নড়াইল জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নড়াইল জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থাননড়াইল সদর উপজেলা
ঠিকানানড়াইল
শহরনড়াইল সদর উপজেলা, নড়াইল জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছে১৭৯১
বন্ধ১৯৪৭
স্বত্বাধিকারীকালী শঙ্কর রায়
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

নড়াইল জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর নড়াইল জেলার নড়াইল সদর উপজেলার নড়াইল নামক এলাকায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

নড়াইল জমিদার বংশের পথচলা শুরু হয় ১৭৯১ সালে রূপরাম রায়ের হাত ধরে। যা তখন ছিল নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারীর আওতায় একটি তালুকি বা তালুকদার। তবে রূপরাম রায়ের ছেলে কালী শঙ্কর রায় মূলত তালুকদার থেকে স্বতন্ত্রভাবে জমিদারী শুরু করেন। তাই তাকেই এই জমিদার বংশের মূল প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ধরা হয়। জমিদার কালী শঙ্কর রায় ও তার পিতা রূপরাম রায় দুইজনই নাটোর রাজ সরকারের কর্মচারী ছিলেন। ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিশ যখন ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা চালু করেন এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারীর অনেক খাজনা বাকী থাকায় তা নীলামে বিক্রি হতে থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নাটোরের রানী ভবানীর কর্মচারী কালী শঙ্কর রায় নীলামে বিক্রীত জমিদারী ক্রয় করতে থাকেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় তিনি স্বতন্ত্রভাবে নড়াইল এলাকায় তার জমিদারীর সদরদপ্তর করে জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। পরবর্তীতে জমিদার কালী শঙ্করের নাতীরা নীল চাষের ব্যবসা করে আরো বেশি ধন-সম্পদের মালিক হন। এই জমিদার বংশধররা একের পর এক শিক্ষা ও এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিশাল ভূমিকা পালন করেন। আর এইভাবে এই জমিদারীর শেষ সময় চলে আসে ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে। জমিদার বংশধররা তখন সবাই কলকাতা চলে যান। পরে আবশ্যক জমিদার বংশের কয়েকজন জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার আগে ১৯৫০ ও ১৯৫২ সালে এসেছিলেন। এরপর আবার চলে যান। আর ঐসময় থেকেই এই জমিদার বংশের ইতি ঘটে এবং জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। [৩][৪][৫][৬]

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

নড়াইল জমিদার বাড়িটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বসবাসের জন্য বহুসংখ্যক ভবন, বিনোদনের জন্য নাট্যমঞ্চ, ধর্মীয় উপাসনার জন্য পুজামন্ডপ ও মন্দির, খাজনা আদায়ের জন্য কাচারীঘর, কয়েকটি ছোট বড় পুকুর, দীঘি ও ফলের বাগানে সজ্জিত ছিল। [৭][৮]

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

অযত্ন ও অবহেলার কারণে জমিদার বাড়ির জমিদারদের সকল স্থাপনা এখন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছুকিছু স্থাপনা এখনো টিকে আছে। তবে সেগুলোও এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিলুপ্তির পথে নড়াইল জমিদার বাড়ি"BanglaTribune। ২০১৯-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ 
  2. "নড়াইলের হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি রক্ষার দাবি | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। ২০১৯-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ 
  3. "জমিদারদের শহর নড়াইল || উপ-সম্পাদকীয়"জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "নড়াইলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্য"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৮ জুলাই ২০১৯। ২৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯ 
  5. "বাঘারপাড়া উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ 
  6. BanglaNews24.com। "শিল্পী এস এম সুলতানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ 
  7. "এখনো বেঁচে আছে পলাশ ফুল গাছটি"www.bhorerkagoj.com। ২০১৯-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ 
  8. "নড়াইল জমিদারদের ইতিহাস / History of Narail Jamindar - Jessore, Jhenaidah, Magura, Narail"www.jessore.info। ২০১৯-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮