এন টি রামা রাও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এন. টি. রামা রাও
এন. টি. রামা রাও
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৯ জানুয়ারি ১৯৮৩ – ১৬ আগস্ট ১৯৮৪
গভর্নরকে. সি. আব্রাহাম
ঠাকুর রাম লাল
পূর্বসূরীকোটলা বিজয় ভাস্কর রেড্ডি
উত্তরসূরীএন. টি. রামা রাও
কাজের মেয়াদ
১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ – ২ ডিসেম্বর ১৯৮৯
গভর্নরশঙ্কর দয়াল শর্মা
পূর্বসূরীনাদেন্দলা ভাস্কর রাও
উত্তরসূরীমারি চেন্না রেড্ডি
কাজের মেয়াদ
১২ ডিসেম্বর ১৯৯৪ – ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫
গভর্নরকৃষাণ কান্ত
পূর্বসূরীকোটলা বিজয় ভাস্কর রেড্ডি
উত্তরসূরীনারা চন্দ্রবাবু নাইডু
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯২৩-০৫-২৮)২৮ মে ১৯২৩[১]
নিম্মাকুড়ু, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত)
মৃত্যু১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬(1996-01-18) (বয়স ৭২)[২]
হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত
(বর্তমান তেলেঙ্গানা, ভারত)
মৃত্যুর কারণহৃদরোগ
রাজনৈতিক দল তেলুগু দেশম পার্টি
(১৯৮২–১৯৯৬)
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
ন্যাশনাল ফ্রন্ট (১৯৮৯–১৯৯৬)
দাম্পত্য সঙ্গীবাসবাতারকম (বি. ১৯৪২–১৯৮৫) (মৃত)
লক্ষ্মী পার্বতী (বি. ১৯৯৩)
সন্তাননন্দমুরি রামকৃষ্ণ সিনিয়র (মৃত্যু)
নন্দমুরি জয়কৃষ্ণ
নন্দমুরি সাঁইকৃষ্ণ (মৃত)
নন্দমুরি হরিকৃষ্ণ (মৃত)
নন্দমুরি মোহনকৃষ্ণ
নন্দমুরি বালকৃষ্ণ
নন্দমুরি রামকৃষ্ণ জুনিয়র
নন্দমুরি জয়শঙ্কর কৃষ্ণ
নারা ভূবণেশ্বরী
কান্তামনেনি উমা মহেশ্বরী
দাগ্গুবাতি পুরন্দরেশ্বরী
গরপতি লোকেশ্বরী
পিতামাতানন্দমুরি লক্ষ্মাইয়া চৌধুরী
নন্দমুরি বেঙ্কটা রামাম্মা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঅন্ধ্র-ক্রিশ্চান কলেজ, গুন্টুর
ধর্মহিন্দু
পুরস্কারপদ্মশ্রী (১৯৬৮)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)

নন্দমুরি তারক রামা রাও (২৮ মে ১৯২৩[১] – ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬), এন টি আর হিসাবে জনপ্রিয়,ইনি ছিলেন একজন ভারতীয় তেলুগু অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ, যিনি তিনবারে সাত বছর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে ব্যপকভাবে গণ্য করা হয় এবং আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাওয়ের সঙ্গে তাঁকে তেলুগু চলচ্চিত্রের অন্যতম দুই কিংবদন্তি বলা হয়।[৩][৪] এন টি আর মাদ্রাজের ন্যাশনাল আর্ট থিয়েটারের ব্যানারে তার সহ-প্রযোজিত থোডু দোঙ্গালু (১৯৫৪) ও সীতারাম কল্যাণম (১৯৬০) এবং তার নিজের পরিচালিত ভারকাতনম (১৯৭০) চলচ্চিত্রের জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৫][৬] এনটিআর রাজু পেদা (১৯৫৪) ও লব কুশ (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার অর্জন করেন।[৭][৮][৯] তিনি ১৯৭০ সালে কোদালু দিদ্দিনা কর্পূরাম চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে নন্দী পুরস্কার, এবং ১৯৭২ সালে বাদি পানথুলু চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে উদ্বোধনী নন্দী পুরস্কার লাভ করেন।[৭][৯][১০]

এনটিআর ১৯৪৯ সালে এল. ভি. প্রসাদ পরিচালিত তেলুগু সামাজিক-নাট্য মানা দেশম চলচ্চিত্রে একজন অভিনেতা হিসাবে তার অভিষেক করেন। ১৯৫০ এর দশকে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, যখন তিনি তাঁর হিন্দু দেবদেবীদের বিশেষত কৃষ্ণরামের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সুপরিচিত হয়েছিলেন,[১১] চরিত্রগুলো যা তাকে "জনসাধারণের নায়ক" করে তুলেছিল।[১২] পরে তিনি চলচ্চিত্রে খলচরিত্র এবং রবিনহুড সুলভ নায়ক চরিত্রের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি সর্বমোট ৩০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, এবং তেলুগু চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন।[১৩][১৪][১৫][১৬] তিনি ২০১৩ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে সিএনএন-আইবিএন জাতীয় জরিপে "সর্বকালের সেরা ভারতীয় অভিনেতা" হিসাবে নির্বাচিত হন।[১৭][১৮][১৯][২০]

তিনি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যেমন পাতাল ভৈরবী (১৯৫১), যা ১৯৫২ সালের ২৪ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ১ম ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়,[২১][২২] মল্লিশ্বরী (১৯৫১), এশিয়া প্যাসিফিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়,[২৩] মায়াবাজার (১৯৫৭) ও নর্তনশালা (১৯৬৩), জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।[২৪] চারটি চলচ্চিত্রের সবগুলোই সিএনএন-আইবিএনের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ ভারতীয় চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান করে নেয়।[২৫]

তিনি উম্মাডি কুটুম্বম চলচ্চিত্র যৌথভাবে প্রযোজন করেছিলেন, যা ১৯৬৮ সালের মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের চলচ্চিত্র ফেডারেশন কর্তৃক অন্যতম প্রবেশিকা হিসাবে মনোনীত হয়েছিলো।[১৩][২৬] তেলুগুর পাশাপাশি তিনি কিছু সংখ্যক তামিল চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন।[২৭] পৌরাণিক চরিত্রে তাঁর চরিত্রায়নের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, এনটিআর ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি অভিনেতা ছিলেন,[১১] গণমাধ্যমে তাঁকে বিশ্ব বিখ্যাত নট সার্বভৌম (অনু. বিশ্ববিখ্যাত সার্বভৌম অভিনেতা) হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[২৮] ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার কর্তৃক তিনি পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত হন।

চলচ্চিত্রে কর্মজীবনের পর এনটিআর ভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনবার কোলাহলপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একজন প্রবক্তা হিসাবে পরিচিত ছিলেন, ফলে প্রাক্তন মাদ্রাজ রাজ্যের থেকে সংস্কৃতি টি পৃথক হয়, যা প্রায়শই একীভূত করা হতো। জাতীয় পর্যায়ে, তিনি অ-কংগ্রেস দলগুলোর একটি জোট জাতীয় ফ্রন্ট গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন, যা ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভারত শাসন করে।[২৯]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

রমা রাও ১৯২৩ সালের ২৮ মে[১] কৃষ্ণ জেলার গুড়িবড়া তালুকের একটি ছোট্ট গ্রাম নিম্মকুরুতে জন্মগ্রহণ করেন, যা ব্রিটিশ ভারতের প্রাক্তন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অংশ ছিল। তিনি একটি কৃষক দম্পতি নন্দমুরি লক্ষ্মায়া চৌদারি ও নন্দমুরি ভেনকাট রমম্মার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, তবে তাঁর চাচা-চাচি নিঃসন্তান ছিলেন বলে তাঁর পিতামাতা তাকে তাদের কাছে দত্তক হিসাবে দিয়েছিলেন।[৩০] তিনি প্রথম তার গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে এবং পরে বিজয়বড়ায় পড়াশোনা করেছিলেন। ১৯৪০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করার পর তিনি বিজয়বড়ার এসআরআর অ্যান্ড সিভিআর কলেজ ও গুন্টুরের অন্ধ্র-খ্রিস্টান কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি গুন্টুর জেলার প্রতীপড়ুতে মাদ্রাজ কর্ম কমিশনে (বর্তমানে তামিলনাড়ু সরকারি কর্ম কমিশন) উপ-নিবন্ধক (sub-register) হিসাবে যোগদান করেন, তবুও তিনি অভিনয়ের প্রতি নিজেকে নিযুক্ত করার জন্য তিন সপ্তাহের মধ্যেই চাকরি ছেড়ে দেন।[৩১] তিনি যুবক বয়সেই ব্যারিটোন গায়কী কন্ঠ বিকাশ করেন।[১১]

চলচ্চিত্র কর্মজীবন[সম্পাদনা]

এনটি রমা রাও কন্যাসুলকম (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে গিরিসম ভূমিকা চিত্রিত করছেন

এনটিআর তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন মান দেশম (১৯৪৯) চলচ্চিত্রে একজন পুলিশ সদস্যের ভূমিকায়।[১১] এরপরে তিনি বি. এ. সুবা রাও পরিচালিত পলেতুরি পিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৩২] তাঁর প্রথম পৌরাণিক চলচ্চিত্র ছিল ১৯৫৭ সালে, যেখানে তিনি কৃষ্ণ চরিত্রে ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র মায়া বাজারে অভিনয় করেন।[৩৩] তিনি শ্রী কৃষ্ণারজুন যুধাম (১৯৬২), তামিল চলচ্চিত্র কর্ণন (১৯৬৪) ও দানা বীরা সুরা কর্ণ (১৯৭৭) এর মতো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসহ ১৭টি চলচ্চিত্রে কৃষ্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩৩] তিনি ভগবান রামের চরিত্রায়নের জন্যও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, লাভ কুশ (১৯৬৩) ও শ্রী রমনজনেয়া যুধাম (১৯৭৪) এর মতো কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি এই ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি রামায়ণ থেকে অন্যান্য কয়েকটি চরিত্রেও অভিনয় করেছেন যেমন ভুকাইলাস (১৯৫৮) ও সীতারাম কল্যাণম (১৯৬১) চলচ্চিত্রগুলোতে রাবণ ভূমিকা পালন করেছেন। অন্যগুলোর মধ্যে তিনি শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মহাত্ম্যম (১৯৬০) এর মতো চলচ্চিত্রে ভগবান বিষ্ণু এবং দক্ষিণায়গম (১৯৬২) এর মতো চলচ্চিত্রে ভগবান শিবের চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ভীষ্ম, অর্জুণ, কর্ণদুর্যোধনের মতো মহাভারতের চরিত্রগুলোতেও অভিনয় করেছেন।

কর্মজীবনের পরবর্তীতে, তিনি তার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে বীরসুলভ অভিনয় বন্ধ করে দিয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করা দরিদ্র বীর যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করা শুরু করেছিলেন। চলচ্চিত্রগুলো সাধারণ মানুষের অনুভূতিতে আবেদন করেছিল, এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দেবুড়ু চেসিনা মানুশুলু (১৯৭৩), আদাবী রামুডু (১৯৭৭), ড্রাইভার রামুডু (১৯৭৯), ভেটাগাড়ু (১৯৭৯), সরদার পাপা রায়ুডু (১৯৮০), কোন্দাবতী সিংহাম (১৯৮১), বিচারপতি চৌধারি (১৯৮২) ও ববিলি পুলি (১৯৮২) প্রভৃতি। তিনি কাল্পনিক চরিত্রেও অভিনয় করেছেন, সে ঘরানার তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ইয়ামাগোলা (১৯৭৭)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তাঁর চলচ্চিত্র লাভ কুশ, যেখানে তিনি রাম ভূমিকায় অভিনয় করেন, যা ১৯৬৩ সালে ১ কোটি সংগ্রহ করেছিলো। তিনি সাধু মহাপুরুষদের জীবন–কাহিনী ভিত্তিক (hagiographical) চলচ্চিত্র শ্রীমাদ বিরাট বীরব্রহ্মেন্দ্র স্বামী চরিত্র (১৯৮৪) পরিচালনা ও অভিনয় করেছিলেন। তিনি ব্রাহ্মশ্রী বিশ্বমিত্র (১৯৯১) ও মেজর চন্দ্রকান্ত (১৯৯৩) এর মতো চলচ্চিত্রেরও অভিনয় করেছেন। তাঁর শেষ চলচ্চিত্র ছিলো তেলুগু কবি শ্রীনাথের জীবনী শ্রীনাথ কবি সর্বভৌমুডু, যা ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়।

এনটিআর কর্মজীবনের শেষার্ধে চিত্রনাট্যকার হয়ে ওঠেন। চিত্রনাট্য রচনার কোনও আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অন্যান্য নির্মাতাদের জন্যও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেন। তিনি তাঁর চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ন্যাশনাল আর্ট থিয়েটার প্রাইভেট লিমিটেড, মাদ্রাজ, পরবর্তীকালে রামকৃষ্ণ স্টুডিওজ, হায়দ্রাবাদ এর মাধ্যমে তাঁর নিজের অনেক চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অন্যান্য অভিনেতার চলচ্চিত্রও প্রযোজনা করেছিলেন। তিনি তার এই প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে বেশি বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালিয়েছিলেন।[৩৪] চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও বিতরণে অর্থায়ন করে এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা নকশা ও প্রয়োগে তিনি প্রভাবশালী ছিলেন।[৩৫] তিনি তাঁর পেশার প্রতি এতটাই নিবেদিত ছিলেন যে কোনও নির্দিষ্ট চরিত্রকে পুরোপুরি এবং বাস্তবভাবে ফুটিয়ে তুলতে প্রায়শই তিনি নতুন নতুন জিনিস শিখতেন। ৪০ বছর বয়সে তিনি নর্তনশালা (১৯৬৩) চলচ্চিত্রের জন্য খ্যাতিমান কুচিপুডি নৃত্যশিল্পী ভেমপতি চিন্না সত্যমের কাছ থেকে নৃত্য শিখেছিলেন।[৩৬]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৮২ সালের ২৯ মার্চ হায়দরাবাদে এনটিআর প্রতিষ্ঠিত তেলুগু দেশম পার্টিতে (টিডিপি) যোগ দিয়েছিলেন একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ নাদেন্দলা ভাস্কর রাও। তিনি বলেছিলেন যে এই সিদ্ধান্তটি অন্ধ্রপ্রদেশকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের দুর্নীতিবাজ ও অদৃশ্য শাসন থেকে মুক্তি দেওয়ার ঐতিহাসিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে ছিল, যা ১৯৫৬ সালে এই রাজ্য গঠনের পর থেকে রাজ্য পরিচালনা করেছিল এবং যেটির নেতৃত্বে পাঁচ বছরে পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রী বদলেছিলো।[৩৭]

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম মেয়াদ, ১৯৮৩[সম্পাদনা]

নির্বাচনে টিডিপি সঞ্জয় বিচার মঞ্চ দলের সাথে জোট বেঁধেছিল এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে নির্বাচনের মাঠে এমন প্রার্থীদের বাছাই করা হবে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ও যাদের সমাজে আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং যারা দুর্নীতিতে জড়িত নয়, যা সেই সময়ে একটি উদ্ভাবনী রাজনৈতিক ধারণা ছিল। এনটিআর নিজে গুড়িবড়াতিড়ুপতি দুটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এনটিআর প্রচারণায় অনেক অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলন, যেমন প্রথম ভারতীয় রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রচারণার জন্য রথযাত্রা ব্যবহার করেছিলেন। তবে, এমজিআরই নির্বাচনের জন্য প্রথম ওপেন টপ ভ্যান প্রচারণা শুরু করেছিলেন, কারণ মনে করা হয় যে তিনি রোড শোগুলোকে বিশাল জনসভাগুলোর বিকল্প উল্লেখ করতে পারবেন, যেখানে প্রচুর অর্থের পাশাপাশি জনশক্তি জড়িত থাকে।[৩৮] এজন্য তিনি একটি সংশোধিত শেভ্রোলেট ভ্যান ব্যবহার করেছিলেন, যেটাকে চৈতন্য রাথম নাম দেওয়া হয়েছিল। এতে এনটিআর অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য জুড়ে সমস্ত জেলাগুলো ভ্রমণ করেন। তাঁর ছেলে নন্দমুড়ি হরি কৃষ্ণকে নিয়ে ভ্যান চালিয়ে, যিনি নিজেও একজন অভিনেতা, এনটিআর তার প্রচারণায় ৭৫,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভ্রমণ করেছিলেন, ভ্যানে পার্টির হলুদ পতাকা ও ব্যানারসহ এবং এনটিআর গাড়ির উপরে বসে জনতার ভিড় সামাল দেন।[৩৯] এনটিআর তেলুগু জনগণের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন এবং তেলুগু ভারী আত্মা গৌরবম (অনু. তেলুগু জনগণের আত্মমর্যাদাবোধ) স্লোগান দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন গঠনের পক্ষে ছিলেন।[৪০]

১৯৮৩ সালে অন্ধ্র প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে, টিডিপি রাজ্য বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২০২টি জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হয়েছিল এবং এনটিআর নিজে দুটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সঞ্জয় বিচার মঞ্চের সাথে তাদের জোট ২০২টি আসন পেয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৮৩ সালের ৯ জানুয়ারি এনটিআর দশজন মন্ত্রণালয়ভুক্ত মন্ত্রী ও পাঁচজন প্রতিমন্ত্রী নিয়ে রাজ্যের দশম এবং প্রথম অ-কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।[৪১]

ক্ষমতা হারানো, ১৯৮৪[সম্পাদনা]

১৯৮৪ সালের ১৫ আগস্ট, এনটিআর ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন সময়ে অন্ধ্র প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর ঠাকুর রাম লাল তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেন।[৪২] তৎকালীন গভর্নর ঠাকুর রাম লাল তাঁর অর্থমন্ত্রী ও প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য যিনি টিডিপির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান স্থপতি ছিলেন নাদেন্দেলা ভাস্কর রাওকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ভাস্কর রাও বেশিরভাগ টিডিপি বিধায়কদের সমর্থন পেয়েছিলেন, যা এর আগে কখনও হয়নি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ক্ষমতায় ফিরা, ১৯৮৪[সম্পাদনা]

এনটিআর তার অস্ত্রোপচারের পরপরই ভারতে ফিরে এসে ভাস্কর রাওয়ের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং বিধানসভার ২৯৪ জন সদস্যের তার সমর্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সমস্ত বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে (গভর্নরের কার্যালয়) তার শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন।[৪২] রামলাল সাহস করেননি, যার ফলস্বরূপ এনটিআর তার চৈতন্য রাথম প্রচার-প্রচারণা পুনরায় চালু করেন, এবার জনতা পার্টি (জেপি), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), বামফ্রন্ট, দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (ডিএমকে) ও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) সহ দেশের বিভিন্ন কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন ও জনগণের সমর্থনকে একত্রিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচারণা চালান। এক মাসের সংকটকালীন সময়ে, ঘোড়া বাণিজ্য (ভোট বাণিজ্য) এড়াতে এনটিআর সমর্থনকারী বিধায়কদের একটি গোপন জায়গায় সুরক্ষিত করা হয়। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ হেগড়ের সমর্থনে এটি অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। রামকৃষ্ণ হেগড়ে টিডিপির সকল বিধায়ককে মহীশুরুতে (মহীশূর) দাস প্রকাশের একটি বাজেট হোটেলে সরিয়ে নিয়েছিলেন। যেহেতু কংগ্রেস (আই) নিয়মিত বিধায়কদের উপর হস্তক্ষেপণ করার জন্য পরিচিত ছিল এবং প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে। ভারতীয় রাজনীতিতে এটি প্রথমবার ছিল যে বিধায়করা হস্তক্ষেপণ থেকে নিরাপদ জায়গায় সুরক্ষিত করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জনগণকে একত্রিত করা এবং প্রেসের কারণে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অনিচ্ছাকৃতভাবে গভর্নর রামলালকে অপসারণ করেন এবং এনটিআরকে ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত করার জন্য অন্ধ্র প্রদেশের গভর্নর হিসাবে একজন প্রবীণ কংগ্রেস শঙ্কর দয়াল শর্মাকে নিযুক্ত করেন।[৪২]

তামিলনাড়ুতে প্রচারণা, ১৯৮৪[সম্পাদনা]

১৯৮৪ সালে, যখন তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও অভিনেতা এম. জি. রামচন্দ্রন (এমজিআর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে রাজ্য নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় করতে পারেন নি। এমজিআর ও আর. এম. বীরপ্পণের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এনটিআর[৪৩] পার্টির বিষয়গুলো পরিচালনা করছিলেন, যিনি তৎকালীন দল কংগ্রেসের সহযোগী হওয়া সত্ত্বেও সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গমের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] জাতীয় ফ্রন্টের নেতা হিসাবে তিনি যখন নির্বাচনের মুখোমুখি হয়েছিলেন তখন সাংবিধানিক দলগুলোর পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা করেন, আবারও তাঁর প্রচার-প্রচারণার চৈতন্য রাথম ধারণাটি ব্যবহার করেন।[৪৪]

সাধারণ নির্বাচন, ১৯৮৪[সম্পাদনা]

এনটিআরের প্রতিকৃতি

এক মাস পর, ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং তার পুত্র রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার উত্তরসূরী হন। লোকসভায় পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে, গান্ধী হত্যার কারণে যে সহানুভূতি তৈরী হয়েছিল তা কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস অন্ধ্র প্রদেশ বাদে পুরো দেশ জুড়েই জয়লাভ করেছিল, যেখানে টিডিপি এক বিশাল জয়লাভ করেছিল। টিডিপি'ই হচ্ছে প্রথম আঞ্চলিক দল যারা লোকসভায় প্রধান বিরোধী দল হিসাবে কাজ করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদ, ১৯৮৫[সম্পাদনা]

এদিকে, এনটিআর রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন এবং পরের বছর রাজ্যে নতুন করে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন যাতে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নতুন পছন্দ করে। এই নির্বাচনে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টিডিপি আবারও জয়লাভ করে, এনটিআর হিন্দুপুর,[৪৫] নলগোন্দা,[৪৬] ও গুড়িবড়া[৪৭] ৩টি আসন থেকে বিজয় লাভ করেন; যা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সূচনা। রাজ্য কংগ্রেসের প্রবীণ নেতৃবৃন্দ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে কাসু ব্রাহ্মনন্দ রেড্ডি এবং কোটলা বিজয় ভাস্কার রেড্ডি টিডিপি-র কাছে নরসারাওপেটকর্নুলের তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে হেরে যান। এনটিআর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বিরোধীদলীয় নেতা, ১৯৮৯[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরের বিধানসভা নির্বাচনে, রাজ্যকে ছড়িয়ে দেওয়া বিরোধী তদারকির কারণে তিনি ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিলেন, যার ফলস্বরূপ কংগ্রেস পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসে। এনটিআর নিজেই কলবাকুর্তি থেকে কংগ্রেসের কাছে স্বল্প ব্যবধানে হেরে যান,[৪৮] যদিও হিন্দুপুরের বিধানসভা আসনটি তিনি ধরে রেখেছিলেন।[৪৫] এই সময়ে, তিনি একটি হালকা স্ট্রোকের শিকার হন, যার ফলস্বরূপ তিনি প্রচার-প্রচারণা করতে পারেননি, যা কিছু কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং টিডিপি সমর্থকদের মতে, টিডিপি-র হারার কারণ ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

জাতীয় রাজনীতি, ১৯৮৯[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন, জাতীয় ফ্রন্ট হিসাবে পরিচিত কংগ্রেস বিরোধী অ-কংগ্রেস দলগুলোর একটি জোট গঠন করেন। এতে টিডিপি ছাড়াও জনতা দল, ডিএমকে, অসম গণ পরিষদ (এজিপি) এবং ভারতীয় কংগ্রেস (সমাজতান্ত্রিক) দলগুলো এই জোটে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই জোট বামফ্রন্ট ও বিজেপির সমর্থন নিয়ে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভারতে শাসন করেছিল। এদিকে এনটিআর রাজ্যে বিরোধী দলীয় নেতা হিসাবে এই পদ গ্রহণ করেন। ভি. পি. সিংহের নেতৃত্বে কেন্দ্রে তাঁর জাতীয় ফ্রন্ট সরকার অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির (ওবিসি) জন্য ২৭% রিজার্ভেশন দেওয়ার জন্য মন্ডল কমিশনের বিধান প্রয়োগ করে সামাজিক ন্যায়বিচার শীর্ষে ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় মেয়াদ, ১৯৯৪[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে এনটিআর তৃতীয় ও শেষবারের মতো ক্ষমতায় ফিরে আসেন। এই জোটটি ২৯৪টি আসনের বিধানসভায় ২৬৯টি আসন জিতেছে, যেখানে টিডিপি একাই ২২৬টি আসনে জয় পায়। কংগ্রেস, যাদের ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের শাসনামলে রাজ্যে একাধিক মুখ্যমন্ত্রী ছিলো, মাত্র ২৬টি আসনে জয় পেয়েছিল। এনটিআর পুনরায় হিন্দুপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং একই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ের বিরল হ্যাটট্রিক অর্জন করে টানা তৃতীয়বারের মতো আসনটি জয় পেয়েছিলেন।[৪৫] তিনি আরেকটি বিধানসভা কেন্দ্র টেককলি থেকেও বিজয় অর্জন করেন।[৪৯] চন্দ্র বাবু নাইডু এনটিআরের বিরুদ্ধে পার্টিতে একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী লক্ষ্মী পার্বতীর প্রশাসনে হস্তক্ষেপকে কারণ হিসাবে দেখিয়েছিলেন, যার ফলে ১৯৯৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর এনটিআর পরিবর্তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন।[৫০]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৪৩ সালের মে মাসে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় এনটিআর তার মামাতো বোন ভাসবা রমা তরকমকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির মোট আট ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।[৫১]

১৯৬২ সালে ইরুগু পোরুগো চলচ্চিত্রের চিত্র ধারণের পরপরই তার বড় ছেলে নন্দমুরি রামকৃষ্ণ সিনিয়র মারা যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এনটিআর তাঁর স্মরণে নচরামে রামকৃষ্ণ স্টুডিও নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর তৃতীয় পুত্র নন্দমুরি সাঁইকৃষ্ণ, যিনি একটি থিয়েটারের মালিক ছিলেন, বহুমুত্ররোগজনিত জটিলতার কারণে ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৫২] তাঁর চতুর্থ পুত্র নন্দমুরি হরি কৃষ্ণ, যিনি ২৯ আগস্ট ২০১৮ সালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান, ছিলেন টিডিপির প্রতিনিধিত্বকারী রাজ্যসভায় নির্বাচিত শিশুশিল্পী-রাজনীতিবিদ। হরি কৃষ্ণের পুত্র নন্দমুরি কল্যাণ রামজুনিয়র এনটিআরও তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পের (টালিউড) অভিনেতা।[৫৩] তাঁর ষষ্ঠ পুত্র নন্দমুরি বালাকৃষ্ণ ১৯৮০'র দশকের মাঝামাঝি থেকে টলিউডের অন্যতম প্রধান অভিনেতা। তিনিও তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন শিশুশিল্পী হিসাবে। বালাকৃষ্ণ টিডিপি প্রার্থী হিসাবে ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।[৫৪] তিনি হিন্দুপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজয় অর্জন করেছিলেন। তাঁর সপ্তম পুত্র নন্দমুরি রামকৃষ্ণ জুনিয়র একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক।

এনটিআরের দ্বিতীয় কন্যা, দগগুবতি পূরণদেশ্বরী লোকসভায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি তাঁর জোট ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে পরিবর্তন করেন।[৫৫][৫৬]

১৯৮৫ সালে তার স্ত্রী ভাসবা তারকাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৫৭] তাঁর স্মরণে এনটিআর ১৯৮৬ সালে হায়দরাবাদে ভাসবাতারকাম ইন্দো-আমেরিকান ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।[৫৮] ১৯৯৩ সালে এনটিআর তেলুগু লেখক লক্ষ্মী পার্বতীর সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[৫৯] তিনি ২০০৪ সালে প্রকাশিত তাঁর এনটিআর-এর দুই-খণ্ডের জীবনীমূলক বইয়ের লেখক ছিলেন। প্রথম খণ্ডন, এডুরুলেনি মণীশী (অপ্রতিরোধ্য ব্যক্তি) শৈশব থেকে তাঁর চলচ্চিত্রে প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ড, তেলুগু তেজম (তেলুগুর ঔজ্জ্বল্য) তার রাজনৈতিক কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।[৬০][৬১]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

বেসামরিক সম্মাননা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
রাষ্ট্রপতি পুরস্কার
নন্দী পুরস্কার
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ
অন্যান্য সম্মাননা

স্মরণ[সম্পাদনা]

হায়দ্রাবাদের এনটিআর গার্ডেনে এন. টি. রমা রাওয়ের স্মৃতিসৌধ

বিধানিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

বিধানসভা সদস্য হিসাবে[সম্পাদনা]

বছর বিধানিক নির্বাচন নির্বাচনী এলাকা ফলাফল
১৯৮৩ ৭ম বিধানসভা গুড়িবড়া বিজয়ী
তিরুপতি
১৯৮৫ ৮ম বিধানসভা গুড়িবড়া
হিন্দুপুর
নালগুন্ডা
১৯৮৯ ৯ম বিধানসভা হিন্দুপুর
কল্যাকুর্থী পরাজিত
১৯৯৪ ১০ম বিধানসভা হিন্দুপুর বিজয়
টেক্কলি

মৃত্যু[সম্পাদনা]

এনটিআর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৬ সালের ১৮ জানুয়ারি হায়দ্রাবাদে তাঁর নিজ বাসভবনে ৭২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[২] তাকে দাহ করা হয়েছিল এবং তাঁর ছাই আট বছর পরে ২০০৪ সালে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী লক্ষ্মী পার্বতী শ্রীরঙ্গপাটনায় ডুবিয়েছিলেন।[৭০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "N.T. Rama Rao: A timeline"The Hindu। ২৮ মে ২০১৭। 
  2. Rahman, Sheikh (৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬)। "A Legacy Under Siege"Outlook India। ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৯When news of NTR's untimely death due to a massive heart attack in the early hours of January 18 broke ... 
  3. "NTR is the greatest Indian actor" 
  4. "NTR greatest actor in India: CNN-IBN Poll survey" 
  5. Eenadu Daily, Eenadu cinema – 17 July 2013, National art theater, Page 10
  6. "2nd National Film Awards" (পিডিএফ)Directorate of Film Festivals। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১১ 
  7. The Times of India directory and year book including who's who। Times of India Press। ১৯৮৪। 
  8. "RAJU-PEDA (1954)"The Hindu 
  9. Ramachandran, T.M. (১৯৭৩)। Film world9 
  10. "Nandi Awards – 1970 – Winners & Nominees" 
  11. McGirk, Tim (১৯ জানুয়ারি ১৯৯৬)। "Obituary: N. T. Rama Rao"The Independent। London। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০ 
  12. Burns, John F. (১৯ জানুয়ারি ১৯৯৬)। "N. T. Rama Rao, 72, Is Dead; Star Status Infused His Politics"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  13. Eenadu Daily, Eenadu cinema – 17 July 2013, National art theater, Page 10
  14. "N.T. Rama Rao (1923–1995): A messiah of the masses"The Hindu। ১৪ মার্চ ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০০২ 
  15. Sashidhar AS (১৩ আগস্ট ২০১২)। "Donga Ramudu was included in FTII"The Times of India (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। ৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১২ 
  16. "Nostalgia – Pathala Bhairavi"। CineGoer.com। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১২ 
  17. CNN-IBN। "NTR greatest actor in India" 
  18. "NTR is the greatest Indian actor – Times of India" 
  19. "Page not Found"www.greatandhra.com। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  20. "NTR and Sridevi greatest @ 20th century actors - TeluguMirchi.com"। ৯ মার্চ ২০১৩। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  21. "::Directorate Of Film Festivals"। ২৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  22. "4th National Film Awards" (পিডিএফ)Directorate of Film Festivals। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  23. Eenadu Daily, Eenadu Sunday – 28 April 2013, 100 years of Indian Cinema, Early Tollywood, Page 9
  24. "Directorate of Film Festival" (পিডিএফ)। Iffi.nic.in। ২ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১২ 
  25. "News18.com: CNN-News18 Breaking News India, Latest News, Current News Headlines"News18। ২৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  26. "Cinema News – Movie Reviews – Movie Trailers – IndiaGlitz" 
  27. Democratic Process and Electoral Politics in Andhra Pradesh, India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে (1997)
  28. "Archived copy"। ২২ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১১ 
  29. "In-depth analysis of issues and events in India and around the world"। Frontlineonnet.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  30. https://shodhganga.inflibnet.ac.in/bitstream/10603/71255/6/06_chapter%201.pdf p. 12
  31. "N.T. Rama Rao (1923–1995): A messiah of the masses"The Hindu। ৯ ডিসেম্বর ২০০২। ১১ জুন ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  32. "History of Telugu Cinema"। Indian cinemas। ১৩ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০ 
  33. "Telugu cinema megastar – Nandamuri Taraka Rama Rao's Bio-data"। Idlebrain.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  34. "Directorate of Film Festival" (পিডিএফ)। Iffi.nic.in। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২ 
  35. "N.T. Rama Rao – Biography, Movie Highlights and Photos – AllMovie"AllMovie 
  36. "The ghantasa list-archive: Part-II: Remembering NTR, Actor, Director, Producer"। Chaitanya.bhaavana.net। ২০ জানুয়ারি ১৯৯৭। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  37. "Telugu Desam Party turns 29, NT Rama Rao remembered"DNA India। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০ 
  38. "NTR ... the legend"। Andhraheadlines.com। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  39. "The original ratham"The Hindu। Chennai, India। ১৭ এপ্রিল ২০০৯। ২১ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০ 
  40. "Pavan Kalyan does a star turn"The Hindu। Chennai, India। ২ এপ্রিল ২০০৯। ৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০ 
  41. S. Nagendra Ambedkar (১৯৯২)। Political elite। Printwell, with special arrangement from Rupa Books। আইএসবিএন 8170443415 
  42. Murty, K. R. (২০০১)। Parties, elections, and mobilisation। Anmol Publications PVT. LTD.। পৃষ্ঠা 48–49। আইএসবিএন 978-81-261-0979-1 
  43. The mother of all rath yatras. The Hindu (1 April 2004). Retrieved on 21 November 2018.
  44. "The mother of all rath yatras"The Hindu। ১ এপ্রিল ২০০৪। ১৪ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  45. "State Elections 2004 – Partywise Comparison for 164-Hindupur Constituency of ANDHRA PRADESH"। Eci.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  46. "State Elections 2004 – Partywise Comparison for 289-Nalgonda Constituency of ANDHRA PRADESH"। Eci.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  47. "State Elections 2004 – Partywise Comparison for 85-Gudivada Constituency of ANDHRA PRADESH"। Eci.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  48. "State Elections 2004 – Partywise Comparison for 190-Kalwakurthi Constituency of ANDHRA PRADESH"। Eci.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  49. "State Elections 2004 – Partywise Comparison for 3-Tekkali Constituency of Andhra Pradesh"। Eci.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  50. "A legacy under siege"। Outlook। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৯ 
  51. "Cities / Vijayawada : Rich tributes paid to N.T. Rama Rao"The Hindu। ১৯ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২ 
  52. TNN (৫ জুন ২০০৪)। "NTR family drama: shots, death, revenge"The Times of India। ২৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  53. "Andhra Pradesh / Vijayawada News : Nandamuri family fully supports Naidu, says Harikrishna"The Hindu। ৩ নভেম্বর ২০০৮। ৬ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২ 
  54. "BalaKrishna set to fight 2014 Elections"। Telugu News। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  55. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ আগস্ট ২০০৭ তারিখে
  56. ARUN KUMAR, TNN 29 October 2012, 12.42AM IST (২৯ অক্টোবর ২০১২)। "Caste tangle hits Purandeswari's elevation"The Times of India। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  57. "About Us"Induscancer (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৯ 
  58. "I need people's blessings: Balayya"। Andhraheadlines.com। ১৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  59. Ch (২১ জুলাই ২০০৩)। "Lakshmi Parvathi to don greasepaint"The Times of India। ২০ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  60. "NTR biography release tomorrow"The Hindu। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ [অকার্যকর সংযোগ]
  61. "NTR biography ready"The Hindu। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  62. "Telugu Cinema Celebrity – Nandamuri Taraka Rama Rao"। Idlebrain.com। ২৮ মে ১৯২৩। ১৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  63. "National Film Awards – 1969"। Hindilyrics.net। ২০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২ 
  64. "Ilayaraja, Ambarish, Krishna get NTR award"। Hyderabad: The Hindu, Business Line। ৩০ আগস্ট ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১২ 
  65. "NTR literary Award for Ashoka Mitran"। Hyderabad: The Hindu, Business Line। ৪ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  66. J. Venkatesan (৩০ এপ্রিল ২০০৭)। "NATIONAL / ANDHRA PRADESH : Supreme Court issues notice to State government on medical admissions"The Hindu (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১২ 
  67. "Cities / Vijayawada : Active lifestyle keeps diabetes at bay, says health varsity V-C"The Hindu (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। ২৯ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১২ 
  68. "Cities / Vijayawada : NTR University admissions open"The Hindu (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১২ 
  69. "RGV's clarification about who plays NTR in 'Lakshmi's NTR'"The Times of India 
  70. "National : Lakshmi Parvati immerses NTR's ashes in Cauvery"The Hindu। ১৭ মে ২০০৪। ২১ জুন ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
কোটলা বিজয়া ভাস্করা রেড্ডি
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
১৯৮৩–১৯৮৪
উত্তরসূরী
নাদেন্দলা ভাস্করা রাও
পূর্বসূরী
নাদেন্দলা ভাস্করা রাও
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
১৯৮৪–১৯৮৯
উত্তরসূরী
মারি চেন্না রেড্ডি
পূর্বসূরী
কোটলা বিজয়া ভাস্করা রেড্ডি
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
১৯৯৪–১৯৯৫
উত্তরসূরী
নারা চন্দ্রবাবু নাইডু