লিজলে নাজেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিজলে নাজেল
১৯৩৪-৩৫ মৌসুমের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে লিজলে নাজেল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলিজলে আর্নেস্ট নাজেল
জন্ম৬ মার্চ, ১৯০৫
বেন্ডিগো, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১
মর্নিংটন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
উচ্চতা৬ ফুট ৬ ইঞ্চি (১.৯৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ১৪৪)
২ ডিসেম্বর ১৯৩২ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৬
রানের সংখ্যা ২১ ৪০৭
ব্যাটিং গড় ২১.০০ ১২.৩৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২১* ৪৪
বল করেছে ২৬২ ৪৬১১
উইকেট ৬৭
বোলিং গড় ৫৫.০০ ২৮.৩৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/১১০ ৮/৩২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ১২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

লিজলে আর্নেস্ট নাজেল (ইংরেজি: Lisle Nagel; জন্ম: ৬ মার্চ, ১৯০৫ - মৃত্যু: ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১) ভিক্টোরিয়ার বেন্ডিগো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন লিজলে নাজেল

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯২৭-২৮ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত লিজলে নাজেলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে একটি খেলায় অংশ নেন। এরপর ১৯৩০-৩১ মৌসুম থেকে ১৯৩৩-৩৪ মৌসুম পর্যন্ত নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৩১-৩২ মৌসুমে ২৫.০৫ গড়ে ১৯ উইকেট পেয়েছিলেন লিজলে নাজেল।[১] এ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬/৩৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন তিনি।[২]

১৯৩২-৩৩ মৌসুমে টেস্ট দলে খেলার উদ্দেশ্যে প্রথম খেলায় তাকে জোরপূর্বক অংশগ্রহণ করানো হয়। ডগলাস জারদিনের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী এমসিসি দলকে একাই কাবু করে ফেলেন। নভেম্বর, ১৯৩২ সালে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে খেলার জন্যে মনোনীত হন। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৮/৩২ নিয়ে এমসিসিকে একাই ৬০ রানে গুটিয়ে দেন।[৩] তবে, এর পূর্বে নিজ গাড়ি দূর্ঘটনার কবলে নিপতিত হলে কনুইয়ে জখমপ্রাপ্ত হন ও পূর্ববর্তী খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন। এরফলে আট উইকেট পেলেও হাতে যথেষ্ট চাপ পড়ে তার।

জ্যাক রাইডারের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। এ পর্যায়ে সিন্ধু দলের বিপক্ষে ৫/২৪ ও মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে ৭/৫৩ পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে ফ্রাঙ্ক টার‌্যান্টের অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলীয় দলের সদস্যরূপে ভারত ও সিলন গমন করেন। ১৯৩৯-৪০ মৌসুমে ১৩.৪৫ গড়ে ৮৬ উইকেট নিয়ে মেলবোর্ন জেলা রেকর্ড গড়েন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন লিজলে নাজেল। ২ ডিসেম্বর, ১৯৩২ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। প্রস্তুতিমূলক খেলায় দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে প্রথম টেস্টে অংশ নেন ও ২/১১০ লাভ করেছিলেন।[৪]

এরপর আর তিনি টেস্টে অংশগ্রহণ করেননি। দ্বিতীয় টেস্টে অংশগ্রহণ করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়। তবে, সিরিজের পঞ্চম টেস্টে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হলেও কাজের চাপে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

বলকে বেশ সুইং করাতে পারতেন। দীর্ঘদেহী ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন লিজলে নাজেল। ঘাড়ের আঘাতের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এ প্রসঙ্গে বিল ও’রিলি মন্তব্য করেন যে, ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে দলীয় সদস্য নির্বাচনের খেলায় স্লিপ অঞ্চলে উভয়ে দণ্ডায়মান ছিলাম। এক পর্যায়ে তিনি কোন কিছু বলতে চাইলে ঘাড়ের টান অনুভব করেন। ও’রিলি’র বক্তব্যের পরও লিজলে নাজেল খেলেছিলেন। এরপূর্বে বলে পেস কম থাকলেও পর্যাপ্ত সুইং করতে পারতেন।

২৩ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার মর্নিংটন এলাকায় লিজলে নাজেলের দেহাবসান ঘটে। স্বীয় ভ্রাতা ভার্ননের সাথে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবে একত্রে খেলতেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]