কিশওয়ার জেহরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কিশওয়ার জেহরা
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ-এর সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৩ই আগস্ট ২০১৮
সংসদীয় এলাকাএনএ-৩১৮
কাজের মেয়াদ
১৭ই মার্চ ২০০৮ – ৩১ই মে ২০১৮
সংসদীয় এলাকাএনএ-৩১৫ ('১৩) এবং এনএ-৩১৬ ('০৮)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআগ্রা, ব্রিটিশ ভারত (এখনকার আগ্রা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত)
জাতীয়তাপাকিস্তানি
রাজনৈতিক দলমুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন
কমিটিআইন ও বিচার, প্রতিরক্ষা, ঘর ও গ্রন্থাগারের কাজ, মানবাধিকার, ধর্মীয় বিষয় এবং আন্তঃ বিশ্বাস সমন্বয়

কিশওয়ার জেহরা (উর্দু: کشور زہرہ‎‎) হচ্ছেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্বে তিনি ২০০৮-২০১৩ এবং ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করার পর কিশওয়ার জেহরাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল যদি তিনি এবং মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন একটি জোট গঠনের জন্য পাকিস্তান মুসলিম লীগে যোগ দিতে রাজি হন। জেহরা শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন কিন্তু শহীদ খাকান আব্বাসি কে সমর্থন করেন যিনি ২০১৭ সালের ১ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হন।[১]

রাজনৈতিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

জেহরার প্রাথমিক রাজনৈতিক কর্মজীবন ১৯৮০-এর দশকে শুরু হয়, যখন তিনি মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন-এ (এমকিউএম) যোগ দেন, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ কমিটির অংশ হয়ে উঠেন।

১৯৮৭-এ, করাচির স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জেহরা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।[১]

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৮-এ সিন্ধু থেকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসনে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন (এমকিউএম) এর প্রার্থী হিসেবে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন।[২][৩]

২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সিন্ধু থেকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে এমকিউএম এর প্রার্থী হিসেবে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে পুনরায় নির্বাচিত হন। [৪][৫]

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ২০১৮-এ সিন্ধু থেকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে এমকিউএম এর প্রার্থী হিসেবে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে পুনরায় নির্বাচিত হন।[১][৬]

বর্তমানে, তিনি আইন ও বিচার, এবং ঘর ও গ্রন্থাগারের কাজের স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।[৭]

জেহরা ২০১৮-এর পাকিস্তানি সিনেট নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন। [৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Tribune.com.pk (২০১৭-০৭-৩১)। "Here are the six candidates vying for PM's office"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  2. Ali, Kalbe (১০ মে ২০১২)। "Family members own assets of most Muttahida MNAs"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. Junaidi, Ikram (১৮ অক্টোবর ২০১২)। "Women involvement in decision making must for development"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. "Women, minority seats allotted"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ মে ২০১৩। ৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭ 
  5. "PML-N secures most reserved seats for women in NA - The Express Tribune"The Express Tribune। ২৮ মে ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭ 
  6. Reporter, The Newspaper's Staff (১২ আগস্ট ২০১৮)। "List of MNAs elected on reserved seats for women, minorities"DAWN.COM। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮ 
  7. "Shehbaz to be elected PAC chairman tomorrow | Pakistan Today"www.pakistantoday.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  8. Reporter, The Newspaper's Staff (২০১৮-০২-২০)। "33 left to contest for 12 Senate seats from Sindh"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫