মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি
বিকল্প নামমিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থানমীরসরাই উপজেলা
ঠিকানামঘাদিয়া ইউনিয়ন
শহরমীরসরাই উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছেঅষ্টাদশ শতকের আগে
স্বত্বাধিকারীশেখ ওয়াসিল চৌধুরী (আনুমানিক)
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের মঘাদিয়া গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কার দ্বারা এবং কবে নাগাদ এই জমিদার বাড়ি এবং বংশটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ইতিহাস থেকে এই জমিদার বংশের বেশ কয়েকজনের নাম জানা যায়। এই জমিদার বংশধররা ছিলেন ইসলাম ধর্মালম্বী। এই জমিদার বংশের সবচেয়ে পরিচিত জমিদার ছিলেন জমিদার নুরুল আবছার চৌধুরী। তিনি ১৮৯৫ইং সনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন এই জমিদার বংশের শেষ জমিদার। তিনি খুব অল্প বয়সেই জমিদারীর দায়িত্ব পান। কারণ তার পিতা জমিদার অলি আহম্মদ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর তার বড় ভাই জমিদার আব্দুল হাই চৌধুরী জমিদারী দেখাশুনা করতেন। কিন্তু তিনি মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মারা যান। আর এতেই তার উপর এই জমিদারীর দায়িত্ব এসে পড়ে। তবে তিনি দয়ালু, সততা ও ন্যায়ের সাথে জমিদারী পরিচালনা করাতে প্রজাদের কাছে অতি তাড়াতাড়ি পরিচিত হয়ে উঠেন। তিনি অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন। তিনি তার মায়ের নামে প্রাথমিক স্কুল, নিজের নামে উচ্চ বিদ্যালয়, শান্তিরহাট নামে শান্তিরহাট বাজার। এছাড়াও অসংখ্য এতিমখানা তৈরি করেছিলেন। তিনি তৎকালীন সময়ে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বাংলার মুখ্য মন্ত্রী শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক এর সাথে রাজনীতি করেছেন এবং তার একজন ভালো বন্ধু ছিলেন।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

ইট, সুরকি আর রড দিয়ে নিপুণ শৈলীর গাঁথুনির দ্বিতল ভবন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটি ঘরের ভেতর ও ছাদে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্যের অনেক নিদর্শন।

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

মঘাদিয়া জমিদার বাড়ির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে জমিদারবাড়ি। দূর থেকে দেখে মনে হবে- মনোরম পরিবেশে সবুজে ঘেরা একটি বাগানবাড়ি। কাছে গিয়ে দেখা গেল বিশালাকৃতির ভগ্নপ্রায় দ্বিতল অট্টালিকা। পুরনো ইটের দেওয়ালে রকমারি আগাছা, থরেথরে সাজানো ঝুঁকিপূর্ণ ঘরের ভেতর ঝোপঝাড়। আর সেখানটার পুরোটাই এখন পাখি ও পোকামাকড়ের দখলে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]