মুসলিম নারী (বিয়ে সংক্রান্ত অধিকার সুরক্ষা) বিল, ২০১৭

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুসলিম নারী (বিয়ে সংক্রান্ত অধিকার সুরক্ষা) বিল, ২০১৭
ভারতীয় সংসদ
বিবেচনাকারীভারতীয় সংসদ
বিলের সূত্রবিল নং ২০১৭ এর ২৪৭
উপস্থাপনকারীরবি শঙ্কর প্রসাদ (আইন মন্ত্রণালয়)
অবস্থা: অজানা

২০১৭ সালের আগস্টে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে তাৎক্ষনিকভাবে ১০০টি তিন তালাক মামলার কারণে বিজেপি সরকার এই বিল পাশ করে।[১] ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭-তে লোকসভা মুসলিম নারী (বিয়ে সংক্রান্ত অধিকার সুরক্ষা) বিল, ২০১৭ পাশ করে।[২] এই বিলটি তাৎক্ষণিক তিন তালাককে (তালাক ই বিদাত) তা যে কোন ভাবেই হোক না কেন- মুখে বলে, লিখে বা যেকোন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়, যেমন ই-মেইল, ক্ষুদেবার্তা এবং বার্তাবাহককে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং বরের জন্য তিন বছর পর্যন্ত কারারুদ্ধের বিধান রেখেছে।[৩] আরজেডি, আইমিম, বিজেডি, এআইএডিএমকে এবং আইইউএমএল-এর মন্ত্রিপরিষদ বিলটিকে বিবেকহীন প্রকৃতির এবং ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে আখ্যায়িত করে এর বিরোধিতা করে যখন লোকসভায় আইনমত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ এর নেতৃত্বে কংগ্রেস বিলটিকে সমর্থন করে।[৪][৫] লোকসভায় ১৯ বার বিলটিকে সংশোধন করা হলেও শেষমেষ তা বাতিল করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রায়[সম্পাদনা]

ভারতের সুপ্রীম কোর্ট, "তিন তালাক"কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। ভারতে মোদি সরকারকে মুসলমান সম্প্রদায়ের বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদ পরিচালনার আইন প্রণয়ন করতে বলেছে। ২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে ভারতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল।[৬] ২8 ডিসেম্বার ২০১৭-এ, সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ দেয় এবং ভারতে তাৎক্ষনিক তিন তালাকের একাধিক মামলা উদ্ধৃত করে।[৭]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'100 cases of instant triple talaq in the country since the SC judgement'" 
  2. "Lok Sabha passes triple talaq bill" 
  3. "Triple Talaq Bill Passed In Lok Sabha"Republic TV। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "Congress' backing of triple talaq bill indicates it's gradually withdrawing from Muslim appeasement politics" 
  5. "Congress backs triple talaq bill, Khurshid strikes discordant note" 
  6. "Supreme court bars triple talaq"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৭ 
  7. "'100 cases of instant triple talaq in the country since the SC judgement'"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৭