হিমদংশন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রস্টবাইট বা হিমদংশন
পর্বতারোহণের দুই-তিন দিন পর হিমদংশন আক্রান্ত পায়ের আঙ্গুল
বিশেষত্বজরুরি ওষুধ, অর্থোপেডিকস
লক্ষণঅসাড়তা, ঠাণ্ডা অনুভূতি, অস্থিরতা, ফ্যাকাশে রং[১]
জটিলতাহাইপোথারমিয়া, কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম[১][২]
প্রকারভেদঅগভীর, গভীর[২]
কারণহিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রার সংস্পর্শ [১]
ঝুঁকির কারণমদ,ধূমপান, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ, পূর্ববর্তী ঠান্ডাজনিত আঘাত।[১]
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিলক্ষণের উপর নির্ভর করে[৩]
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয়ফ্রস্টনিপ, পেরনিও, ট্রেঞ্চ ফুট[৪]
প্রতিরোধঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা, গরম কাপড় পরিধান করা, দেহের আর্দ্রতা এবং পুষ্টি বজায় রাখা, নিম্ন তাপমাত্রা এড়ানো, অবসন্ন না হয়ে ক্রিয়াশীল থাকা [২]
চিকিৎসাউষ্ণতা, ওষুধপ্রয়োগ, অস্ত্রোপচার[২]
ঔষধইবুপ্রোফেন, টিটেনাস প্রতিষেধক, ইলোপ্রোস্ট, থ্রম্বোলাইটিকস[১]
সংঘটনের হারঅজানা[৫]

হিমদংশন বা ফ্রস্টবাইট ঘটে যখন কম তাপমাত্রার সংস্পর্শে গায়ের চামড়া বা অন্যান্য টিস্যু জমে যায়। [১] সাধারণত এর প্রাথমিক উপসর্গ হয় অসাড়তা। [১] এরপর ত্বকে সাদা বা নীল রঙের ছোপ এবং ঝিনঝিন অনুভূতি দেখা দিতে পারে। [১] চিকিৎসা নেয়ার পর ফোলা অথবা ফোস্কা পড়তে পারে। [১] সাধারণত হাত, পা, এবং মুখ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। [৪] জটিল অবস্থায় হাইপোথার্মিয়া বা কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম ঘটতে পারে। [১][২]

যে সকল ব্যক্তি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিম্ন তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকেন যেমন, শীতকালীন ক্রীড়াবিদ, সামরিক কর্মী, এবং গৃহহীন ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। [১][৬] অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মদ, ধূমপান, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ এবং পূর্ববর্তী ঠান্ডাজনিত আঘাত। [১] ফ্রস্টবাইট ঘটার পদ্ধতি হল বরফ স্ফটিকের থেকে আঘাতের ফলে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়, আর তারপর গলতে শুরু করে। [১] আঘাতের পরিমাণ নির্ণয় লক্ষণের উপর নির্ভর করে। [৩] জখমের তীব্রতা অগভীর (প্রথম এবং দ্বিতীয় ডিগ্রী) এবং গভীর (তৃতীয় এবং চতুর্থ ডিগ্রী) ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। [২] হাড়ের স্ক্যান বা এমআরআই এর মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যেতে পারে। [১]

ফ্রস্টবাইট প্রতিরোধের উপায় সঠিক পোশাক পরিধান করা, দেহের আর্দ্রতা এবং পুষ্টি বজায় রাখা, ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা, এবং অবসন্ন না হয়ে ক্রিয়াশীল থাকা। [২] রিওয়ারমিং বা পুনরায় উষ্ণ করে তোলার মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। [২] এটি তখনই করা উচিৎ যখন পুনরায় ঠাণ্ডার সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে না। [১] আক্রান্ত অংশে বরফ মালিশ করার সুপারিশ করা হয় না। [২] ইবুপ্রোফেন এবং টিটেনাস টক্সোইড ব্যবহার সাধারণত সুপারিশ করা হয়। [১] মারাত্মক জখমের জন্য ইলোপ্রস্ট বা থ্রম্বোলাইটিকস ব্যবহৃত হতে পারে। [১] কখনও কখনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। [১] তবে অঙ্গচ্ছেদ করার পূর্বে, আঘাতের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য সাধারণত কয়েক মাস বিলম্ব করা উচিত। [২]

ফ্রস্টবাইটের ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা অজানা। [৫] পর্বতারোহীদের মধ্যে এর হার বছরে ৪০% এরও বেশি হতে পারে। [১] সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষরা সর্বাধিক আক্রান্ত হন। [৪] ৫,০০০ বছর আগেও মানুষের মধ্যে ফ্রস্টবাইটে আক্রান্ত হবার প্রমাণ পাওয়া যায়। [১] অনেক সামরিক সংঘাতে ফ্রস্টবাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। [১] এর প্রথম আনুষ্ঠানিক বর্ণনা করেন ডমিনিক জিন ল্যারি যিনি ১৮১৩ সালে রাশিয়াকে আক্রমণের সময় নেপোলিয়ন সেনার একজন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। [১]

লক্ষণ ও উপসর্গ[সম্পাদনা]

তুষারস্পর্শে দেহের প্রদাহ

যে সব অঙ্গ সাধারণত প্রভাবিত হয় তার মধ্যে গাল, কান, নাক এবং আঙ্গুলের এবং পায়ের আঙ্গুল অন্তর্ভুক্ত। ফ্রস্টবাইটের পূর্বে প্রায়ই ফ্রস্টনিপ দেখা দেয়। [২] ঠান্ডা্র সংস্পর্শে থাকার সময় বাড়ার সাথে সাথে ফ্রস্টবাইটেরলক্ষণ বাড়তে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, ত্বক এবং অনুভূতির পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে অনুযায়ী ফ্রস্টবাইটের শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে, যা পোড়ার মাত্রার শ্রেণিবিভাগের অনুরূপ। তবে, ডিগ্রী দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির পরিমাণের ক্ষেত্রে এই শ্রেণিবিভাগ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। [৭] সহজভাবে এই শ্রেণিবিভাগ অগভীর (প্রথম এবং দ্বিতীয় ডিগ্রী) এবং গভীর জখম (তৃতীয় এবং চতুর্থ ডিগ্রী) এই দুই প্রকারে বিভক্ত। [৮]

প্রথম ডিগ্রী[সম্পাদনা]

  • প্রথম ডিগ্রী ফ্রস্টবাইট হয় চামড়ার উপরিভাগে, পৃষ্ঠীয় ত্বকের ক্ষতি যা সাধারণত স্থায়ী হয় না।
  • প্রাথমিকভাবে, প্রাথমিক উপসর্গ ত্বকের অনুভূতি কমে যাওয়া। আক্রান্ত স্থান অসাড় হয়ে যায়, এবং ফুলে গিয়ে চারপাশ লাল হয়ে যেতে পারে।
  • সাধারণত আঘাতের কয়েক সপ্তাহ পরে, ত্বকের আলগা চামড়া খসে পড়ে। [৭]

দ্বিতীয় ডিগ্রী[সম্পাদনা]

  • দ্বিতীয় ডিগ্রী ফ্রস্টবাইটে, প্রথম দিকে ত্বকে স্পষ্ট ফোসকা দেখা দেয়, এবং চামড়া শক্ত হয়ে যায়।
  • আঘাতের পরে কয়েক সপ্তাহে, এই কঠিন, ফোস্কা পড়া ত্বক শুকিয়ে যায় ও খসে পড়ে।
  • এই পর্যায়ে, স্থায়ী ঠান্ডার প্রতি অসংবেদনশীলতা এবং অসাড়তা তৈরি হতে পারে। [৭]

তৃতীয় ডিগ্রী[সম্পাদনা]

  • তৃতীয় ডিগ্রী ফ্রস্টবাইটে, ত্বকের নিচে টিস্যু স্তর জমে যায়।
  • লক্ষণের মধ্যে ত্বকে রক্ত ফোস্কা দেখা দেয় এবং ত্বক বিবর্ণ হয়ে ধূসর-নীল বর্ণধারণ করে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • আঘাতের পরে কয়েক সপ্তাহে, ব্যথা অব্যাহত থাকে এবং একটি কালো আস্তরণ (eschar) তৈরি হয়।
  • দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত এবং বৃদ্ধি প্লেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। [৭]

চতুর্থ ডিগ্রী[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইট, ১২ দিন পর
  • চতুর্থ ডিগ্রী ফ্রস্টবাইটে, ত্বকের নিচের অঙ্গ যেমন পেশী, টেন্ডন এবং হাড় আক্রান্ত হয়।
  • প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে বর্ণহীন ত্বক, চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া এবং পুনরায় উষ্ণতার সময় ব্যথাহীন অনুভূতি অন্তর্গত।
  • পরে, ত্বক কালো এবং মমিসদৃশ হয়ে যায়। স্থায়ী ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে এক মাস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। স্বয়ং অঙ্গহানি দুই মাস পরে ঘটতে পারে। [৭]

কারণসমূহ[সম্পাদনা]

ঝুঁকির কারণ[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইটের জন্য প্রধান ঝুঁকির কারণ হল পরিবেশ, পেশা এবং/অথবা বিনোদনের সময় ঠান্ডার সংস্পর্শে আসা। অপর্যাপ্ত পোশাক এবং আশ্রয়ও ঝুকির প্রধান কারণগুলোর একটি। শরীরের তাপ উৎপাদন বা তাপ ধরে রাখার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হলে ফ্রস্টবাইটের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শারীরিক, আচরণগত এবং পরিবেশগত কারণগুলোর প্রতিটিই ফ্রস্টবাইটের পিছনে ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও নিশ্চলতা এবং শারীরিক চাপও (যেমন অপুষ্টি বা পানিশূন্যতা) ঝুঁকির কারণ। [৬] যেসব রোগ এবং পদার্থ সংবহন তন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেমন, ডায়াবেটিস, রেনড'স সিনড্রোম, তামাকঅ্যালকোহলের ব্যবহারও এর পিছনে ভূমিকা রাখে। [৮] গৃহহীন ব্যক্তি এবং মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের উচ্চমাত্রার ঝুঁকি থাকতে পারে। [৬]

আক্রান্ত হওয়ার পদ্ধতি[সম্পাদনা]

ঠাণ্ডায় হিমায়ন[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইটের ফলে শরীরের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। −৪° সেলসিয়াস এর নিচে টিস্যুতে বরফ স্ফটিক তৈরি হয়। [৮] এর ফলে কোষীয় পর্যায়ে ক্ষতি সাধিত হতে পারে। বরফ স্ফটিক সরাসরি কোষ ঝিল্লির ক্ষতি করতে পারে। [৯] উপরন্তু, বরফ স্ফটিক আক্রান্ত স্থানে ক্ষুদ্র রক্তনালির ক্ষতি করতে পারে। [৮] যখন ফাইব্রোব্লাস্ট মৃত কোষকে প্রতিস্থাপন করে তখন স্কার টিস্যু তৈরি হয়। [৯]

পুনরায় উষ্ণকরণ[সম্পাদনা]

পুনরোষ্ণকরণের ফলে রিপারফিউশন ইনজুরির মাধ্যমে টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে, যার মধ্যে রক্তনালীর সম্প্রসারণ, ফুলে যাওয়া (এডিমা), এবং রক্ত প্রবাহের স্বল্পতা (স্ট্যাসিস) অন্তর্গত। অণুচক্রিকার একীভূতকরণ আঘাতের অন্যান্য সম্ভাব্য কারণের মধ্যে একটি। পুনরায় উষ্ণতার ফলে ফোস্কা এবং রক্তনালীর খিঁচুনি (ভাসোস্প্যাজম) তৈরি হতে পারে। [৮]

জমাটবিহীন ঠান্ডাজনিত ক্ষত[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইটের প্রক্রিয়া জমাটবিহীন ঠান্ডাজনিত ক্ষতের প্রক্রিয়ার থেকে আলাদা। এক্ষেত্রে, টিস্যুর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে শরীরের রক্তনালীগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ এবং খোলা হবার মাধ্যমে (ভাসোকনস্ট্রিকশনভাসোডায়ালেশন) মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে, প্রদাহজনক মাস্ট কোষ আক্রান্ত এলাকায় কাজ শুরু করে। এর ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তের জমাট (মাইক্রোথ্রম্বি) সৃষ্টি হতে পারে যার ফলে আক্রান্ত এলাকায় রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে (ইস্কিমিয়া) এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে। পুনরায় উষ্ণকরণের প্রোস্টেটগ্ল্যান্ডিনস এর মত কয়েকটি প্রদাহজনক রাসায়নিক পদার্থের ক্রমান্বয়ে নিঃসরণের ফলে রক্তের স্থানীয় জমাট বৃদ্ধি পায়। [৯]

প্যাথোফিজিওলজি[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইটের ফলে শরীরের টিস্যু জখম হবার প্যাথলজিক্যাল প্রক্রিয়াকে চারটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যেতে পারে: প্রাকহিমায়ন, হিমায়ন-গলন, সংবহনতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, এবং বিলম্বিত ইস্কিমিক পর্যায়। [১০]

  1. প্রাকহিমায়ন পর্যায়: টিস্যু শীতল হয়ে যায় কিন্তু বরফ স্ফটিক গঠিত হয় না। [১০]
  2. হিমায়ন-গলন পর্যায়: বরফ-স্ফটিক গঠিত হয়, যার ফলে কোষের ক্ষতি ও মৃত্যু ঘটে। [১০]
  3. সংবহনতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা পর্যায়: রক্ত জমাট বাধে অথবা রক্তনালীর বাইরে রক্ত চুইয়ে পড়ে। [১০]
  4. বিলম্বিত ইস্কিমিক পর্যায়: প্রদাহজনক ঘটনা, ইস্কিমিয়া এবং টিস্যুর মৃত্যু ঘটে। [১০]

রোগ নির্ণয়[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইট উপরে বর্ণিত লক্ষণ, উপসর্গ এবং রোগীর ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। একই সময়ে অনুরূপ লক্ষণবিশিষ্ট অন্যান্য অবস্থার মধ্যে রয়েছে:

  • ফ্রস্টনিপ প্রায় ফ্রস্টবাইটের মতই, কেবল এক্ষেত্রে ত্বকে বরফ স্ফটিক গঠিত হয় না। চামড়ার বর্ণহীনতা এবং অসাড়তা পুনরায় উষ্ণতার পর দ্রুত সেরে যায়।
  • ট্রেঞ্চ ফুট স্নায়ু এবং রক্তনালীর ক্ষতিসাধন করে যা ভিজা, ঠান্ডা (অহিমায়িত) পরিবেশের সংস্পর্শের ফলে হয়। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা যদি এই বিপরীত।
  • পেরনিও বা চিলব্লেন হচ্ছে ভেজা এবং ঠান্ডা (অহিমায়িত) আবহাওয়ায় উন্মুক্ততার ফলে ত্বকের প্রদাহ। এগুলো বিভিন্ন ধরনের ক্ষত এবং ফোস্কা হিসেবে দেখা দিতে পারে। [৭]
  • বুলাস পেমফিজয়েড হল এমন একটি অবস্থা যাতে শরীরে চুলকানিসহ ফোসকা সৃষ্টি হয় এবং এতে ফ্রস্টবাইটের অনুরূপ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। [১১] এটির জন্য ঠান্ডার সংস্পর্শের প্রয়োজন হয় না।
  • লেভামিসল বিষাক্ততা একটি ভ্যাসকুলাইটিস যা ফ্রস্টবাইটের মত দেখতে হতে পারে। [১১] এটি লেভামিসল দ্বারা কোকেন দূষণের ফলে তৈরি হয়। ত্বকের ক্ষতগুলো ফ্রস্টবাইটের মতো দেখতে হতে পারে তবে ঠান্ডার সংস্পর্শের প্রয়োজন হয় না।

হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই ফ্রস্টবাইটে আক্রান্ত হন। [৭] কিন্তু যেহেতু হাইপোথার্মিয়া জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ তাই এটির চিকিৎসা প্রথমে করা উচিত। নির্ণয়ের জন্য টেকনিশিয়াম-৯৯ বা এমআরআই স্ক্যানের প্রয়োজন হয় না, তবে পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হতে পারে। [১২]

প্রতিরোধ[সম্পাদনা]

ওয়াইল্ডারনেস মেডিকেল সোসাইটি ফ্রস্টবাইট প্রতিরোধে ত্বক এবং মাথার চামড়া আচ্ছাদিত করা, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা, আঁটসাঁট জুতা এবং পোশাক এড়িয়ে যাওয়া এবং ক্লান্ত না হয়ে সক্রিয় থাকার পরামর্শ দেয়। অধিক উচ্চতায় সম্পূরক অক্সিজেন ব্যবহার করা যেতে পারে। বারবার ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে এলে ফ্রস্টবাইটের আশঙ্কা বেড়ে যায়। [১৩] ফ্রস্টবাইট প্রতিরোধে অন্যান্য করনীয় ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে:[২]

  • −১৫°সে (৫° ফারেনহাইট) নিচের তাপমাত্রা এড়িয়ে চলা
  • আর্দ্রতা এড়িয়ে চলা (ঘাম এবং/অথবা কোন প্রলেপ)
  • মদ এবং শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা সংবহনকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যে কোন ওষুধ এড়িয়ে চলা
  • কয়েক স্তরের পোশাক পরিধান
  • রাসায়নিক বা বৈদ্যুতিক উষ্ণতা যন্ত্র ব্যবহার করা
  • ফ্রস্টনিপ এবং ফ্রস্টবাইটের প্রাথমিক লক্ষণগুলি চিনতে পারা [২]

চিকিৎসা[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইট বা সম্ভাব্য ফ্রস্টবাইট আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোন সুরক্ষিত পরিবেশে থাকা এবং উষ্ণ তরল পান করা উচিত। যদি পুনরায় হিমায়নের কোন ঝুঁকি না থাকে, তবে আক্রান্ত স্থানকে কোন সঙ্গীর কুঁচকি বা বগলের নিচে রেখে উষ্ণ করা যেতে পারে। যদি আক্রান্ত স্থানটি পুনরায় হিমায়িত হয় তবে টিস্যুর আরও গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। যদি এলাকাটি নির্ভরযোগ্যভাবে উষ্ণ রাখা না যায়, সেক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানটিকে পুনরায় উষ্ণ না করে চিকিৎসা স্থলে আনা উচিত। এছাড়াও প্রভাবিত এলাকার মালিশের ফলে টিস্যুর ক্ষতি বৃদ্ধি হতে পারে। অ্যাসপিরিন এবং ইবুপ্রোফেন রক্তের জমাট এবং প্রদাহ রোধ করতে [৬] আক্রান্ত স্থানে দেওয়া যেতে পারে। বেশিরভাগ সময়ে অ্যাসপিরিনের থেকে ইবুপ্রোফেন প্রয়োগ করা হয় কারণ অ্যাসপিরিন প্রোস্টেটগ্ল্যান্ডিনের একটি উপসেটকে বাধা দিতে পারে যেটি ক্ষয়পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। [১৪]

ফ্রস্টবাইটে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথমে হাইপোথার্মিয়া এবং অন্যান্য জীবননাশকারী ঠান্ডাজনিত জটিলতার জন্য পরীক্ষা করা উচিত। ফ্রস্টবাইট চিকিৎসা শুরু করার আগে, শরীরের কেন্দ্রীয় তাপমাত্রা ৩৫° সেলসিয়াসের উপরে নেয়া উচিত। মুখে অথবা শিরায় তরল পদার্থ দেওয়া উচিত। [৬]

সঠিক হাসপাতাল কার্যক্রমের অন্যান্য বিবেচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ক্ষতের যত্ন : ফোসকা রক্তাক্ত (হেমারেজিক ) না হলে সুই দিয়ে নিষ্কাশিত করা যায়। শ্বসনযোগ্য ও সুরক্ষামূলক ড্রেসিং বা ব্যান্ডেজ লাগানোর আগে অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক : ত্বকের সংক্রমণ (সেলুলাইটিস) বা গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে।
  • টিটেনাস টক্সোইড : স্থানীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী পরিচালিত করা উচিত। সরল ফ্রস্টবাইট ক্ষতের জন্য ধনুষ্টংকারের ঝুঁকি থাকে না।
  • ব্যথা নিয়ন্ত্রণ: বেদনাদায়ক পুনরোষ্ণকরণের সময় ননস্টেরয়েডাল প্রদাহরোধী ওষুধ অথবা অপিওয়েড প্রয়োগের সুপারিশ করা হয়।

পুনরোষ্ণকরণ[সম্পাদনা]

আক্রান্ত এলাকা এর পরেও আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণভাবে হিমায়িত থাকলে, হাসপাতালে প্রভিডোন আয়োডিন বাক্লোরহেক্সিডিন এন্টিসেপটিক যুক্ত উষ্ণ পানির চৌবাচ্চায় পুনরোষ্ণকরণ করতে হবে। [৬] সক্রিয় পুনরোষ্ণকরণ বলতে আক্রান্ত টিস্যু না পুড়িয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উষ্ণ করার চেষ্টাকে বোঝায়। টিস্যু যত দ্রুত স্বাভাবিক হয়, ক্ষতি তত কম ঘটে। [১৫] হ্যান্ডফোর্ড ও তার সহকর্মীদের মতে, "দ্য ওয়াইল্ডারেন্স মেডিকেল সোসাইটি এবং আলাস্কা রাজ্যের ঠাণ্ডাজনিত আঘাতের নির্দেশিকায় ৩৭−৩৯°সেলসিয়াস তাপমাত্রা সুপারিশ করা হয়, যা রোগীর ব্যথার পরিমাণ হ্রাস করে ও একইসাথে পুনরোষ্ণকরণের সময় সামান্য ধীর গতির করে।" পুনরোষ্ণকরণে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। পুনরোষ্ণকরণ খুবই বেদনাদায়ক হতে পারে, তাই ব্যথা ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। [৬]

ওষুধ[সম্পাদনা]

যে সকল রোগীর বড় ধরনের অঙ্গচ্ছেদের সম্ভাবনা আছে এবং যারা আঘাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপস্থিত হয়েছে তাদেরকে টিপিএ এর সাথে হেপারিন দেওয়া যায়। [১] তবে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে এই ঔষধ পরিহার করা উচিত। হাড় স্ক্যান বা সিটি এনজিওগ্রাফি ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। [১৬]

রক্তনালী সম্প্রসারণকারী ওষুধ (ভাসোডিলেটর) যেমন, ইলোপ্র্রস্ট রক্তনালী বন্ধ হয়ে যেতে বাধা দেয় (ভাসোকোনস্ট্রিকশন)। [৬] এই চিকিৎসাটি দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ ডিগ্রির ফ্রস্টবাইটে উপযুক্ত হতে পারে, যখন লোকেরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা পায়। [১৬] ভাসোডিলেটর ছাড়াও, ফ্রস্টবাইটের সময় ঘটে যাওয়া ক্ষতিকারক প্রান্তীয় ভাসোকোনস্ট্রিকশন প্রতিহত করতে সিমপ্যাথোলাইটিক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। [১৭]

অস্ত্রোপচার[সম্পাদনা]

ক্ষতির ধরন এবং পরিমাণের উপর নির্ভর করে, ফ্রস্টবাইটের আঘাতের ফলে বিভিন্ন ধরনের সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। পচন বা অঙ্গের সংক্রমণ (সেপসিস) না হলে ডেব্রিমেন্ট বা মৃত টিস্যু কেটে বাদ দিতে সাধারণত বিলম্ব করা হয়। [৬] এর ফলে একটি প্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে - "জানুয়ারীতে হিমায়ন, জুলাইয়ে অঙ্গচ্ছেদ"। [১৮] কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোমের উপসর্গ দেখা দিলে, রক্ত প্রবাহ বজায় রাখতে ফ্যাসিওটোমি করা যেতে পারে। [৬]

পূর্বাভাস[সম্পাদনা]

প্রাথমিক ফ্রস্টবাইটের ৩ সপ্তাহ পর

ফ্রস্টবাইটের সম্ভাব্য পরিণতি টিস্যুহানি এবং স্বয়ং অঙ্গহানি। এতে অনুভূতিহীনতা সহ স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি ঘটতে পারে। টিস্যুর কোন অংশ টিকে থাকবে তা জানতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। [৮] রোগী যে তাপমাত্রায় অবস্থান করছিল তার চেয়ে ঠান্ডার সংস্পর্শে থাকার সময়কাল, দীর্ঘস্থায়ী আঘাতের পূর্বাভাস দেয়। পুনরোষ্ণকরণের প্রতি টিস্যুর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য উপাদানের উপর ভিত্তি করে তৈরি গ্রেড শ্রেণীকরণ ব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী আরোগ্যলাভের মাত্রার পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। [৬]

গ্রেড শ্রেণীকরণ[সম্পাদনা]

গ্রেড ১: যদি আক্রান্ত এলাকায় কোনও প্রাথমিক ক্ষত না থাকে, তবে কোনও অঙ্গহানি বা স্থায়ী প্রভাব আশা করা যায় না।

গ্রেড ২: শরীরের প্রান্তিয় অংশে কোন ক্ষত থাকলে, টিস্যু এবং নখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

গ্রেড ৩: শরীরের মাঝারি অংশে ক্ষত থাকলে (যেমন, হাতের আঙ্গুল), স্বয়ং অঙ্গহানি এবং এর কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে।

গ্রেড ৪: শরীরের খুব অভ্যন্তরীণ অংশে ক্ষত থাকলে (যেমন হাতের কবজি), অঙ্গটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেপসিস এবং/অথবা অন্যান্য অঙ্গসংক্রান্ত সমস্যা আশা করা যায়। [৬]

ফ্রস্টবাইটের পরে কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি ঘটতে পারে। এগুলোর মধ্যে আক্রান্ত স্থানে ক্ষণস্থায়ী বা স্থায়ী পরিবর্তন, প্যারেথেসিয়া, ঘাম বেড়ে যাওয়া, ক্যান্সার, এবং হাড়ের ধ্বংস/বাত অন্তর্ভুক্ত। [১৯]

মহামারী[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইটের মহামারী সম্পর্কে ব্যাপক পরিসংখ্যানের অভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, উত্তর প্রদেশগুলোতে ফ্রস্টবাইট বেশি ঘটে। ফিনল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বছরে প্রতি ১০০,০০০ জনে ২.৫ জন, যেখানে মন্ট্রিলে প্রতি ১০০,০০০ জনে ৩.২ জন এতে আক্রান্ত হন। গবেষণায় দেখা যায় যে ৩০-৪৯ বছর বয়সী পুরুষেরা সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছেন, সম্ভবত পেশাগত বা বিনোদনমূলক কারণে ঠান্ডার সংস্পর্শের ফলে। [২০]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

হাজার হাজার বছর ধরে সামরিক ইতিহাস ফ্রস্টবাইটের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। গ্রিকরা ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফ্রস্টবাইটের সমস্যার সম্মুখিন হয় ও এটি নিয়ে আলোচনা করে। [৮] গবেষকরা ৫,০০০ বছর পূর্বে আন্দিয়ান মমিতে ফ্রস্টবাইটের প্রমাণ পেয়েছেন। ১৮০০ শতকের প্রথম দিকে নেপোলিয়ন সেনাদের ব্যাপক ঠান্ডার সম্মুখিন হওয়ার ঘটনা প্রথম নথিভুক্ত করা হয়। [৬] জাফ্রেনের মতে, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এবং কোরিয়ান যুদ্ধে প্রায় ১ মিলিয়ন সেনা ফ্রস্টবাইটের শিকার হন। [৮]

সমাজ ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

ফ্রস্টবাইটের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে রয়েছেন ক্যাপ্টেন লরেন্স ওটস, ইংরেজ সেনা অধিনায়ক এবং অ্যান্টার্কটিক অভিযাত্রী, যিনি ১৯২১ সালে ফ্রস্টবাইটের কারণে মারা যান। [২১] ১৯৮২ সালে বিখ্যাত মার্কিন পর্বতারোহী হিউ হের প্রবল তুষারঝড় মাউন্ট ওয়াশিংটনে আটকে থাকার পর হাঁটুর নিচে উভয় পা হারান। [২২] উপরন্তু, অনেক এভারেস্ট অভিযাত্রী ফ্রস্টবাইটের কারণে নিজেদের আঙ্গুল এবং অঙ্গ হারিয়েছেন। ১৯৯৬ সালের মাউন্ট এভারেস্ট দুর্যোগের একজন জীবিত ব্যক্তি বেক ওয়েদারস, ফ্রস্টবাইটে তার নাক ও হাত হারান। [২৩] ১৯৯৯ সালে স্কটিশ পর্বতারোহী, জেমি অ্যান্ড্রু মাউন্ট ব্লাঙ্ক ম্যাসিফে, ফ্রস্টবাইটের পরেও ক্রমাগত আরোহণের ফলে সেপসিসের কারণে চারটি হাত-পাই হারান। [২৪]

গবেষণার দিকনির্দেশ[সম্পাদনা]

টিস্যু রক্ষার জন্যে একটি সংযোজনীয় চিকিৎসা হিসাবে হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপির ব্যবহার সহায়ক হতে পারে কিনা তা নির্ধারণের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় না। [১৯] এক্ষেত্রে ঘটনার রিপোর্ট করা হয়েছে, কিন্তু মানুষের উপর কোন এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা করা হয়নি। [২৫][২৬][২৭][২৮][২৯]

এছাড়াও, রক্তনালীর মধ্যে রিসার্পিন ব্যবহার করে মেডিকেল সিম্প্যাথেকটমি সীমিত সাফল্যের সঙ্গে চেষ্টা করা হয়েছে। [১৯] গবেষণায় বলা হয়েছে যে, টিস্যু প্লাসমিনোজেন অ্যাক্টিভেটর (টিপিএ) এর তাৎক্ষণিক বা অন্তঃধামনিক অনুপ্রবেশের ফলে চূড়ান্ত অঙ্গচ্ছেদের প্রয়োজনের সম্ভাবনা হ্রাস পেতে পারে। [৩০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Handford, C; Thomas, O (মে ২০১৭)। "Frostbite.": 281–299। ডিওআই:10.1016/j.emc.2016.12.006পিএমআইডি 28411928 
  2. McIntosh, Scott E.; Opacic, Matthew (২০১৪-১২-০১)। "Wilderness Medical Society practice guidelines for the prevention and treatment of frostbite: 2014 update": S43–54। আইএসএসএন 1545-1534ডিওআই:10.1016/j.wem.2014.09.001পিএমআইডি 25498262 
  3. Singleton, Joanne K.; DiGregorio, Robert V. (২০১৪)। Primary Care, Second Edition: An Interprofessional Perspective (ইংরেজি ভাষায়)। Springer Publishing Company। পৃষ্ঠা 172। আইএসবিএন 9780826171474 
  4. Ferri, Fred F. (২০১৭)। Ferri's Clinical Advisor 2018 E-Book: 5 Books in 1 (ইংরেজি ভাষায়)। Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 502। আইএসবিএন 9780323529570 
  5. Auerbach, Paul S. (২০১১)। Wilderness Medicine E-Book: Expert Consult Premium Edition - Enhanced Online Features (ইংরেজি ভাষায়)। Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 181। আইএসবিএন 1455733563 
  6. Handford, Charles; Buxton, Pauline (২০১৪-০৪-২২)। "Frostbite: a practical approach to hospital management": 7। আইএসএসএন 2046-7648ডিওআই:10.1186/2046-7648-3-7পিএমআইডি 24764516পিএমসি 3994495অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  7. "Frostbite Clinical Presentation"emedicine.medscape.com। ২০১৭-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০২ 
  8. Zafren, Ken (২০১৩)। "Frostbite: Prevention and Initial Management": 9–12। ডিওআই:10.1089/ham.2012.1114 
  9. Sachs, Christoph; Lehnhardt, Marcus (২০১৭-০৩-০১)। "The Triaging and Treatment of Cold-Induced Injuries": 741–747। আইএসএসএন 1866-0452ডিওআই:10.3238/arztebl.2015.0741পিএমআইডি 26575137পিএমসি 4650908অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  10. McIntosh, SE; Opacic, M (ডিসেম্বর ২০১৪)। "Wilderness Medical Society practice guidelines for the prevention and treatment of frostbite: 2014 update.": S43–54। ডিওআই:10.1016/j.wem.2014.09.001পিএমআইডি 25498262 
  11. "VisualDx - Frostbite"VisualDx (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  12. "Frostbite"us.bestpractice.bmj.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪ 
  13. Fudge J (২০১৬)। "Preventing and Managing Hypothermia and Frostbite Injury": 133–9। ডিওআই:10.1177/1941738116630542পিএমআইডি 26857732পিএমসি 4789935অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  14. Heil, K; Thomas, R (মার্চ ২০১৬)। "Freezing and non-freezing cold weather injuries: a systematic review.": 79–93। ডিওআই:10.1093/bmb/ldw001পিএমআইডি 26872856 
  15. Mistovich, Joseph; Haffen, Brent (২০০৪)। Prehospital Emergency Care। Pearson Education। পৃষ্ঠা 506। আইএসবিএন 0-13-049288-4 
  16. "Frostbite"www.uptodate.com। ২০১৭-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  17. Sachs, C; Lehnhardt, M (৩০ অক্টোবর ২০১৫)। "The Triaging and Treatment of Cold-Induced Injuries.": 741–7। ডিওআই:10.3238/arztebl.2015.0741পিএমআইডি 26575137পিএমসি 4650908অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  18. Golant, A; Nord, RM (ডিসে ২০০৮)। "Cold exposure injuries to the extremities.": 704–15। পিএমআইডি 19056919 
  19. Marx 2010
  20. "Frostbite: Background, Pathophysiology, Etiology"। ২০১৭-০২-০২। ২০১৭-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  21. "BBC - History - British History in depth: The Race to the South Pole"। ২০১৭-০২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪ 
  22. "Hugh Herr's Best Foot Forward | Boston Magazine"Boston Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০২-১৮। ২০১৭-০৩-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪ 
  23. "Beck Weathers Says Fateful Everest Climb Saved His Marriage"PEOPLE.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৯-১৬। ২০১৭-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪ 
  24. Heawood, Jonathan (২০০৪-০৩-২৭)। "I'll get there, even if it kills..."The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। ২০১৭-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৪ 
  25. Finderle Z, Cankar K (এপ্রিল ২০০২)। "Delayed treatment of frostbite injury with hyperbaric oxygen therapy: a case report": 392–4। পিএমআইডি 11952063 
  26. Folio LR, Arkin K, Butler WP (মে ২০০৭)। "Frostbite in a mountain climber treated with hyperbaric oxygen: case report": 560–3। পিএমআইডি 17521112 
  27. Gage AA, Ishikawa H, Winter PM (১৯৭০)। "Experimental frostbite. The effect of hyperbaric oxygenation on tissue survival": 1–8। ডিওআই:10.1016/0011-2240(70)90038-6পিএমআইডি 5475096 
  28. Weaver LK, Greenway L, Elliot CG (১৯৮৮)। "Controlled Frostbite Injury to Mice: Outcome of Hyperbaric Oxygen Therapy.": 35–44। ১০ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০০৮ 
  29. Ay H, Uzun G, Yildiz S, Solmazgul E, Dundar K, Qyrdedi T, Yildirim I, Gumus T (২০০৫)। "The treatment of deep frostbite of both feet in two patients with hyperbaric oxygen"আইএসএসএন 1066-2936ওসিএলসি 26915585। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৮ 
  30. Bruen, KJ; Ballard JR (২০০৭)। "Reduction of the incidence of amputation in frostbite injury with thrombolytic therapy": 546–51। ডিওআই:10.1001/archsurg.142.6.546পিএমআইডি 17576891 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

শ্রেণীবিন্যাস
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান