ডাকাতকালী মন্দির, সিঙ্গুর

স্থানাঙ্ক: ২২°৪৮′৫৬″ উত্তর ৮৮°১৪′৫০″ পূর্ব / ২২.৮১৫৬৯০° উত্তর ৮৮.২৪৭১৬০° পূর্ব / 22.815690; 88.247160
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডাকাতকালী মন্দির, সিঙ্গুর
সিঙ্গুরে ডাকাতকালী মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাহুগলি
ঈশ্বরকালী
উৎসবসমূহকালী পূজা
অবস্থান
অবস্থানসিঙ্গুর
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
ডাকাতকালী মন্দির, সিঙ্গুর পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ডাকাতকালী মন্দির, সিঙ্গুর
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২২°৪৮′৫৬″ উত্তর ৮৮°১৪′৫০″ পূর্ব / ২২.৮১৫৬৯০° উত্তর ৮৮.২৪৭১৬০° পূর্ব / 22.815690; 88.247160

সিঙ্গুরে ডাকাতকালী মন্দির পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর নামক স্থানের নিকট পুরুষোত্তমপুরে অবস্থিত একটি বিখ্যাত কালী মন্দির

বিবরণ[সম্পাদনা]

সিঙ্গুরে ডাকাতকালীর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল সম্বন্ধে জানা যায় না। এই মন্দির ডাকাত সনাতন বাগদী না গগন সর্দার না রঘু ডাকাত নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আটচালা মন্দিরের দেওয়ালে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি, বিষ্ণুর দশাবতারের মূর্তি ও পোড়ামাটির লতাপাতা খোদিত রয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রায় নয় ফুট উচ্চ বিগ্রহ অবস্থিত। এই মন্দিরে কালী সিদ্ধেশ্বরী নামে বিখ্যাত।[১]:৯৫

সিঙ্গুরে ডাকাতকালী মন্দির

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এই প্রাচীন কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে বহু গল্প ছড়িয়ে আছে। রঘু অথবা গগন ডাকাত ঘট স্থাপন করে পূজা শুরু করে। তখন ঘট পুজোই হত, মন্দির ছিলোনা। অতীতে এখানে গভীর জঙ্গল ছিল। অসুস্থ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে দেখতে যাওয়ার পথে সারদা দেবীকে এই স্থানে দুই ডাকাত আটক করলে স্বয়ং কালী দেখা দেন ও দুই ডাকাতকে নিবারণ করেন। এই অলৌকিক ঘটনায় ভীত হয়ে রঘু ও গগন ডাকাত এই স্থানে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করে।[২] বর্ধমানের মহারাজা মা কালীর স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরে প্রতিমা ও মন্দির নির্মিত হয়। অতীতে এখানে নরবলি হতো এমনটাও জনশ্রুতি আছে[৩][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. তিন তীর্থে, শিবশঙ্কর ভারতী, সাহিত্যম্‌, ১৮বি, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট, কলকাতা-৭৩, প্রথম প্রকাশ- ১৮ই জানুয়ারী, ২০০১
  2. "A Special Story On 550 Year Old Dakat Kali Temple In Singur"। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৭ 
  3. অলকাভ নিয়োগী (২৩ অক্টোবর, ২০১৪)। রঘু গগন ডাকাতের সিংগুরে ডাকাতকালী। কলকাতা: বর্তমান। পৃষ্ঠা ৮।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. পিনাকী বিশ্বাস (২০২০)। বাংলার ডাকাতকালী, মিথ ও ইতিহাস। কলকাতা: খড়ি প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১১২। আইএসবিএন 978-81-942305-5-7