কেন উইকস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেনেথ উইকস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকেনেথ হানেল উইকস
জন্ম(১৯১২-০১-২৪)২৪ জানুয়ারি ১৯১২
বস্টন, ম্যাসাচুসেটস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮(1998-02-09) (বয়স ৮৬)
ব্রুকলিন, নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৮)
২৪ জুন ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৯ আগস্ট ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩০
রানের সংখ্যা ১৭৩ ১,৭৩১
ব্যাটিং গড় ৫৭.৬৬ ৪০.২৫
১০০/৫০ ১/০ ৪/১২
সর্বোচ্চ রান ১৩৭ ১৪৬
বল করেছে ১,১৪০
উইকেট ১২
বোলিং গড় ৩৮.৬৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং -/- ৩/৮৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ২১/১
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

কেনেথ হানেল উইকস (ইংরেজি: Ken Weekes; জন্ম: ২৪ জানুয়ারি, ১৯১২ - মৃত্যু: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮) ম্যাসাচুসেটসের বস্টনে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন বংশোদ্ভূত প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার পাশাপাশি বামহাতে বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন কেনেথ উইকস নামে পরিচিত কেন উইকস

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩৮ থেকে ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জ্যামাইকার পক্ষে খেলেছেন। দলে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতি বোলার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন ‘ব্যাম ব্যাম’ ডাকনামে পরিচিত কেনেথ উইকস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেছিল তার। ১৯৩৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ জুন, ১৯৩৯ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কেনেথ উইকসের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের শুরুরদিকে ওভাল টেস্টে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দর্শকদেরকে বিমোহিত করেন। এ টেস্টটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার মাত্র দুই সপ্তাহ পূর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভিক স্টলমেয়ারের সাথে ১০০ মিনিটে ১৬৩ রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, রেজ পার্কসের হাতে থাকা নতুন বলের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় ৪ ওভারে তুলেছিলেন ৪৩ রান। এ পর্যায়ে একাধারে চারটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি। সোয়া দুই ঘণ্টায় ১৩৭ রান তুলেছিলেন তিনি।

এর দুই মাস পূর্বে লর্ডসে নেভিল কারদাস তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন ও চোখের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তার মতে কেনেথ উইকসের ব্যাটিং অনেকটা বামহাতিদের মতো ভুল দিকে ঘূর্ণায়মান। উইকসকে দলের বাইরে রাখা হয়। সারে ক্লাবের বিপক্ষে ১৪৬ রান তোলার পর পুনরায় টেস্ট দলের সদস্য করা হয়। কারদাস পরবর্তীতে উল্লেখ করেন যে, তিনি অনেকটা খচ্চরের ন্যায় আঘাত করে থাকেন। এ দুই টেস্টে খেলে ৫৭.৬৬ গড়ে রান তুলেছিলেন। তবে, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জ্যামাইকার পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

যুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। সেখানে তিনি সেবক হিসেবে কাজ করেন। ছয় সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। বিখ্যাত ব্যাটসম্যান এভারটন উইকস সম্পর্কে তার কাকাতো ভাই। তবে, তার সাথে সম্পর্কহীনতার কথা জানিয়েছিলেন। ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে ৮৬ বছর বয়সে নিউইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকায় কেনেথ উইকসের দেহাবসান ঘটে।

২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনিই প্রথম মার্কিন বংশোদ্ভূত প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। পরবর্তীকালে শ্রীলঙ্কান টেস্ট ক্রিকেটার জিহান মুবারক দ্বিতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে আবির্ভূত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ken Weekes"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৪ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]