ধুলাউড়ি ইউনিয়ন

স্থানাঙ্ক: ২৪°৬′৫″ উত্তর ৮৯°২৮′৩৯″ পূর্ব / ২৪.১০১৩৯° উত্তর ৮৯.৪৭৭৫০° পূর্ব / 24.10139; 89.47750
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধুলাউড়ি
ইউনিয়ন
ধুলাউড়ি রাজশাহী বিভাগ-এ অবস্থিত
ধুলাউড়ি
ধুলাউড়ি
ধুলাউড়ি বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ধুলাউড়ি
ধুলাউড়ি
বাংলাদেশে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৬′৫″ উত্তর ৮৯°২৮′৩৯″ পূর্ব / ২৪.১০১৩৯° উত্তর ৮৯.৪৭৭৫০° পূর্ব / 24.10139; 89.47750 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাপাবনা জেলা
উপজেলাসাঁথিয়া উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
মানচিত্র
মানচিত্র

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন।

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

ধুলাউড়ি ইউনিয়নটি সাঁথিয়া উপজেলার উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এই ইউনিয়নের পূর্বদিকে নাগডেমড়া ইউনিয়ন, উত্তরে ফরিদপুর উপজেলা, পশ্চিমে ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে ধোপাদহ ইউনিয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত। ইউনিয়নটি ২৩.৫৭ এবং ২৪.০৯ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ডিগ্রী ২৪ সেঃমিঃ ও ৮৯ ডিগ্রী ৩৮ সেঃমিঃ দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

যোগাযোগ[সম্পাদনা]

উপজেলার হেডকোয়ারটার প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জেলা শহর থেকে ইউনিয়নটির দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস, সিএনজি, নসিমন,করিমনসহ ব্যক্তিগত যানবাহনের মাধ্যমে। ইছামতি নদী ইউনিয়নের প্রায় মাঝ বরাবর প্রবাহিত।

প্রশাসনিক তথ্য[সম্পাদনা]

ধুলাউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ

ক্রঃ নং চেয়ারম্যানদের নাম গ্রাম দায়িত্বকাল
মোঃ হোসেন ফকির ধুলাউড়ি ১৯৮২-১৯৮৭
মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ আলোকদিয়ার ১৯৮৭-১৯৯২
মোঃ আরশেদ আলী ধুলাউড়ি ১৯৯২-১৯৯৮
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আলোকদিয়ার ১৯৯৮-২০০৩
মোঃ মোখলেছুর রহমান ধুলাউড়ি ২০০৩-২০১১
মোঃ আমজাদ হোসেন ধুলাউড়ি ২০১১-২০১৬
মোঃ জরিফ আহমেদ ধুলাউড়ি ২০১৬-বর্তমান

আয়তন[সম্পাদনা]

এই ইউনিয়নের আয়তন প্রায় ২৯.১৯ বর্গ কিলোমিটার।[১]

শিক্ষার হার[সম্পাদনা]

প্রায় ৭২ শতাংশ।[১]

জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আসন

সংসদীয় আসন-৬৮ (পাবনা-১) নির্বাচনী এলাকার অন্তর্গত। বর্তমান সাংসদ জনাব শামসুল হক টুকু।

গ্রামের তালিকা[সম্পাদনা]

এই ইউনিয়নে মোট ২৩ টি গ্রাম।

  1. ধুলাউড়ি
  2. বাউশগাড়ী
  3. রুপসী
  4. লক্ষীপুর
  5. ডহরজানী
  6. বিলচাপড়ী
  7. চরপাড়া
  8. সোনাকান্দর
  9. নূরদহ
  10. পিড়াহাটি
  11. মাদারবাড়িয়া
  12. তেরখাদা
  13. বিলসলঙ্গী
  14. কাশিনাথপুর
  15. আলোকদিয়ার
  16. রাউতি
  17. ফুলবাড়ি
  18. ছোট পাইকশা
  19. মনোহরগাতী
  20. নিকুরদহ
  21. পুরান ধুলাউড়ি
  22. নতুনপাড়া ধুলাউড়ি
  23. রামকান্তপুর

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৬৫০০ জন।

গ্রামভিত্তিক লোকসংখ্যা[সম্পাদনা]

গ্রামের নাম জনসংখ্যা গ্রামের নাম জনসংখ্যা
চরপাড়া ২৪৭৩ জন নিকুরদহ ৪৮১ জন
সোনাকান্দর ৬৭৫ জন মনোহরগাতি ৭৮৫ জন
ডহরজানি ১৭০২ জন আলোকদিয়ার ২০৮৬ জন
বিলচাপড়ী ১৮১৫ জন মাদারবাড়িয়া ৭৫০ জন
নুরদহ ৭২২ জন তেরখাদা ৬৬৮ জন
পিড়াহাটি ২১২৫ জন বিলসলংগী ১৩৯৯ জন
লক্ষিপুর ১৬০৪ জন কাশিনাথপুর ৩১৪ জন
বাউশগাড়ি ১৪০২ জন রাউতি ১৩৩৩ জন
রুপসী ১১৮৫ জন ফুলবাড়ী ৯৩৯ জন


ধুলাউড়ি ৪৯৭১ জন পাইকশা                  ৬৩০ জন
নতুনপাড়া ধুলাউড়ি ২০৪৪ জন রামকান্তপুর               ৮১৩ জন
পুরাণ ধুলাউড়ি ৬৯৭ জন মোট = ৩০২১৪ জন

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী [১]

ধর্ম

ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। দ্বিতীয় প্রধান ধর্ম হিন্দু বা সনাতন। এছাড়া সামান্য কয়েকজন খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। তবে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে।

জীবিকা[সম্পাদনা]

এটি মূলত কৃষি ভিত্তিক অঞ্চল। ধান, পাট, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, পটল, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, করলা ইত্যাদি প্রধান কৃষি পণ্য। এছাড়া আম, লিচু, কুল, পেয়ারা, পেঁপে, কলা ইত্যাদি ফল প্রচুর উৎপাদিত হয়। আমিষের চাহিদা পূরণ হয় প্রধানত মাছে। অনেকেই পারিবারিকভাবে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, মহিষ পালন করেন।

এছাড়া সরকারি বেসরকারি চাকুরি করেন অনেকেই।

এ অঞ্চল তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

প্রতিষ্ঠানসমূহ[সম্পাদনা]

  • শিক্ষাঃ ইউনিয়নে একটি কামিল মাদ্রাসা, একটি কলেজ, তিনটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০ টির অধিক।
  • অর্থনৈতিকঃ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে। এছাড়া আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, অনন্যা এনজিও তাদের কার্যক্রম চালু রেখেছে।
  • বাণিজ্যিকঃ তিনটি হাট-বাজার রয়েছে। হাটে কৃষিপণ্য, গরু, ছাগল, মহিষ ইত্যাদি বেচাকেনা হয়। ধুলাউড়িতে সাপ্তাহিক হাট শুক্র ও সোম বার বসে। অন্যান্য দিনে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচাকেনা হয়।
  • আইন-শৃঙ্খলাঃ ধুলাউড়িতে একটি পুলিশ ফাঁড়ি অবস্থিত। এছাড়া গ্রাম পুলিশ রয়েছে।
  • স্বাস্থ্যসেবাঃ ধুলাউড়ি গ্রামে একটি উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
  • ডাকঘর/পোস্ট অফিসঃ ২টি। নূরদহ ও বিলসলঙ্গী গ্রামে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস[সম্পাদনা]

ধুলাউড়ি

১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকারদের সহায়তায় ধুলাউড়ি ফকিরপাড়ায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটপাট চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ও অনেক গ্রামবাসীকে রশি দিয়ে বেঁধে ধুলাউড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের ইছামতি নদীতীরে এনে জবাই করে হত্যা করা হয়। মুক্তিবাহিনীর একটি প্ল্যাটুনের মোট ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১১ জনকে ধরে এনে জবাই করে হত্যা করা হয়। অবশিষ্ট ১৯ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। শহিদদের দেহ নদীতীরেই পড়ে ছিল। পাকিস্তানি সৈন্যরা স্থান ত্যাগ করার পর এলাকাবাসী সেখানে এসে শহিদদের লাশ দাফন করার ব্যবস্থা করেন। একই গণকবরে সবাইকে সমাহিত করা হয়।

এই আক্রমণে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীদের সকলের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তাদের মধ্য থেকে নিম্নবর্ণিত ৮ জনের নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, তারা হলেন:

শহিদ আখতার আলম, গ্রাম : ইসলামপুর

শহিদ দারা হোসেন, গ্রাম : রঘুনাথপুর

শহিদ চাঁদ বিশ্বাস,

শহিদ খবির উদ্দিন, গ্রাম : পদ্মবিলা

শহিদ শাহজাহান আলী, গ্রাম : চর তারাপুর

শহিদ মসলেম উদ্দিন, গ্রাম : চর তারাপুর

শহিদ মহসিন আলী, গ্রাম : কাজিপুর

শহিদ মোকসেদ আলী , গ্রাম : বামনডাঙা।

১১ জন মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও সেদিন ৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে জবাই করে হত্যা করা হয়। সৌভাগ্যক্রমে মো. শাহজাহান গলাকাটা অবস্থায় সেদিন প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমানে এলাকায় তিনি ‘গলাকাটা শাহজাহান’ নামে পরিচিত। পাকিস্তান আমলে তিনি একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন, কিন্তু স্বাধীনতার পর তিনি আর চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি। আরও কয়েকজন গ্রামবাসীকে সেদিন গুলি করে হত্যা করা হয়। সকলের নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। যাদের নাম পাওয়া গিয়েছে তারা হলেন:

১. শহিদ আউয়াল খলিফা

২. শহিদ গফুর খলিফা

৩. শহিদ নঈম খলিফা

৪. শহিদ কোবাদ বিশ্বাস

৫. শহিদ কাশেম ফকির

৬. শহিদ জহুরুল ফকির

৭. শহিদ রশিদ ফকির

৮. শহিদ আকতার হোসেন

৯. শহিদ ওয়াজেদ আলী

১০. শহিদ মাহাতুন বিবি।

২৭ শে নভেম্বর রাতে ধুলাউড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়িতে বিবাহের অনুষ্ঠান ছিল। অনেক নারী অতিথিও ছিলেন সেখানে। পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকাররা সেই বাড়িতে প্রবেশ করে লুটপাট ও নারীনির্যাতন করে।

ধুলাউড়ি গ্রামের বাসিন্দারা শহিদদের স্মরণে প্রতি বছর ২৭শে নভেম্বর স্মরণসভার আয়োজন করেন। শহিদদের নাম সংবলিত গণকবরটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করেন তারা। শহিদদের স্মরণে গণকবরের স্থানে একটি সমাধিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। [২]

বাউশগাড়ি-রূপসী[৩][৪][৫]

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই মে ইউনিয়নের বাউশগাড়ি ও রূপসী গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী ডেমরা গ্রামে পাক বাহিনী উত্তরবঙ্গের অন্যতম ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালায়। রাজাকার ও শান্তি কমিটি পাক বাহিনীকে সহায়তা করে। এদিন ভোরের আজান দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেড় শতাধিক পাকিস্তানি সৈন্য পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমড়া এবং সাঁথিয়া উপজেলার রূপসী ও বাউশগাড়ি গ্রামে অতর্কিত হামলা চালায়। পাশাপাশি গ্রাম ৩টি ঘিরে ফেলে হানাদার সৈন্যরা এবং নির্বিচারে গুলি চালায়। ঘুমন্ত গ্রামবাসীর গুলির আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে জঙ্গলে, পুকুরে লুকিয়ে পড়লেও পাকসেনারা নির্বিচারে তাদের ধরে এনে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। আনুমানিক ৭৫০ জন নরনারী এতে শাহাদাৎ বরণ করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বড়াল নদীর তীরবর্তী এই গ্রাম ৩টিকে নিরাপদ মনে করে বিভিন্ন এলাকার হিন্দু-মুসলমানরা আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল বড় ব্যবসায়ী এবং অবস্থাপন্ন গৃহস্থ। হানাদার পাক সৈন্যদের এই এলাকার সন্ধান দেয় কিছু মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর সদস্য। হানাদার বাহিনী রাত আনুমানিক ৪টায় গ্রাম ৩টি ঘিরে ফেলে। তারা অস্ত্রের মুখে গ্রামবাসীকে জিম্মি করে যুবতী নারীদের ধর্ষণ করে। যুবকদের গুলি ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। পার্শ¦বর্তী দিঘুলিয়া, রতনপুর, নাগডেমড়া, কালিয়ান,বারোয়ানি গ্রামের মানুষজন বিকেলে গ্রাম ৩ টিতে যেয়ে মৃতদেহগুলো গণকবর দেয়। গভীর রাত পর্যন্ত মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়।

২০১১-১২ সালে শহিদদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।

এই দুই অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামীকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিচার সম্পাদন করে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৬ সালের ১১ই মে রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ধুলাউড়ি ইউনিয়ন"www.dhulauriup.pabna.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২১ 
  2. "একাত্তরে গণহত্যা ও বধ্যভূমি : ধুলাউড়ি গ্রামে গণহত্যা"www.bhorerkagoj.com। ২০১৯-০৯-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২১ 
  3. "পাবনার ডেমরা বাউশগাড়ী গণহত্যা দিবস পালিত"NTV Online। ২০১৯-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৩ 
  4. "আজ ডেমরা গণহত্যা দিবস || দেশের খবর"জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৩ 
  5. "ডেমড়া ইউনিয়ন"www.demraup.pabna.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৩ 
  6. "নিজামীর ফাঁসি কার্যকর"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৪