সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী
জন্ম(১৯৪৪-০৭-১৮)১৮ জুলাই ১৯৪৪
মৃত্যু৩০ ডিসেম্বর ২০১৯(2019-12-30) (বয়স ৭৫)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
মাতৃশিক্ষায়তন
আত্মীয়
পুরস্কারপদ্মভূষণ (২০২০)
একুশে পদক (২০২২)

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (১৮ জুলাই ১৯৪৪ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯) একজন বাংলাদেশী বিদেশি পরিসেবা কর্মকর্তা এবং কর্মজীবনে তিনি একজন কূটনীতিক ছিলেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখেন।[১][২] ২০২০ সালে গণ-বিষয়ক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্যে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে ২০২২ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।[৩]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

মোয়াজ্জেম আলি ১৮ জুলাই ১৯৪৪ সালে পূর্ব ব্রিটিশ রাজ্যের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস পাস করেন । তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে পড়াশোনা করেন । [৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আলি ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন, যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তিনি নির্বাসনে পাকিস্তান সরকারকে ত্যাগ করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী দূতাবাস খুঁজে পেতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সম্পদকে সহায়তা করতে সহায়তা করেছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৮২-১৯৮৬ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন এবং ১৯৮৬-১৯৮৮ সালে ভারতে বাংলাদেশী হাই কমিশনার হিসাবে কাজ করেছিলেন। [৫][৬][৭]

বৈদেশিক ভূমিকা[সম্পাদনা]

উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় সৌদি আরবের জেদ্দায় কনসাল চলাকালীন তিনি ভুটান, ইরান, লেবানন, তুর্কমেনিস্তান, ফ্রান্স, সিরিয়া এবং পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। মোয়াজ্জেম আলি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে ইউনেস্কোর কাছে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস খসড়া প্রতিবেদন দিয়ে ভাষা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে প্রবর্তনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিলেন। তারপরে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তিনি ইউরোপে স্বল্পোন্নত দেশের রফতানির জন্য শুল্কমুক্ত করার জন্য কাজ করেছিলেন। [৫][৮] ২০১৪ সালে তিনি ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার নিযুক্ত হন। [৯]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব‍্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত

মৃত্যু[সম্পাদনা]

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[৪][১০]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • পদ্মভূষণ - ২০২০, ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bangladesh appoints Syed Muazzem Ali as new envoy to India"The Economic Times। ২০১৪-০৯-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৩ 
  2. "Bangladesh missions observe Martyrs' Day"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৩ 
  3. একুশে পদক পাচ্ছেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক, ইত্তেফাক ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  4. "Ex-Bangladesh Foreign Secretary Muazzem Ali passes away"The Daily Star। ২০১৯-১২-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-৩০ 
  5. "Biography of Syed Muazzem Ali"bdhcdelhi.org (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৭ 
  6. "Ex-foreign secy Syed Muazzem Ali new Dhaka envoy to India"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৩ 
  7. "Dhaka appoints new High Commissioner to India"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৩ 
  8. "International Mother Language Day"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৩ 
  9. Habib, Haroon (২০১৪-০৯-২৯)। "Syed Muazzem Ali is new Bangladesh envoy"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৩ 
  10. "Ex-Bangladesh High Commissioner Muazzem Ali passes away"Daily Observer। ২০১৯-১২-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]