অও (জনগোষ্ঠী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অও
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
আসাম : ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা
পূর্ববর্তী আবাস : ত্রিপুরা (ভারত), পার্বত্য চট্টগ্রাম (বাংলাদেশ)
ধর্ম
সর্বপ্রানবাদী আদিবাসী

অও হলো ভারতের আসাম অঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বসবাসকারী একটি জাতিগোষ্ঠী। উপমহাদেশে বসবাসকারী অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে এরা আকৃতিতে বেশ লম্বা।

বিস্তরণ[সম্পাদনা]

বর্তমানে অওরা আসাম অঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করলেও একসময় তাদেরকে ত্রিপুরাপার্বত্য চট্টগ্রামেও দেখা যেতো।[১]

শাখাসমূহ[সম্পাদনা]

অও উপজাতি তিনটি শাখায় বিভক্ত - চোঙলি, মোঙসেন ও চঙকি; যার প্রতিটিই আবার একাধিক উপশাখায় বিভক্ত।[১]

শারীরিক গঠন[সম্পাদনা]

অওগণ গড়ে প্রায় পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি দীর্ঘকায় হয় এবং এদের গায়ের রং তামাটে, কেশ কুঞ্চিত, দেহ যথেষ্ট লোমশ, নাক চ্যাপ্টা এবং মুখমন্ডল কিছুটা মঙ্গোলীয়দের মতো বিস্তৃত।[১]

পোশাক-পরিচ্ছদ ও অলংকার[সম্পাদনা]

এদের পুরুষগণ সাধারণত স্বল্প কাপড় পরিধান করলেও নারীরা এক থেকে দেড় গজ লম্বা ও বিশ থেকে ত্রিশ ইঞ্চি চওড়া পরিচ্ছদ লেংটির মতো করে পিধান করে। অবিবাহিত মেয়েরা ফিতা দিয়ে বক্ষ বন্ধন করে; কিন্তু বিবাহিতা মেয়েদের বক্ষ উন্মুক্ত থাকে। তারা প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত লতাপাতা, চামড়া, পাখির পালক ও নানারকম পাথরের অলঙ্কার পরিধান করে থাকে।[১]

ধর্ম[সম্পাদনা]

এদের ধর্ম কতিপয় পূজা-অর্চনা ও বলি প্রথায় পরিচালিত হয় যাতে দেবতাকে তুষ্ট ও অপদেবতাকে প্রতিহত করার জন্য অহরহ বলি দেয়া হয়।[১] আত্মা, পরজন্ম, জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে এদের ধারণা খুবই সরল এবং তাদের ধর্মে নৈতিকতা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

বিবাহ পদ্ধতি[সম্পাদনা]

অওরা সমগোত্রীয়দের মধ্যে বিবাহ করে না। বিবাহ সংঘটিত হওয়ার আগে পাত্র প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত পাত্রীর সঙ্গে কিছুকাল সহবাস করে এবং এতে পছন্দ হলে পাত্রীর মা-বাবা পাত্রপক্ষের নিকট বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়; আর, পছন্দ না হলে প্রস্তাব আসার আগেই পাত্রীর সঙ্গ ত্যাগ করতে হয়।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. শাহীদা আখতার (জানুয়ারি ২০০৩)। "অও"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯