মোহাম্মদ খালেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অধ্যাপক
মোহাম্মদ খালেদ
দৈনিক আজাদীর সম্পাদক
কাজের মেয়াদ
১৯৬২ – ২০০৩
পূর্বসূরীআবদুল খালেক
উত্তরসূরীএম এ মালেক
চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ ১৯৭৩ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৬ জুলাই ১৯২২
পাটনা, বিহার, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২১ ডিসেম্বর ২০০৩
চট্টগ্রাম
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সম্পর্কআবদুল খালেক (শ্বশুর)
এম এ মালেক (শ্যালক)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম কলেজ
পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৯)

অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ (৬ জুলাই ১৯২২ - ২১ ডিসেম্বর ২০০৩) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক যিনি চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তাকে “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[১]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

খালেদ ৬ জুলাই ১৯২২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনাতে তার পিতা আবদুল হাদী চৌধুরীর কর্মক্ষেত্রে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামের রাউজানের সুলতানপুর গ্রামের দারোগা বাড়ি। তিনি ১৯৪২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হলেও পারিবারিক কারণে সেখানে পাঠসমাপ্ত না-করে চট্টগ্রামে এসে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্নাতক সমাপ্ত করে পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ খালেদ ১৯৬২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক ছিলেন। তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৪৪ সালে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন। তিনি ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।[৪]

১৯৭০ সালের তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে রাউজান-হাটহাজারী সংসদীয় আসন থেকে জাতীয় পরিষদের স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৪]

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র হিসাবে প্রকাশিত ‘জয় বাংলা’ পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। ১৯৭২ সালে বত্রিশ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ সংবিধান কমিটির সদস্য হয়ে সংবিধান প্রণয়নে অবদান রাখেন।[৪]

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫] ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠিত হলে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলার গভর্নর নিযুক্ত হন।[৪]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৬][৭][৮] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ খালেদ ২১ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ 
  2. "অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ"দৈনিক আজাদী (অনলাইন ভার্সন)। ৬ জুলাই ২০১৮। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ 
  3. "অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ : জ্যোতির্ময় মনীষা"দৈনিক আজাদী (অনলাইন ভার্সন)। ২১ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. নিউজ ডেস্ক (২১ ডিসেম্বর ২০১৯)। "অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২০ 
  5. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  7. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ 
  8. "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পদক-২০১৯ হস্তান্তর করেন..."মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৫ মার্চ ২০১৯। ২৪ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]