এডগার মেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এডগার মেন
আনুমানিক ১৯২০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এডগার মেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএডগার রিচার্ড মেন
জন্ম(১৮৮২-০৭-০২)২ জুলাই ১৮৮২
জেমসটাউন, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২৬ অক্টোবর ১৯৬১(1961-10-26) (বয়স ৭৯)
রিচমন্ড, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামআর্নি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০৫)
১৫ জুলাই ১৯১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৬ নভেম্বর ১৯২১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৪১
রানের সংখ্যা ৬৪ ৭৬২৪
ব্যাটিং গড় ২১.৩৩ ৩২.৭২
১০০/৫০ ০/০ ১৪/৩৯
সর্বোচ্চ রান ২৫* ২০৯
বল করেছে ৮৫৯
উইকেট ১৩
বোলিং গড় ৩৩.৮৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/০ ৮০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ জুলাই ২০১৯

এডগার রিচার্ড আর্নি মেন (ইংরেজি: Edgar Mayne; জন্ম: ২ জুলাই, ১৮৮২ - মৃত্যু: ২৬ অক্টোবর, ১৯৬১) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার জেমসটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১২ থেকে ১৯২১ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়াভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।[১] এছাড়াও, ডানহাতে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন ‘আর্নি’ ডাকনামে পরিচিত এডগার মেন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯০৬-০৭ মৌসুম থেকে ১৯২৫-২৬ মৌসুম পর্যন্ত এডগার মেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯১২ সালে নিজ রাজ্যে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভিক্টোরিয়া দলে চলে যান ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৩-২৪ মৌসুমে প্রথমে উইকেট জুটিতে ৪৫৬ রানের রেকর্ড গড়েন। মেলবোর্নে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ খেলায় বিল পন্সফোর্ডের ২৪৮ রানের সাথে তিনি করেন ২০৯ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছিলেন এডগার মেন। ১৫ জুলাই, ১৯১২ তারিখে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ২৬ নভেম্বর, ১৯২১ তারিখে কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।[২]

১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে গমন করেন। এ প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্টে অংশ নেন। ১৯১২ সালের ইংল্যান্ড সফরে দুই টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন। ১৯১৪ সালে শক্তিশালী দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আমেরিকা গমন করেন। এরপর ১৯২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। এ সিরিজের দুই টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯২১ সালে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বে পুনরায় ইংল্যান্ড সফরে যান। তবে খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। কেবলমাত্র গুরুত্বহীন খেলাতেই অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তাসত্ত্বেও ১৯২১-২২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের সুযোগ পান। নিজস্ব শেষ দুই টেস্টে অংশ নেন। তবে, আবারও তিনি ব্যর্থ হন।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে আর্নি মেনের সুনাম রয়েছে। তবে, দূর্ভাগ্যজনকভাবে তার সময়কালে প্রতিভাধর ব্যাটসম্যানের কোন কমতি ছিল না। দীর্ঘদেহী ও ধ্রুপদী ক্রীড়াশৈলীর অধিকারী ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। কাট ও ড্রাইভের দিকেই অধিক দক্ষতা দেখিয়েছেন। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের মান বেশ দূর্বল ছিল তার।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯২৪-২৫ মৌসুমে এমসিজিতে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে অন্যতম প্রথম ধারাভাষ্যকার হিসেবে স্থানীয় বেতারকেন্দ্রে খেলা সম্প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। ২৬ অক্টোবর, ১৯৬১ তারিখে ৭৯ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার রিচমন্ড এলাকায় এডগার মেনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]