১৯৯৫ দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৯৫ দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপ
বিবরণ
স্বাগতিক দেশ শ্রীলঙ্কা
শহরকলম্বো
তারিখ২৫ মার্চ – ২ এপ্রিল ১৯৯৫
দল৬ (১টি উপ-কনফেডারেশন থেকে)
মাঠ১ (১টি আয়োজক শহরে)
চূড়ান্ত অবস্থান
চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা (১ম শিরোপা)
রানার-আপ ভারত
তৃতীয় স্থান বাংলাদেশ
চতুর্থ স্থান   নেপাল
পরিসংখ্যান
ম্যাচ
গোল সংখ্যা১৩ (ম্যাচ প্রতি ১.৮৬টি)
শীর্ষ গোলদাতাশ্রীলঙ্কা মুহাম্মদ আমানুল্লা
(৩টি গোল)

১৯৯৫ দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপ ছিল দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দক্ষিণ এশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপের দ্বিতীয় আসর। এই আসরে দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিযোগিতা করার কথা ছিল, তবে মালদ্বীপ এই আসর হতে তাদের নাম প্রত্যাহার করেছিল। এই আসরটি ১৯৯৫ সালের ২৫শে মার্চ হতে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[১][২][৩][৪] ভারত দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপের পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৯৩ সালে ৭ পয়েন্ট অর্জন করে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে। ২রা এপ্রিল তারিখে কলম্বোর সুগাথাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালের সাডেন ডেথে শ্রীলঙ্কা ভারতকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে।

অংশগ্রহণকারী দল[সম্পাদনা]

দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপের এই আসরে দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি দল অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও মালদ্বীপ এই আসর হতে তাদের নাম প্রত্যাহার করেছিল। বাংলাদেশ এই আসরে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপে অভিষেক করেছে।

দল অংশগ্রহণ সেরা সাফল্য
 বাংলাদেশ ১ম অভিষেক
 ভারত ২য় চ্যাম্পিয়ন (১৯৯৩)
 মালদ্বীপ নাম প্রত্যাহার
   নেপাল ২য় ৩য় স্থান (১৯৯৩)
 পাকিস্তান ২য় ৪র্থ স্থান (১৯৯৩)
 শ্রীলঙ্কা ২য় রানার-আপ (১৯৯৩)

মাঠ[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছিল যে, এই আসরের ম্যাচ আয়োজনের জন্য শ্রীলঙ্কার কলম্বোর সুগাথাদাসা স্টেডিয়ামের নাম ঘোষণা করেছিল, যেখানে এই আসরের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

কলম্বো
সুগাথাদাসা স্টেডিয়াম
ধারণক্ষমতা: ২৫,০০০[৫]

গ্রুপ পর্ব[সম্পাদনা]

এই আসরে অংশগ্রহণকারী ৬টি দলকে ৩টি দল করে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করে একক রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে গ্রুপ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উভয় গ্রুপে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল সেমি-ফাইনালের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। মালদ্বীপ নিজেদের নাম প্রত্যাহার করায় গ্রুপ বি-এ শুধুমাত্র ভারত এবং শ্রীলঙ্কা অবশিষ্ট ছিল, এর ফলে উভয় দলই পরবর্তী পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।

গ্রুপ এ[সম্পাদনা]

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 বাংলাদেশ +১ নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ
   নেপাল
 পাকিস্তান −১




গ্রুপ বি[সম্পাদনা]

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 শ্রীলঙ্কা (H) [ক] নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ
 ভারত [ক]
উৎস: আরএসএসএসএফ
(H) স্বাগতিক।
টীকা:
  1. টসের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।


নকআউট পর্ব[সম্পাদনা]

নকআউট পর্বে, একটি ম্যাচের ফলাফল যদি পূর্ণ ৯০ মিনিট পর সমতায় থাকে তবে অতিরিক্ত সময়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল (১৫ মিনিট করে দুই অর্ধে ৩০ মিনিট)। যদি অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল সমতায় থাকে, তবে খেলার ফলাফল পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল।

বন্ধনী[সম্পাদনা]

 
সেমি-ফাইনালফাইনাল
 
      
 
৩১ মার্চ ১৯৯৫ – কলম্বো
 
 
 শ্রীলঙ্কা (অ.স.প.)
 
২ এপ্রিল ১৯৯৫ – কলম্বো
 
   নেপাল
 
 শ্রীলঙ্কা (অ.স.প.)
 
৩১ মার্চ ১৯৯৫ – কলম্বো
 
 ভারত
 
 ভারত (পে.) ০ (৪)
 
 
 বাংলাদেশ ০ (২)
 

সেমি-ফাইনাল[সম্পাদনা]


ফাইনাল[সম্পাদনা]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

গোলদাতা[সম্পাদনা]

এই প্রতিযোগিতায় ১০ জন খেলোয়াড় ৭টি ম্যাচে ১৩টি গোল করেছেন, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ১.৮৬টি গোল।

৩টি গোল

২টি গোল

১টি গোল

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "1995 SAFF Championship;globalsport archive.com"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২১ 
  2. "1995 SAFF Championship"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২১ 
  3. "1995 SAFF Championship;RSSSF.com"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২১ 
  4. "Sri Lanka Sports News - Lakehouse Newspapers"Online edition of Daily News। ৪ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২১ 
  5. "World Stadiums - Stadiums in Sri Lanka"। ২১ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২১