নাসিমা আক্তার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাসিমা আক্তার
জন্ম১৯৭০ (বয়স ৫৩–৫৪)
জাতীয়তাবাংলাদেশি
মাতৃশিক্ষায়তনসিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
কানজওয়া সেইরইয়ো বিশ্ববিদ্যালয়
কাগওয়া বিশ্ববিদ্যালয়
পেশানিউক্লিয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

নাসিমা আক্তার (জন্ম ১৯৭০) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী যিনি নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ২০১০-এ, তিনি নিউক্লিয়ার কার্ডিওলজির গবেষণা এবং ভ্রূণীয় অনিয়মের নুচাল ট্রান্সসুয়েন্সীর গবেষণার জন্য বিএএস-টিডব্লিউএএস তরুন বিজ্ঞানী পুরস্কার লাভ করেন।[১] ২০১৩-এ, নিউক্লিয়ার মেডিসিন ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি-এ তার কাজের জন্য তিনি এলসেভিয়ার ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড-এ সম্মানিত হন।[২]

প্রারম্ভের জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

নাসিমা আক্তার ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৯৫ সালে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এবং ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল পরে কানজওয়া সেইরইয়ো বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান থেকে ২০০৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে জাপানের কাগওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধাত্রীবিদ্যাসংক্রান্ত আলট্রাসনোগ্রাফি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন ।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৮ সালে, নাসিমা আক্তার ঢাকায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন-এ নিউক্লিয়ার মেডিসিন চিকিৎসক হিসাবে কাজ শুরু করে। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে নুচাল ট্রান্সসুয়েন্সী ব্যবহার করে তিনি ব্যতিক্রমসমূহ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি গর্ভস রোগের (গর্ভস রোগটি ইমিউন সিস্টেমের একটি ব্যাধি যা থাইরয়েড গ্রন্থিটিকে অতিরিক্ত পরিমাণে পরিণত করে। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, যার মানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে শরীরের নিজস্ব কোষের উপর আক্রমণ করে) গবেষণা জন্য রেডিওয়ডিন থেরাপীও ব্যবহার করেছেন।[৩] এছাড়াও ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করেছেন রেডিওট্রাসার উন্নত করে সিজোফ্রেনিয়া, এবং সিগমা রিসেপ্টর ইমেজিংয়ের মাধ্যমে টিউমার বৃদ্ধি, ডিমেনশিয়া, এবং স্কিটসোফ্রিনিয়া তদন্তের জন্য।[৪] তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ৪০ টি জার্নালে পেপার প্রকাশ করেছেন এবং দেশে এবং বিদেশে ১৫ টি প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তরুণ বিজ্ঞানী হিসাবে, নাসিমা বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিনের স্বর্ণ পদক। ২০১০-এ, লাভ করেন বিএএস-টিডব্লিউএএস তরুন বিজ্ঞানী পুরস্কার এবং ২০১৩-এ ওষুধ এবং প্রাণ বিজ্ঞানে তার অগ্রণী কাজের জন্য এলসেভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কারের সঙ্গে তাকে সম্মানিত করা হয়।[১][২] $৫,০০০ ডলারের পুরস্কার ছাড়াও, এলসেভিয়ার পুরস্কারের জন্য আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভ্যান্সমেন্ট অফ সায়েন্স বোস্টন এর সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "BAS Gold Medal Award Ceremony 2011"। Bangladesh Academy of Sciences। ১৪ আগস্ট ২০১১। ৭ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  2. "Awards recognize women scientists in developing countries"। Elsevier। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  3. "Bangladesh radiologist honored by AAAS"। AuntMinnie। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  4. "Nasima Akhter - Bangladesh"। Environmentalists for Nuclear, USA। ১৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৮