জে. এডগার হুভার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জে. এডগার হুভার
J. Edgar Hoover
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ১ম পরিচালক
কাজের মেয়াদ
১০ মে ১৯২৪ – ২ মে ১৯৭২
ভারপ্রাপ্ত: ১০ মে ১৯২৪ - ১০ ডিসেম্বর ১৯২৪
রাষ্ট্রপতি
ডেপুটিক্লাইড টলসন
পূর্বসূরীউইলিয়াম জে. বার্নস
উত্তরসূরীক্লেরেন্স এম. কেলি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মজন এডগার হুভার
(১৮৯৫-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৮৯৫
ওয়াশিংটন, ডি.সি., মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু২ মে ১৯৭২(1972-05-02) (বয়স ৭৭)
ওয়াশিংটন, ডি.সি., মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সমাধিস্থলকংগ্রেশনাল সেমেটারি
রাজনৈতিক দলরিপাবলিকান[১]
শিক্ষাজর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় (এলএলবি, এলএলএম)
স্বাক্ষর
* হুভার ১৯২৪ সালের ১০ মে "ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন"-এর পরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন

জন এডগার হুভার (ইংরেজি: John Edgar Hoover; ১ জানুয়ারি ১৮৯৫ - ২ মে ১৯৭২) ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) প্রথম পরিচালক এবং মার্কিন আইন প্রণয়নকারী কর্মকর্তা। তিনি ১৯২৪ সালে এফবিআইয়ের পূর্বসূরি প্রতিষ্ঠান ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক পদে নিয়োগ পান এবং ১৯৩৫ সালে এফবিআই প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি ১৯৭২ সালে ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আরও ৩৭ বছর এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। হুভার এফবিআই প্রতিষ্ঠার চেয়ে এই প্রতিষ্ঠানটিকে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়ার এজেন্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এবং এর পুলিশি প্রযুক্তিতে একাধিক আধুনিকায়ন, যেমন কেন্দ্রীয় আঙুলের ছাপবিশিষ্ট নথি ও ফরেনসিক গবেষণাগার নির্মাণের জন্য অধিক স্বীকৃত।

তার জীবনের শেষভাগে ও মৃত্যুর পর ক্ষমতার গোপন অপব্যবহারের প্রমাণাদি পাওয়া গেলে হুভারকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তিনি এফবিআইয়ের এখতিয়ারের ঊর্ধ্বে গিয়েছিলেন,[২] এফবিআইকে রাজনীতিবিদদের বার্তা পাঠাতে ব্যবহার করেন এবং রাজনৈতিক নেতাদের গোপন নথি সংগ্রহ করেন,[৩] এবং অবৈধ উপায়ে প্রমাণাদি সংগ্রহ করেন।[৪] হুভার ব্যাপক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেছিলেন এবং অন্যকে ভয় দেখানো ও হুমকি দেওয়ার অবস্থান তৈরি করেন, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতিদেরও।[৫]

লেখনী[সম্পাদনা]

হুভার একাধিক বই ও নিবন্ধ রচনা করেছেন। যদিও ধারণা করা হয়ে থাকে এইগুলো এফবিআইয়ের কর্মচারীরা রচনা করেছেন,[৬][৭][৮] হুভারই এই বইগুলোর কৃতিত্ব ও রয়্যালিটি পেতেন।

  • জে. এডগার হুভার অ্যান্ড দি এফবিআই (J. Edgar Hoover and the FBI)। স্কলাস্টিক পাবলিশিং। ১৯৯৩।
  • পারসন্স ইন হাইডিং (Persons in Hiding)। গন্ট পাবলিশিং। ১৯৩৮।
  • রেড ফ্যাসিজম ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস টুডে (Red Fascism in the United States Today)। আমেরিকান ম্যাগাজিন। ১৯৪৭।
  • মাস্টার্স অব ডিসিট: দ্য স্টোরি অব কমিউনিজম ইন আমেরিকা অ্যান্ড হাউ টু ফাইট ইট (Masters of Deceit: The Story of Communism in America and How to Fight It)। হল্ট রাইনহার্ট অ্যান্ড উইনস্টন। ১৯৫৮।
  • আ স্টাডি অব কমিউনিজম (A Study of Communism)। হল্ট রাইনহার্ট অ্যান্ড উইনস্টন। ১৯৬২।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • ১৯৩৮: ওকলাহোমা ব্যাপ্টিস্ট বিশ্ববিদ্যালয় হুভারকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে।
  • ১৯৩৯: ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস তাকে জনকল্যাণ পদক প্রদান করে।
  • ১৯৫০: যুক্তরাজ্যের রাজা ষষ্ঠ জর্জ তাকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারের সম্মানসূচক নাইটহুডে ভূষিত করেন।
  • ১৯৫৫: রাষ্ট্রপতি ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার তাকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি মেডেল প্রদান করেন।
  • ১৯৬৬: রাষ্ট্রপতি লিন্ডন বি. জনসন এফবিআইয়ের পরিচালক হিসেবে তার কর্তব্য পালনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিসটিংগুইশড সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
  • ১৯৭৩: ওয়াশিংটন ডি. সি.তে নতুন উন্মোচিত এফবিআইয়ের সদর দপ্তরের নাম তার নামানুসারে জে. এডগার হুভার বিল্ডিং রাখা হয়।
  • ১৯৭৪: হুভারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কংগ্রেস জে. এডগার হুভার: মেমোরিয়াল ট্রিবিউটস ইন দ্য কংগ্রেস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অ্যান্ড ভ্যারিয়াস আর্টিকেলস অ্যান্ড এডিটোরিয়ালস রিলেটিং টু ইজ লাইফ অ্যান্ড ওয়ার্ক প্রকাশ করে।
  • ১৯৭৪: ইলিনয়ের শুমবার্গে তার নামানুসারে একটি গ্রেড স্কুলের নামকরণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে হুভারের অবৈধ কার্যক্রমের প্রমাণাদি প্রকাশের পর স্কুলটির নাম হার্বার্ট হুভারের নামে পরিবর্তন করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সামার্স, অ্যান্থনি (১ জানুয়ারি ২০১২)। "The secret life of J Edgar Hoover"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৯ 
  2. ""J. Edgar Hoover", Microsoft Encarta Online Encyclopedia" (ইংরেজি ভাষায়)। মাইক্রোসফট কর্পোরেশন। ২০০৮। ১ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. ""Hoover, J. Edgar", The Columbia Encyclopedia" (ইংরেজি ভাষায়) (৬ষ্ঠ সংস্করণ)। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ২০০৭। 
  4. কক্স, জন স্টুয়ার্ট; থিওহ্যারিস, অ্যাথান জি. (১৯৮৮)। The Boss: J. Edgar Hoover and the Great American Inquisition (ইংরেজি ভাষায়)। টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-87722-532-4 
  5. J. Edgar HooverBritannica Concise Encyclopedia (ইংরেজি ভাষায়)। 
  6. অ্যান্ডারসন, জ্যাক (১৯৯৯)। Peace, War, and Politics: An Eyewitness Account (ইংরেজি ভাষায়)। ফোর্জ বুকস। পৃষ্ঠা ১৭৪। আইএসবিএন 978-0-312-87497-1 
  7. পাওয়ার্স, রিচার্ড গিড (২০০৪)। Broken: the troubled past and uncertain future of the FBI (ইংরেজি ভাষায়)। ফ্রি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৩৮। আইএসবিএন 978-0-684-83371-2 
  8. থিওহ্যারিস, অ্যাথান জি., সম্পাদক (১৯৯৮)। The FBI: A Comprehensive Reference Guide (ইংরেজি ভাষায়)। ওরিক্স প্রেস। পৃষ্ঠা ২৬৪। আইএসবিএন 978-0-89774-991-6 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

সরকারি দফতর
পূর্বসূরী
উইলিয়াম জে. বার্নস
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক হিসেবে
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন: ১৯২৪–১৯৩৫

১৯২৪–১৯৭২
উত্তরসূরী
প্যাট গ্রে
ভারপ্রাপ্ত
সম্মানজনক পদবীসমূহ
পূর্বসূরী
এভারেট ডার্কসেন
Persons who have lain in state or honor
in the United States Capitol rotunda

৩-৪ মে, ১৯৭২
উত্তরসূরী
লিন্ডন বি. জনসন

টেমপ্লেট:এফবিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ