ঘোষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

'ঘোষ উপনাম ও পদবি সনাতন ধর্মালম্বী (হিন্দু) বাঙ্গালী দের ব্যবহৃত। ঘোষ উপনাম মূলত সদগোপ , গোয়ালা । উওরে রাঢ়ী অঞ্চলে কিছু সংখ্যায় " রাজবংশীয় " সম্পাদক অন্তরভুক্ত । " ঘোষ " গোত্র মূলত সৌকালীন, কাশ্যপ, শাণ্ডিল্য ও আলিম্যান , কোচ যুক্ত <

সদগোপ এবং গোয়ালা ঘোষদের বিভিন্ন গোত্র হয়ে থাকে, যথা: মোদগল্য/মধুকুল্য, কাশ্যপ, শান্ডিল্য, নাগঋষি, আলিম্যান ইত্যাদি। অনেকে সদগোপকে গোয়ালা জাতির একটি উন্নততর শাখা মনে করেন। কিন্তু এদের পরস্পরের জাতিগত পেশার অমিল দেখা যায়। কোচ রাজবাংশী ও সদগোপরা কৃষিজীবি সম্প্রদায়, আর গোয়ালারা দুগ্ধব্যবসায়ী।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

অন্যান্য অনেক বাঙালী পদবীর মতো এই পদবীটিও অন্তঃনাম থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়। অশ্বঘোষ, মিত্রঘোষ, বেদঘোষ, রুদ্রঘোষ, মন্ত্রঘোষ ইত্যাদি নামের প্রাচীন বাঙালিদের নামের শেষাংশ বংশ পরম্পরায় ব্যবহৃত হতে হতে ক্রমে পদবীতে রূপান্তরিত হয়েছে। কায়স্থ ঘোষ : বঙ্গদেশের সকল কায়স্থ ঘোষ সৌকালীন গোত্রীয় মকরন্দ ঘোষকে তাদের পূর্বপুরুষ হিসেবে মান্য করে থাকেন।

দক্ষিণ রাঢ়ী কায়স্থ ঘোষদের সকলেরই গোত্র সৌকালীন এবং তারা সকলেই নিজেদের সমাজে কুলীন হিসেবে গণ্য হয়ে থাকেন। দক্ষিণ রাঢ়ী কুলীন কায়স্থ ঘোষদের দুটি সমাজ - ১) আকনা, ২) বালী। মকরন্দ ঘোষের অধস্তন প্রভাকর আকনা এবং নিশাপতি বালীর ঘোষদের পূর্বপুরুষ।

বঙ্গজ কায়স্থ ঘোষরা মকরন্দ ঘোষের পৌত্র চতুর্ভূজ থেকে বংশ গণনা করে থাকে। এদের কেউ কেউ কুলীন, কেউ কোনক্রমে কৌলীনত্ব রক্ষা করতে না পেরে অকুলীন শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হয়েছেন।

ধ্রুবানন্দ মিশ্রের বঙ্গজ কায়স্থ ঘটককারিকায় ঘোষ বংশের পরিচয় লিখিত আছে -