আলেকজান্ডার নক্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলেকজান্ডার নক্স
Alexander Knox
১৯৪০-এর দশকে প্রচারণামূলক ছবিতে নক্স
জন্ম(১৯০৭-০১-১৬)১৬ জানুয়ারি ১৯০৭
স্ট্রাথরয়, অন্টারিও, কানাডা
মৃত্যু২৬ এপ্রিল ১৯৯৫(1995-04-26) (বয়স ৮৮)
বারউইক-আপন-টুইড, নর্থামবারল্যান্ড, ইংল্যান্ড
শিক্ষাইংরেজি সাহিত্য
মাতৃশিক্ষায়তনওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেতা, লেখক
কর্মজীবন১৯৩১-১৯৮৬
দাম্পত্য সঙ্গীডোরিস নোলান (বি. ১৯৪৩; মৃ. ১৯৯৫)
সন্তানঅ্যান্ড্রু নক্স

আলেকজান্ডার নক্স (ইংরেজি: Alexander Knox; ১৬ জানুয়ারি ১৯০৭ - ২৬ এপ্রিল ১৯৯৫) হলেন একজন কানাডীয় অভিনেতা ও লেখক। তিনি উইলসন (১৯৪৪) চলচ্চিত্রে উড্রো উইলসন চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।

তার উদার মতাদর্শের কারণে তাকে হলিউড ছাড়তে হলেও তিনি দীর্ঘদিন অভিনয়ের সাথে জড়িত ছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন লেখক ছিলেন। তিনি রোমাঞ্চকর উপন্যাস, নাটক ও গোয়েন্দা উপন্যাস রচনা করেছেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

নক্স ১৯০৭ সালের ১৬ই জানুয়ারি কানাডার অন্টারিও অঙ্গরাজ্যের স্ট্রাথরয়ে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ডিগ্রি অর্জন করেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি পরবর্তী কালে ম্যাসাচুসেট্‌স অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে চলে যান এবং ১৯২৯ সালে বোস্টন রিপারটরি থিয়েটারের মঞ্চনাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯২৯ সালে স্টক মার্কেট ধসের পর কোম্পানিটি তাদের কাজ ঘুটিয়ে নেয়। ফলে তিনি অন্টারিওর লন্ডন শহরে ফিরে যান এবং দুই বছর দ্য লন্ডন অ্যাডভার্টাইজার-এ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন।[৩] ১৯৩০-এর দশকে তিনি ইংল্যান্ডের লন্ডনে যান। তিনি সেখানে মঞ্চনাটকে কাজ করেন এবং দ্য গন্ট স্ট্রেঞ্জার (১৯৩৮) ও দ্য ফোর ফিদারস (১৯৩৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[২]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পরলে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে যান এবং সেখানে তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে কাজ শুরু করেন। এসময়ে তিনি লরন্স অলিভিয়ের রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (১৯৪০) নাটকে ফ্রিয়ার লরেন্স এবং ক্যাথরিন কর্নেলের দ্য থ্রি সিস্টারস (১৯৪২)-এ ব্যারন টুজেনবাখ চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে জুপিটার লাফস (১৯৪০)-এ জেসিকা ট্যান্ডির বিপরীতে, জেসন (১৯৪২) এবং তার নিজের লেখা ক্লোজিং ডোর (১৯৪৯) নাটকে অভিনয় করেন।[২]

সিস্টার কেনি (১৯৪৬) ছবিতে নক্স।

১৯৪০-এর দশকে তিনি কেন্দ্রীয় ও চরিত্রাভিনেতা হিসেবে প্রথমে হলিউড ও পরে ইংল্যান্ডের চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এসময়ে তিনি দ্য সি উল্‌ফ (১৯৪১) ও নান শ্যাল এসকেপ (১৯৪৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৪ সালে ডেরিল এফ. জানুক তাকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের জীবনীমূলক উইলসন চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় কাজের জন্য নির্বাচন করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন[৪] এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১]

পরবর্তী কালে তিনি অভার টুয়েন্টি ওয়ান (১৯৪৫), সিস্টার কেনি (১৯৪৬), ইউরোপা 'ফিফটি ওয়ান (১৯৫২), ও দ্য ভাইকিংস (১৯৫৮) চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে এবং দ্য ডিভাইডেড হার্ট (১৯৫৪), দ্য লঙেস্ট ডে (১৯৬২), দ্য ডেমড (১৯৬৩), খার্তুম (১৯৬৬), নিকোলাস অ্যান্ড আলেকজান্ড্রা (১৯৭১), জশুয়া দেন অ্যান্ড নাউ (১৯৮৫) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।[২] এছাড়া তিনি টিঙ্কার টেইলর সোলজার স্পাই মিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু[সম্পাদনা]

নক্স ১৯৪৪ সালে মার্কিন অভিনেত্রী ডোরিস নোলান (১৯১৬-১৯৯৮)-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিবাহ ১৯৯৫ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত ঠিকে ছিল। তারা দুজনে ১৯৪৯ সালে ব্রডওয়ে মঞ্চে দ্য ক্লোজিং ডোর নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তাদের একমাত্র পুত্র অ্যান্ড্রু জোসেফ নক্স (জ. ১৯৪৭) ছিলেন একজন অভিনেতা। অ্যান্ড্রু ১৯৮৭ সালে আত্মহত্যা করেন।[৫]

নক্স অস্থির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৫ সালের ২৬শে এপ্রিল ইংল্যান্ডের নর্থামবারল্যান্ডের বারউইক-আপন-টুইডে মৃত্যুবরণ করেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বেনেডিক, অ্যাডাম (৬ মে ১৯৯৫)। "OBITUARIES Alexander Knox"দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. গ্রাইমস, উইলিয়াম (২৯ এপ্রিল ১৯৯৫)। "Alexander Knox, 88, Actor Who Played Woodrow Wilson"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ 
  3. টমাস, ক্লারা (১৯৪৬)। Canadian Novelists 1920-1945। টরন্টো: লংম্যান্স, গ্রিন অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ৭৫। 
  4. "Alexander Knox"গোল্ডেন গ্লোব (ইংরেজি ভাষায়)। হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ 
  5. ডনেলি, পল (২০০০)। Fade to Black: A Book of Movie Obituaries। অমনিবাস প্রেস। পৃষ্ঠা ৩১৫–৩১৬। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]