তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক
রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
পূর্বসূরীআবুল হোসেন
উত্তরসূরীআবদুস সাত্তার মন্ডল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মরাজশাহী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক একজন প্রবীণ বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে তিনি ঈশ্বরদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৬৮ সালে রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন। ১৯৬৯ সালে তিনি অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৪ সালে তিনি মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে আসেন। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি দুর্গাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে স্বৈরশাসন আমলে তাজুল ইসলাম মোহাম্মদকে ফেরারি জীবন-যাপন করতে হয়। পুলিশি নিপীড়নের কারণে ১৯৮৭ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৮৮ সালের জুন পর্যন্ত আত্মগোপনে থাকেন। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন আত্মগোপনে থেকেই।

তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৮৭ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৮৮ সালের জুন পর্যন্ত আত্মগোপনে থাকেন। ১৯৯০ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থনের দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারমম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে প্রথম রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১]

এরই মধ্যে তাজুল ফারুক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে নির্বাচিত হন সভাপতি।

২০০৫ সালে তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

৩১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে সন্ধ্যায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর রাজশাহী উপ-শহরের বাড়ি থেকে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সাবেক এমপি তাজুল ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক"banglanews24.com। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. "সাবেক এমপি তাজুল ফারুক আর নেই"www.bd-pratidin.com। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯