লেনক্স ব্রাউন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লেনক্স ব্রাউন
Lennox Brown in 1931
১৯৩১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে লেনক্স ব্রাউন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলেনক্স সিডনি ব্রাউন
জন্ম২৪ নভেম্বর, ১৯১০
র‍্যান্ডফন্তেইন, ট্রান্সভাল প্রদেশ
মৃত্যু১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩
নাটাল, ডারবান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
লেগ ব্রেক গুগলি
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৭)
১৮ ডিসেম্বর ১৯৩১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৪ মার্চ ১৯৩২ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৮
রানের সংখ্যা ১৭ ৭৭৮
ব্যাটিং গড় ৫.৬৬ ১৬.৯১
১০০/৫০ ০/০ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ৭৫
বল করেছে ৩১৮ ৮৭৬৪
উইকেট ১৪৭
বোলিং গড় ৬৩.০০ ২৪.৭৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৩০ ৬/৩০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ২৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ জুলাই ২০১৯

লেনক্স সিডনি ব্রাউন (ইংরেজি: Lennox Brown; জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯১০ - মৃত্যু: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩) ট্রান্সভাল প্রদেশের র‍্যান্ডফন্তেইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩১ থেকে ১৯৩২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গটেং ও নর্দার্নস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন লেন ব্রাউন নামে পরিচিত লেনক্স ব্রাউন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম কিংবা লেগ ব্রেক গুগলি বোলিং করতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩০-৩১ মৌসুম থেকে ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম পর্যন্ত লেনক্স ব্রাউনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লেন ব্রাউন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেললেও খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলিং করতেন।

১৯৩০-৩১ মৌসুমে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে দুই খেলায় অংশ নেন। এভাবেই তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। খেলায় তিনি সাত উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, ওয়ালি হ্যামন্ডপার্সি চ্যাপম্যান দুইবার তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন লেনক্স ব্রাউন। ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৩১ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৪ মার্চ, ১৯৩২ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৩১-৩২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বড় ধরনের খেলাগুলোয় খুব কমই তাকে খেলানো হয়। প্রথম টেস্ট বেশ বাজেভাবে শুরু করেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ১৬৩ রানে পরাভূত হয়। এরপর নিউ সাউথ ওয়েলস কান্ট্রি একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীবিহীন খেলায় অংশ নেন। কান্ট্রি একাদশের বিপক্ষে একাধারে বোলিং করে ৫/৫৭ পান। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও দুইটি উইকেট লাভ করেন।[৩] ফলশ্রুতিতে, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও তাকে রাখা হয়। এ খেলায়ও প্রথমে টেস্টের পুণরাবৃত্তি ঘটে। ইনিংস ও ১৫৫ রানে পরাজয়বরণ করে তার দল। ১০০ রান খরচায় এক উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[৪] দুই ইনিংসে তিনি ২ ও ৮ রান করেন। নিউজিল্যান্ডে গমনের পূর্বে ঐ সফরে আর অল্প কয়েকটি খেলায় অংশ নেন।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আরও কম ভূমিকা রাখেন। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। প্রথম খেলায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হয়। দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টেস্টের উভয় ইনিংসে একটি করে উইকেট পান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দলের একমাত্র ইনিংসে ৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি।[৫]

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ট্রান্সভালের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলেন। এ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। প্রতিনিধিত্বমূলক বাদ-বাকি দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে ৬/৩০ পান।[৬] কিন্তু পরবর্তী তিন মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেট আসর থেকে দূরে থাকেন ও ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ড গমনকল্পে গঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বাইরে রাখা হয়। এর বদলে পেশাদারী পর্যায়ে ১৯৩৫ ও ১৯৩৬ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে চার্চের পক্ষে খেলেন।[৭] ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে আসেন ও ঐ মৌসুমসহ ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেন। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল এবং ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত রোডেশিয়ার পক্ষে খেলেন। তিনি উইকেট সংগ্রহের ধারাবাহিতা বজায় রাখেন। লীগ ক্রিকেটে যুক্ত হবার পর তার ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটাতে সচেষ্ট হন। তাসত্ত্বেও, আর কোন প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার।[৮]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর রোডেশিয়া হেরাল্ডে ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৯] ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে ৭৩ বছর বয়সে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের ডারবান এলাকায় লেনক্স ব্রাউনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Lennox Brown"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১২ 
  2. "Scorecard: Transvaal v MCC"। www.cricketarchive.com। ২৯ নভেম্বর ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  3. "Scorecard: New South Wales Country XI v South Africans"। www.cricketarchive.com। ১১ ডিসেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  4. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  5. "Scorecard: New Zealand v South Africa"। www.cricketarchive.com। ৪ মার্চ ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  6. "Scorecard: New Zealand v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  7. "Church: Professionals"। www.lancashireleague.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  8. "First-class Matches played by Lennox Brown"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  9. Brian Bassano, Cricketer, November 1983, p. 39.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]