জন গ্যাভিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জন গ্যাভিন
John Gavin
ডেস্ট্রি (১৯৬৪) টিভি ধারাবাহিকে গ্যাভিন
মেক্সিকো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
৫ জুন ১৯৮১ – ১০ জুন ১৯৮৬
রাষ্ট্রপতিরোনাল্ড রেগন
পূর্বসূরীজুলিয়ান ন্যাভা
উত্তরসূরীচার্লস জে. পিলিয়ড জুনিয়র
স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের ১৭তম সভাপতি
কাজের মেয়াদ
১৯৭১ – ১৯৭৩
পূর্বসূরীচার্লটন হেস্টন
উত্তরসূরীডেনিস উইভার
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মহুয়ান ভিনসেন্ত আপাব্লাসা জুনিয়র
(১৯৩১-০৪-০৮)৮ এপ্রিল ১৯৩১
লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮(2018-02-09) (বয়স ৮৬)
বেভারলি হিলস, ক্যালিফোর্নিয়া
রাজনৈতিক দলরিপাবলিকান পার্টি
উচ্চতা৬ ফুট ৪ ইঞ্চি
দাম্পত্য সঙ্গীসেসিলি ইভান্স (বি. ১৯৫৭; বিচ্ছেদ. ১৯৬৫)
কনস্ট্যান্স টাউয়ার্স (বি. ১৯৭৪; মৃ. ২০১৮)
সন্তান2
প্রাক্তন শিক্ষার্থীস্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেতা, কূটনীতিক
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শাখামার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯৫১–১৯৫৫
পদলেফটেন্যান্ট
যুদ্ধকোরীয় যুদ্ধ

জন গ্যাভিন (ইংরেজি: John Gavin; জন্ম: হুয়ান ভিনসেন্ত আপাব্লাসা জুনিয়র, ৮ এপ্রিল ১৯৩১ - ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)[১] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও কূটনীতিক। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত মেক্সিকোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন[২] এবং ১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আ টাইম টু লাভ অ্যান্ড আ টাইম টু ডাই (১৯৫৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন এবং বর্ষসেরা নবীন তারকা অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ইমিটেশন অব লাইফ (১৯৫৯), স্পার্টাকাস (১৯৬০), সাইকো (১৯৬০), এবং থরোলি মডার্ন মিলি (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

গ্যাভিনের প্রথম সাফল্য আসে আ টাইম টু লাভ অ্যান্ড আ টাইম টু ডাই (১৯৫৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরিক মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস অবলম্বনে ডগলাস সার্ক নির্মিত ছবিটি দিয়ে তিনি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হন।[৪][৫] জঁ-লুক গদার সাহিয়ের দ্যু সিনেমায় এক নিবন্ধে তার প্রশংসা করেন। শিকাগো ডেইলি ট্রিবিউন লিখে, "তুলনামূলকভাবে নবাগত হিসেবে তিনি লক্ষণীয় রকম ভালো করেছেন।"[৬] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তাকে "সুদর্শন, বোকাটে যুবক যার কথা, ভাবভঙ্গি ও বোকাটে সংলাপ ক্ষেপণ হলিউডে প্রথমবার অভিনেতার হিসেবে কাজকে উৎরে গেছে।"[৭] লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস লিখে তিনি "অনুভূতি-প্রবণ, পছন্দনীয়" কাজ করেছেন।[৮] গ্যাভিন তার এই কাজের জন্য বর্ষসেরা নবীন তারকা অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।

আ টাইম টু লাভ অ্যান্ড আ টাইম টু ডাই ছবিতে অভিনয় শুরুর পূর্বে তিনি ডগলাস সার্কের আরেকটি চলচ্চিত্রে, ইমিটেশন অব লাইফ (১৯৫৯), একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এই চলচ্চিত্রে লানা টার্নারের বিপরীতে অভিনয় করেন। আ টাইম টু লাভ অ্যান্ড আ টাইম টু ডাই-এর মত এই ছবিটিও বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করে এবং এই ছবিতে তার কাজের জন্য গ্যাভিন মোশন পিকচার এক্‌জিবিটদের ভোটে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নবাগত হিসেবে নির্বাচিত হন।[৯]

পরের বছর ইউনিভার্সাল পিকচার্স তাকে স্ট্যানলি কুবরিকের মহাকাব্যিক স্পার্টাকাস (১৯৬০)-এ গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব চরিত্র জুলিয়াস সিজার ভূমিকায় কাজের সুযোগ দেয়।[১০] তিনি একই বছর অ্যালফ্রেড হিচককের মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার সাইকো (১৯৬০)-এ স্যাম লুমিস চরিত্রে অভিনয় করেন। দুটি চলচ্চিত্রই সমালোচনামূলক ও বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভ করে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

গ্যাভিন ১৯৫৭ সালে সিসেলি ইভান্সকে বিয়ে করেন। তারদের দুই সন্তান রয়েছে এবং তার বেভারলি হিলসে বসবাস করতেন।[১১] ১৯৬৫ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৬৭ সালে ইতালিতে নো রোজেস ফর রবার্ট চলচ্চিত্র নির্মাণকালে গ্যাভিন তার সহশিল্পী লুসিয়ানা পালুজ্জির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান।[১২]

গ্যাভিন নিউমোনিয়ার জটিলতায় ২০১৮ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি ৮৬ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া তিনি অনেকদিন ধরে লুকেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।[১৩][১৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "John Gavin"বায়োগ্রাফি (ইংরেজি ভাষায়)। এঅ্যান্ডই টেলিভিশন নেটওয়ার্কস। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. ম্যাকফ্যাডেন, রবার্ট ডি. (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "John Gavin, Actor and Ambassador to Mexico Under Reagan, Dies at 86"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. ডেগ্যান, কারমেল (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "John Gavin, Actor in 'Psycho' and 'Spartacus,' Dies at 86"ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. শালার্ট, এডউইন (১৭ জুলাই ১৯৫৭)। "John Gavin Wins Plum Remarque Role; Ford to Face 'Doomed World'"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। পৃষ্ঠা ২৩। 
  5. "Another War, Another New Star"। শিকাগো ডেইলি ট্রিবিউন। ২৯ জুন ১৯৫৮। পৃষ্ঠা ১০। 
  6. টিনি, মে (৪ জুলাই ১৯৫৮)। "Movie Version of Book by Remarque Excellent: "A TIME TO LOVE and A TIME TO DIE""। শিকাগো ডেইলি ট্রিবিউন। পৃষ্ঠা ১৪। 
  7. বসলি ক্রাউদার (১০ জুলাই ১৯৫৮)। "Screen: 'A Time to Love': Remarque Film Opens at Two Theatres"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। পৃষ্ঠা ২২। 
  8. স্কট, জন এল. (৩১ জুলাই ১৯৫৮)। "'A Time to Love' Is Poignant War Drama"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। পৃষ্ঠা B6। 
  9. টমসন, হাওয়ার্ড (২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯)। "MOVIE HOUSE HERE UNDER NEW SET-UP: Rugoff and Becker Chain to Join in Direction of the Paris -- Rights Bought"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। পৃষ্ঠা ৪৪। 
  10. প্রায়র, টমাস এম. (২৮ জানুয়ারি ১৯৫৯)। "MOVIE EXECUTIVE TO MAKE TV FILMS: Mervyn LeRoy Is Planning Series -- A.F.M. Local Head Vows Fight on Rival"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। পৃষ্ঠা ৩৪। 
  11. ভার্নন, স্কট (২৮ মার্চ ১৯৬৫)। "A Look at John Gavin at Home"। শিকাগো ট্রিবিউন। পৃষ্ঠা d9। 
  12. February 26, 1968 The Daily Herald from Provo, Utah, pg. 17
  13. "'Psycho' Star John Gavin Dead at 86"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  14. ম্যাকফ্যাডেন, রবার্ট ডি. (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "John Gavin, Actor and Ambassador to Mexico Under Reagan, Dies at 86"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

কূটনৈতিক পদবী
পূর্বসূরী
জুলিয়ান ন্যাভা
মেক্সিকোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
১৯৮১–১৯৮৬
উত্তরসূরী
চার্লস জে. পিলিয়ড জুনিয়র