স্বামী বিবেকানন্দের ভারত পরিভ্রমণ (১৮৮৮-১৮৯৩)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

১৮৮৮ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বরানগর মঠ থেকে এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসীর বেশে ভারত পরিক্রমায় যাত্রা করেন। পরিব্রাজকের সন্ন্যাস জীবনে যেমন "কোনও নির্দিষ্ট বাসস্থান বা কোনও প্রকারের পিছুটান থাকে না এবং তিনি যেমন স্বাধীনভাবে সম্পূর্ণ অচেনা এক মানুষ হিসেবে যত্রতত্র গমন করেন",[১] বিবেকানন্দও ঠিক সেইভাবেই ভারত পরিক্রমা করেছিলেন। সেই সময় তাঁর সম্বল ছিল শুধুমাত্র একটি কমণ্ডলু, একটি লাঠি এবং তাঁর প্রিয় দুই বই: ভগবদ্গীতাদি ইমিটেশন অফ ক্রাইস্ট[২] দীর্ঘ পাঁচ বছরের এই ভারত পরিভ্রমণ কালে তিনি বিভিন্ন বিদ্যাচর্চাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় মতবাদ ও সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করে তোলেন।[৩][৪] এই সময় বিবেকানন্দ প্রধানত ভিক্ষা করে জীবনধারণ করতেন এবং কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও বা অনুরাগীদের কেটে দেওয়া টিকিটে রেলপথে ভ্রমণ করতেন। পণ্ডিত, দেওয়ান, রাজা, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, পারিয়ার (নিম্ন-বর্ণীয় মজুর শ্রেণি) ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী সহ বিভিন্ন ধর্মমতে বিশ্বাসী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ভারতীয়দের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে।[৫] তাঁদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে দুঃখে দিন কাটানো দরিদ্র সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর মনে সহানুভূতি জাগে এবং তিনি জাতির সার্বিক উন্নতির আশু প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন।[৩][৫]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rolland 2008, পৃ. 7।
  2. Dhar 1976, পৃ. 243।
  3. Richards 1996, পৃ. 77–78।
  4. Bhuyan 2003, পৃ. 12।
  5. Rolland 2008, পৃ. 16–25।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]