহিষ্কৃত সহঃ সম্পাদক আদালতের স্থগিতদেশ নিয়ে পুনরায় ক্লাসে অংশগ্রহণ[৫২]
২৭ মোহাম্মদ গালিব* এমএমই, '১৬ ব্যাচ সাময়িক বহিষ্কৃত
২৮ সাইফুল* সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদস্য
২৯ আবু নওশাদ সাকিব* সাময়িক বহিষ্কৃত
৩০ মো. শাওন মিয়া* সাময়িক বহিষ্কৃত
৩১ সাখাওয়াত ইকবাল অভি* সাময়িক বহিষ্কৃত
৩২ মো. ইসমাইল* সাময়িক বহিষ্কৃত
  • * এজাহারে নাম নেই

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://www.bbc.com/bengali/news-50010398
  2. "9 held over Buet student Abrar murder"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. "Autopsy report: Abrar was beaten to death"ঢাকা ট্রিবিউন। ৭ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  4. "Buet student beaten to death: Critical FB post costs him his life?"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. "BUET student Abrar's mother repeatedly phoned him that night"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  6. "এক আসামির ভয়ংকর বর্ণনা"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  7. "Buet student murdered after 'BCL men grilled' him"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  8. "আবরার হত্যা: মাদক দিয়ে 'গণপিটুনির নাটক' সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০১৯-১০-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১ 
  9. "আবরারের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও খুনিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়নি প্রোভোস্ট"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  10. "পুলিশ জেনেও তৎপর হয়নি"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  11. "আবরারকে হত্যা শেষে মাদক দিয়ে 'গণপিটুনির নাটক' সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  12. "চড়-থাপ্পড় লাথি হকিস্টিক দিয়ে ২২ জন পেটায়"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  13. "BUET student 'beaten dead' in dorm"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  14. "Was BUET student Abrar murdered for his Facebook status?"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  15. "Father charges 19 over murder of BUET student Abrar"। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  16. "আবরার হত্যার ১৯ আসামি যাঁরা..."। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  17. "Abrar Fahad murder: Father initiates case accusing 19"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  18. "আবরার হত্যাকাণ্ড : ছাত্রলীগের দশ জন রিমান্ডে"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  19. "আবরার হত্যা মামলায় আরও ৩ জন গ্রেপ্তার"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  20. "DU students protest BUET student Fahad's murder"। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  21. "আবরার হত্যায় ১০ দফা, না মানা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  22. "বহিষ্কারসহ তিন দাবিতে থেমে আছে বুয়েট"প্রথম আলো। ১৮ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  23. "বহিষ্কারসহ তিন দাবিতে থেমে আছে বুয়েট"প্রথম আলো। ১৮ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  24. "ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৩ 
  25. "আবরার হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৩ 
  26. "আবরারের খুনিদের শাস্তি চান ইবি শিক্ষকরা"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৩ 
  27. The business standards। "Buet student Abrar murder sparks nationwide protests"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  28. "Univ students countrywide protest at Abrar murder" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  29. "আবরার হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ ও মনববন্ধন"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  30. "বুয়েটছাত্র আবরার হত্যায় জেলায় জেলায় বিক্ষোভ"। ১১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  31. "আবরার হত্যার প্রতিবাদ: সরব তারকারাও"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  32. "আবরার হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চায় জাতিসংঘ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৩ 
  33. "আবরার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জাতিসংঘের"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  34. "International communities condemn Abrar's murder: Statements issued by UN, UK, Germany"। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৯ 
  35. "Abrar murder: French embassy urges quick punishment of killers"। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৯ 
  36. "আবরার হত্যা: ন্যায়বিচার প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  37. "চুক্তির সমালোচনায় করায় আবরারকে হত্যা, বলছে বিদেশি মিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  38. "আবরার হত্যার ১৯ আসামি বহিষ্কার, বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  39. "পাঁচ দফা দাবি মেনে নিল বুয়েট"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯ 
  40. "'ভিসিই দলীয় ছাত্রদের প্রশ্রয়দাতা'"প্রথম আলো। ২৭ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  41. "আবরার হত্যায় বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার"ঢাকা ট্রিবিউন। ২২ নভেম্বর ২০১৯। ২৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  42. "আবরার হত্যা: পলাতক ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা"ডেইলি স্টার। ১৮ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  43. "আবরার হত্যায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল"কালের কণ্ঠ। ১৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  44. "আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে: আইনমন্ত্রী"প্রথম আলো। ১৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  45. "আবরার হত্যা মামলার বিচার হবে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে: আইনমন্ত্রী"ইত্তেফাক। ১৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  46. "বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার"banglatribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  47. "বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার"prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  48. "আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট, ছাত্রলীগের নেতাসহ আসামি ২৫"ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৯ 
  49. "যাঁদের মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো"prothomalo.com। ২০২১-১২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৮ 
  50. "আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৫ জনের"bdnews24.com। ২০২১-১২-০৮। ২০২১-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৮ 
  51. "আবরার হত্যা : সাক্ষ্য দিলেন সিআইডির কর্মকর্তা"NTV Online। ২০২১-০১-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০ 
  52. প্রতিবেদক। "আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে ক্লাসে বহিষ্কৃত আশিকুল"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]