ফিসব্রুন্নেন

স্থানাঙ্ক: ৪৮°০৮′১৪″ উত্তর ১১°৩৪′৩৪″ পূর্ব / ৪৮.১৩৭২৪° উত্তর ১১.৫৭৬১৯° পূর্ব / 48.13724; 11.57619
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফিচব্রুন্নেন ২০০৯

ফিসব্রুন্নেন জার্মানির মিউনিখের কেন্দ্রে অবস্থিত মধ্যযুগের একটি ঝর্ণা। বর্তমানের ঝর্ণাটি ১৯৫৪ সালে জোসেফ হেন্সেলম্যান তৈরি করেন। তিনি কনার্ড নলের নব্য গথিক ঝর্ণার অংশ ব্যবহার করে এটি নির্মাণ করেন, যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যায়।

অবস্থান[সম্পাদনা]

ফিসব্রুন্নেন নিউ টাউন হলের মূল প্রবেশ পথে পুরাতন মিউনিখের মারিনপ্লাৎজের সামনে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ফিচব্রুন্নেন ১৮৯০

স্না্নেনপ্লাজট , বর্তমানের মারিনপ্লাৎজে, ১৩১৮ সালে একটি ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছিল,[১] যেটির আসল অবস্থান এখন আর জানা যায় না। ১৩৪৩ সালে "নাগরিকের ঝর্ণা" নামে একটি ঝর্ণার উল্লেখ পাওয়া যায়, যেটিকে পরবর্তীতে "মার্কটব্রুন্নেন" বলা হয়। এটি চত্বরের উত্তরপূর্ব এলাকায় অবস্থিত ছিল, যেখানে বর্তমানের ফিসব্রুন্নেন অবস্থিত।[২][৩]

শহরের বাইরের পানির উৎস থেকে মিউনিখ শহরের কেন্দ্রে পানি আনার জন্য প্রথম পাইপলাইনটির নির্মাণ শেষ হবার পর, অনেকদিন ধরে মারিনপ্লাৎজের ঝর্ণাটিই ছিল একমাত্র ঝর্ণা যেটি নতুন পাইপলাইনটির সাথে সংযুক্ত ছিল। চারটি বড় নল দিয়ে এই ঝর্ণায় অনবরত পানি প্রবাহিত হতো।[৩]

বর্তমানের ফিসব্রুন্নেনের পূর্বের আকৃতিটি নকশা করেছিলেন কনরাড নল ১৮৬২ থেকে ১৮৬৫ সালে এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ১৮৬৬ সাল থেকে এটির কার্যক্রম শুরু হয়।[১][৪] ব্রোঞ্জের মূর্তিগুলো তৈরি করেছেন ফার্দিনান্দ ভোন মিল্লার। মাছের ঝর্ণার পাশে ছিল চারজন পেশিবহুল কসাই, যারা এই ঝর্ণায় বালতি ভর্তি জল ঢালছেন। তাদের উপরে ছিল চারটি বাদ্যযন্ত্রসমেত শিশু। এবং সবার উপরে একটি উত্থাপিত কাপ হাতে এক প্রবীণ মজুর

১৮৮৪ সালের ২৯ জুলাই থেকে, ঝর্নার পানি মাংফল ভ্যালে থেকে আসে। আর এটি ১৮৮৪ সালে অববাহিকা খনন করার একটি কারণ।

১৯৪৪ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঝর্নাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হবার পর, জোসেফ হেন্সেলম্যান ১৯৫৪ সালে তা পুনরায় নির্মাণ করেন। এসময় তিনি বেঁচে যাওয়া মূর্তির তিনটি আকার ব্যবহার করেন। নল ঝর্ণাটির তিনজন সংগীতশিল্পীকেও পুনরায় তৈরি করা হয়েছে এবং এগুলো কার্লস্তরে পাওয়া যায়।[১]

১৯৯১ সালে ঝর্ণাটি পুনরায় নির্মাণের সময়, মিউনিখের কুকুরের জন্য ভূমিতে পানি পান করার একটি ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালের বসন্তে পুনঃসংস্কার করার সময়, ব্রোঞ্জের মূর্তিগুলি থেকে সাদা আস্তরণ সরিয়ে ফেলা হয় এবং এটিকে সংরক্ষিত করা হয়।[৪][৫]

ঝর্ণায় সংরক্ষিত ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

জবাই[সম্পাদনা]

ঝর্ণায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত রোজমোনটাগ (গোলাপি সোমবার, জার্মান উৎসব) শিক্ষানবিস কসাইদের মুক্তি দেয়া হতো।

১৭৯৩ সালে, চার্লস থিয়োডোর এই রীতি বন্ধ করে দেয়, যা রাজা দ্বিতীয় ম্যাক্সিমিলিয়ান অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় পরে পুনরায় চালু করে।[৬] বিংশ শতাব্দীতে এই রীতি অনবরত পালন করা হয়।[৭]

টাকার থলে ধোলাই[সম্পাদনা]

এশ উইডনেসডেতে, মিউনিখের মেয়র, সাধারণত শহরের রাজ-সরকারের সাথে, একটি খালি টাকার থলে ফিসব্রুন্নেনের জলে ধোলাই করাতেন। এতে করে তাদের ধারণা ছিল পরের বছর শহরের কোষাগার পরিপূর্ণ হবে।

টাকার থলে ধোলাই, ১৫ শতকের দিকে নিম্নবিত্ত লোকদের জন্য একটি প্রথা ছিল।[৮] বিশেষ করে ১৯ শতকের সময় দূত এবং সাহায্যকারীরা খালি থলে দেখিয়ে তাদের বেতন বৃদ্ধির আবেদন করতো।

সমাবেশ স্থান[সম্পাদনা]

ফিসব্রুন্নেন মিউনিখের সবচেয়ে সমাবেশ স্থান, বিশেষ করে মিউনিখের আশেপাশের অঞ্চলগুলোর মানুষদের জন্য।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Biller, Rasp, Josef H., Hans-Peter (২০০৩)। München Kunst & Kultur (German ভাষায়)। Munich। পৃষ্ঠা S.233। আইএসবিএন 3-7787-5125-5 
  2. Bistritzki, Otto (১৯৮০)। Brunnen in München, Lebendiges Wasser in einer großen Stadt (German ভাষায়)। Munich। পৃষ্ঠা S.9। আইএসবিএন 3-7667-0504-0 
  3. Rädlinger, Christine (২০০৪)। Geschichte der Münchner Stadtbäche (German ভাষায়)। Munich। পৃষ্ঠা S.37। আইএসবিএন 3-9809147-2-0 
  4. Meldungen. Sanierung des Fischbrunnens am Marienplatz (German ভাষায়)। Munich: Rathaus Umschau. Nr. 187। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১। পৃষ্ঠা S.10। 
  5. Würf, Vivian (২৬ অক্টোবর ২০১১)। Der Fischbrunnen wird erneuert. So sieht die Baustelle aus (German ভাষায়)। Munich: Abendzeitung München। 
  6. "Die Geschichte des Münchner Metzgersprungs" (German ভাষায়)। Metzger-Innung München। ৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  7. Ein Fleischskandal und seine Folge (German ভাষায়)। muenchen.de, Das offizielle Stadtportal। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২। 
  8. Hoffen auf einen vollen Stadtsäckel. (German ভাষায়)। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। পৃষ্ঠা Süddeutsche Zeitung। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]