কে. কে. উষা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাননীয়া বিচারপতি
বিচারপতি কে.কে. উষা
কেরালা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি
কাজের মেয়াদ
২০০০ – ২০০১
পূর্বসূরীঅরবিন্দ বিনয়াক্রো সাওয়ান্ত
উত্তরসূরীবি. এন. শ্রীকৃষ্ণ
কেরালা উচ্চ আদালত-এর বিচারপতি
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – ২০০০
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1939-07-03) ৩ জুলাই ১৯৩৯ (বয়স ৮৪)
ত্রিশূর, কেরালা, ভারত
নাগরিকত্বভারতীয়
জাতীয়তা ভারত
দাম্পত্য সঙ্গীবিচারপতি কে. সুকুমারন

বিচারপতি কে.কে. উষা (জন্ম ৩ জুলাই ১৯৩৯) হচ্ছেন ভারতের কেরালা উচ্চ আদালতের সাবেক প্রধান বিচারপতি

আনুষ্ঠানিক পেশা[সম্পাদনা]

কে. কে. উষা ১৯৬১ সালে একজন আইনজীবী হিসাবে নথিভুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি কেরালা উচ্চ আদালতে সরকারি উকিল নিযুক্ত হন।[১] ২৫শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ থেকে ৩রা জুলাই ২০০১ পর্যন্ত সময়কালে তিনি একজন বিচারক এবং পরে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।[২] ২০০০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন।[৩] তিনি বার থেকে উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া এবং পরে প্রধান বিচারপতি হওয়া প্রথম নারী ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত হাইকোর্ট থেকে অবসরের পর তিনি দিল্লী ভিত্তিক কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ছিলেন।[১]

অন্যান্য কার্যক্রম[সম্পাদনা]

১৯৭৫-এ, কে কে. উষা হামবুর্গ জার্মানিতে নারী আইনজীবীদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেন। নারী আইনজীবীদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন এবং আইনি পেশার নারীদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত জাতিসংঘের "নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে সম্মেলন" বিষয়ক যৌথ সেমিনারে তিনি ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য এবং সভাপতি ছিলেন। "শ্রী নারায়ণ সেভিকা সমাজ"-এর সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন, যেটি হচ্ছে ত্রিভদ্রমে অভাবী মহিলাদের জন্য একটি অনাথাশ্রম এবং আবাস।[১]

২০০৫ সালের জানুয়ারী থেকে অক্টোবর ২০০৬ পর্যন্ত, কে. কে. উশা ওড়িশার সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তদন্তের জন্য ইন্ডিয়ান পিপলস ট্রাইব্যুনালের (আইপিটি) তদন্ত পরিচালনা করেন।[৪] সংঘ পরিবার এর সক্রিয় কর্মীরা ভুবনেশ্বর-এর চূড়ান্ত শুনানিতে বাধা দেয়। ট্রাইব্যুনালের সদস্য আঙ্গানা পি. চ্যাটার্জি, অভিযোগ করেছেন যে হিন্দু জাতীয়তাবাদী কর্মীরা ট্রাইব্যুনাল সদস্যদের ধর্ষণ এবং রাস্তায় নগ্ন করে হাটানোর হুমকি দিয়েছে।[৫] কে. কে. উষা ও সহকারী ট্রাইবুনাল সদস্য ও গুজরাত উচ্চ আদালতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর. এ. মেহতা, এই ঘটনাকে "জঘন্য, ভয়ানক এবং অত্যন্ত বিরক্তিকর" বলে অভিহিত করেছেন।[৬] ডিসেম্বরে ২০১১ সালে কে. কে. উষা মণিপুরে মানবাধিকার বিষয়ক আইপিটি প্যানেল সদস্য ছিলেন। ইম্ফল-এ থাকা প্যানেলটি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ৪০টিরও বেশি মামলার সাক্ষ্য শুনেছে। এটি রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন বাতিলের সুপারিশ করে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Kwomen নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. "Former Judges"। High Court of Kerala। ৯ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১২ 
  3. "COMMUNALISM IN ORISSA" (পিডিএফ)Indian People's Tribunal on Environment and Human Rights। সেপ্টেম্বর ২০০৬। আইএসবিএন 81-89479-13-X। ১৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১২ 
  4. Angana Chatterji (২০ মার্চ ২০১২)। "To: The Tom Lantos Human Rights Commission" (পিডিএফ)। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১২ 
  5. Williams, Mark; Pocha, Jehangir (২৩ জুন ২০০৫)। "S.F. professor fears Hindu retaliation"San Francisco Chronicle। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১২ 
  6. Das, Prafulla (১৫ জুন ২০০৫)। "Sangh Parivar activists disrupt tribunal hearing"The Hindu। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১২ 
  7. "Tribunal seeks act repeal - 'Independent' panel wants AFSPA to go"the Telegraph। ১৯ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]