শিতলাই জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিতলাই জমিদার বাড়ি
বিকল্প নামশিতলাই হাউজ
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
স্থাপত্য রীতিইন্দো-ইউরোপিয়ান
অবস্থানচাটমোহর উপজেলা
ঠিকানাশিতলাই গ্রাম
শহরচাটমোহর উপজেলা, পাবনা জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছে১৯০০ শতকের প্রথম দিকে
বন্ধ১৯৫০
স্বত্বাধিকারীযোগেন্দ্রনাথ মৈত্রয়
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড
তলার সংখ্যাদুই (০২)
তলার আয়তন১৫ একর
ভূতল১৫ একর
অন্যান্য তথ্য
কক্ষ সংখ্যাত্রিশ (৩০)

শিতলাই জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার শিতলাই গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। যা অনেকের কাছে "শিতলাই হাউজ" নামেও পরিচিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জমিদার যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রয় প্রায় ১৯০০ শতকের প্রথম দিকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। তবে হ্যাঁ, এই জমিদার বংশের মূল গোড়াপত্তনকারী হচ্ছেন চাঁদীপ্রসাদ মৈত্রয়। চাঁদীপ্রসাদ মৈত্রেয় সিরাজগঞ্জ জেলার শরতনগর এলাকার জমিদার ছিলেন। জমিদার চাঁদীপ্রসাদের জগন্নাথ মৈত্রেয় নামে এক পুত্র সন্তান ছিল। যিনি ছিলেন এই জমিদার বংশের দ্বিতীয় জমিদার। তার ঘরে আবার জন্ম নেন জমিদার লোকনাথ। জমিদার লোকনাথের কোনো সন্তান ছিলো না। তাই তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী চন্দ্রনাথ মৈত্রয় নামে এক পুত্র সন্তান দত্তক নেন। এই চন্দ্রনাথ মৈত্রয়ও নিঃসন্তান ছিলেন। তাই তিনিও যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রয় নামে এক পুত্র সন্তানকে দত্তক নেন। তিনিই পরবর্তীতে তাদের জমিদারী বংশের পূর্ববর্তী জমিদারী এলাকা সিরাজগঞ্জ জেলার শরৎনগর ছেড়ে পাবনা জেলার শিতলাই নামক এলাকায় জমিদারী স্থানান্তর করেন এবং এখানে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

জমিদার বাড়িটি ইন্দো-ইউরোপিয়ান স্থাপত্যশৈলিতে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দুই তলা বিশিষ্ট্য। বাড়িটিতে মোট ৩০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও বাড়িটির পাশে বিশাল একটি দীঘি রয়েছে। যার চতুর্দিকে শান বাঁধানো ঘাট রয়েছে।

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

অধিকাংশ জমিদার বাড়িই অযত্ন ও অবহেলার কারণে ধ্বংস হয়ে গেলেও এই জমিদার বাড়িটি আজও খুব ভালো অবস্থায় আছে। কারণ এটি এখন একটি বাংলাদেশী ঔষুধ কোম্পানি EDRUC সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এখানে ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। তাই তাদের তত্ত্বাবধানে থাকাতে এটি এখনো বেশ ভালো অবস্থায় আছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শিতলাই জমিদার বাড়ি!"। ৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৯