প্যারিসের স্বাধীনতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্যারিসের স্বাধীনতা
মূল যুদ্ধ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপারেশন ওভারলোড

ফরাসি দ্বিতীয় সশস্ত্র বিভাগের জন্য শঁজেলিজেতে প্যারিসবাসীর লাইন, ২৬ আগস্ট ১৯৪৪
তারিখ১৯–২৫ আগস্ট ১৯৪৪
অবস্থান
প্যারিস ও আউটস্কার্ট, ফ্রান্স
ফলাফল

মিত্রশক্তির বিজয়

বিবাদমান পক্ষ
ফ্রান্স ফ্রান্স
 • টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত স্বাধীন ফ্রান্স ফরাসি রেজিস্টেন্স
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 যুক্তরাজ্য
 জার্মানি
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
নাৎসি জার্মানি ডিয়েট্রিশ ফন শোল্টিৎজ আত্মসমর্পণকারী
জড়িত ইউনিট
টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত স্বাধীন ফ্রান্স এফএফআই
 • স্পেনীয় নির্বাসন
ফ্রান্স দ্বিতীয় সশস্ত্র বিভাগ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ পদাতিক বিভাগ
নাৎসি জার্মানি ৩২৫তম নিরাপত্তা বিভাগ
মিলিস
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
  • ফরাসি রেজিস্টেন্স:
    • ১,৬০০ মৃত্যু[১]
  • স্বাধীন ফরাসি বাহিনী:
    • ১৩০ মৃত্যু
    • ৩১৯ আহত[২]
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: অজানা[৩]
  • ৩,২০০ মৃত্যু
  • ১২,৮০০ বন্দী[১]

প্যারিসের স্বাধীনতা (প্যারিস ও বেলজিয়ামের যুদ্ধ নামেও পরিচিত) ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সংগঠিত যুদ্ধ। এটি ১৯৪৪ সালের ১৯শে আগস্ট থেকে ১৯৪৪ সালের ২৫শে আগস্ট পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জার্মান গ্যারিসনের আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত চলে। ১৯৪০ সালের ২২শে জুন দ্বিতীয় কম্পিয়নিয়ে আর্মিস্টিস সাক্ষরের পর ভেরমাশট উত্তর ও পশ্চিম ফ্রান্স দখল করার পর থেকে নাৎসি জার্মানি প্যারিস শাসন করে।

স্বাধীনতার সূত্রপাত ঘটে যখন আভ্যন্তরীণ ফরাসি সৈন্যরা জেনারেল জর্জ প্যাটনের নেতৃত্বে মার্কিন তৃতীয় সেনাবাহিনীর আগমনে জার্মান গ্যারিসনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটায়। ২৪শে আগস্ট রাতে জেনারেল ফিলিপ ল্যক্লার্কের দ্বিতীয় ফরাসি সশস্ত্র বিভাগ প্যারিসের দিকে এগিয়ে যায় এবং মধ্য রাতের কিছু সময় পূর্বে ওতেল দ্য ভিলে পৌঁছায়। পরের সকালে ২৫শে আগস্ট দ্বিতীয় সশস্ত্র বিভাগ ও মার্কিন চতুর্থ পদাতিক বিভাগের কিছু অংশ শহরে প্রবেশ করে। জার্মান গ্যারিসনের কমান্ডার ও প্যারিসের সেনা গভর্নর ডিয়েট্রিশ ফন শোল্টিৎজ নব্য প্রতিষ্ঠিত ফরাসি সদর দপ্তর ওতেল মোরিসে ফরাসিদের নিকট আত্মসমর্পণ করে। ফরাসি সেনাবাহিনীর জেনারেল শার্ল দ্য গোল ফ্রান্স প্রাদেশিক সরকারের প্রধান হিসেবে শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে পৌঁছান।

পটভূমি[সম্পাদনা]

মিত্রশক্তি চেয়েছিল জার্মান বাহিনীকে ধ্বংস করে রাইনের দিকে নিয়ে যেতে, কিন্তু অঁরি রল-তাঙ্গুইয়ের নেতৃত্বে আভ্যন্তরীণ ফরাসি সেনাবাহিনী প্যারিসে অভ্যুত্থান ঘটায়।

সাধারণ ধর্মঘট (১৫-১৯ আগস্ট ১৯৪৪)[সম্পাদনা]

১৫ই আগস্ট পঁত্যাঁর উত্তর-পূর্ব উপশহরে ১,৬৫৪ জন পুরুষ ও ৫৪৬ জন নারী, সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মধ্য থেকে পুরুষদের বুশেনভাল্ডের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ও নারীদের রাভেন্সব্রুক কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়। প্যারিসের পঁত্যাঁ অঞ্চল দিয়েই ১৯৪০ সালের জুনে জার্মানরা ফ্রান্সের রাজধানীতে প্রবেশ করে।[৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Libération de Paris [Liberation of Paris]" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে (in French). (PDF format).
  2. "The Lost Evidence – Liberation of Paris". হিস্টরি.
  3. "Libération de Paris forces américaines" (ফরাসি ভাষায়).
  4. "Archived copy" (পিডিএফ)। ২৭ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  (PDF format). Pantin official website.
  5. [১] (PDF format). Pantin official website.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]