মাদার টেরিজার সমালোচনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাদার তেরেসা

একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে মেরি টেরিজা বোজাঝিউ'র জীবন ও কর্ম, যিনি মাদার টেরিজা বা তেরেসা নামে অধিক পরিচিত, তার মৃত্যুর আগে ও পরে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার দ্বারা নন্দিত ও নিন্দিত হয়েছে। টেরিজা ও তার প্রতিষ্ঠিত 'দ্য মিশনারিজ অব চ্যারিটি'র (দাতব্য ধর্মপ্রচারক সংঘ) ক্রিয়াকলাপ অসংখ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকরা টেরিজার সংঘের সেবার নিম্নমান, বলপূর্বক ধর্মান্তর ও মৃত্যুপথযাত্রীদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষাদানের নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এবং তাদের সাথে উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের সম্পর্ক পেয়েছে।[১] টেরিজা গণযোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ছিলেন। অনেক সমালোচক মনে করেন, ক্যাথলিক গির্জা খ্রিস্টানধর্ম প্রচার ও সমালোচনার মোকাবেলা করতে তেরেসার ভাবমূর্তি ব্যবহার করেছে। বিশ্ববিখ্যাত চিন্তাবিদ জার্মেইন গ্রিয়ার টেরিজাকে 'ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী' বলে সমালোচনা করেছেন।[২] অনেকে তাকে উন্মত্ত উগ্রবাদী, মৌলবাদী তথা ভণ্ড বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন যে তিনি নিজের ধর্মীয় আদর্শ তথা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে দুস্থবঞ্চিতদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।[২][৩][৪][৫]

উপনিবেশবাদী ও বর্ণবাদী প্রকল্প[সম্পাদনা]

বিজয় প্রসাদ মাদার টেরিজাকে উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের ধ্বজাধারী বলেছেন।[৬] তার মতে, টেরিজা উপনিবেশিত দেশে ধর্মপ্রচারক শ্বেতাঙ্গ নারীদের প্রতিভূ রূপে ক্রিয়ারত ছিলেন যেন তিনি কালো মানুষদের স্বীয় কামনা ও অপারগতা থেকে রক্ষা করতে এসেছেন। এখনও উপনিবেশবাদী কুচিন্তা ধারণ করে যাওয়া ইউরো-মার্কিন মিডিয়া মনে করে যে কালো মানুষদের বদলাবার বিশেষ ক্ষমতা শ্বেতাঙ্গদের রয়েছে। অশ্বেতাঙ্গ কালোরা নিজেরা নিজেদের উন্নতিতে সচেষ্ট হলেও ইউরো-মার্কিন মিডিয়া তার মাঝে কোন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে খুঁজে পায় শিক্ষক বা অভিভাবক রূপে যেন কালোরা নিজেরা নিজেদের উন্নতি করতে অপারগ শ্বেতাঙ্গদের ছাড়া। তেরিজার কর্ম পশ্চিমা বৈশ্বিক প্রকল্পেরই অংশ যা বুর্জুয়া পাপবোধকে প্রশমন করতে দাতব্য চালিয়ে যায় কিন্তু যে সমাজকাঠামো দারিদ্র্য উৎপাদন করে যে সমাজকাঠামোকে না বদলিয়ে টিকিয়ে রাখে।[৬] অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারত থেকে এখনো উপনিবেশী মানসিকতা দূর হয়নি, তাই সাধারণ মানুষ টেরিজার মতো সাদা মহিলাকে সমালোচনা করতে ভয় পায়।[৭]

বলপূর্বক খ্রিস্টধর্ম দীক্ষা[সম্পাদনা]

তেরেসা নিজেই ১৯৯২ সালে স্বীকার করেন, তিনি প্রায় ২৯ হাজার লোককে তাদের মৃত্যুর সময় না জানিয়ে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করান। আমার মতে আসল সংখ্যাটা লক্ষের কাছাকাছি হবে।

টেরিজার বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ, তিনি সেবা গ্রহণ করতে আসা অসহায় দুঃস্থ মানুষদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হতে চাপ দিতেন। টেরিজার সংঘের 'সবকিছুই ছিল খ্রিস্টান হবার শর্তে' – সে খাবার হোক বা শোবার জায়গা হোক।[৯] অরূপ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ১৯৯২ সালে মাদার টেরিজা নিজেই স্বীকার করেন, তিনি প্রায় ২৯ হাজার লোককে মৃত্যুকালে তাদের না জানিয়ে খৃস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন।[১০] তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। তাদের দাবী, মাদার টেরিজা হিন্দুধর্মকে শয়তানের ধর্ম বলে চিহ্নিত করেন। যদিও একজন মানুষের অজান্তে কীভাবে তাকে ‘ধর্মান্তরিত’ করা যায় – সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ।

অর্থসংক্রান্ত কেলেঙ্কারি[সম্পাদনা]

অনেক অসৎ ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ তথা গৃহীত অর্থের অস্বচ্ছ ব্যয়ের জন্যও টেরিজা সমালোচিত হয়েছেন।[১১][১২][১৩] অনেক বড় বড় অনুদান পেলেও তিনি সেবার মান উন্নতিকরণে উল্লেখযোগ্য ব্যয় করেননি। জার্মান পত্রিকা স্টার্ন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী অনুদানের মাত্র ৭ শতাংশ সেবা দানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত,[১১] যদিও টেরিজা নিজে বিশ্বের সেরা হাসপাতালে সর্বদা ১ম শ্রেণীর উৎকৃষ্ট চিকিৎসা নিতেন[১৪] এবং অধিকাংশ সময় সংরক্ষিত বিমানে বিশ্ব পরিভ্রমণে ব্যস্ত থাকতেন।[১৫] ক্রিস্টোফার হিচেন্সের মতে, টেরিজা কুখ্যাত, দুর্নীতিবাজ প্রতারকদের কাছ থেকে বড় বড় অনুদান নিয়েছেন। যেমন, টেরিজাকে এক মিলিয়ন ডলার অনুদানকারী চার্লস কিটিং ঋণ জালিয়াতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে টেরিজা বিচারককে কিটিং-এর চারিত্রিক সদগুণ কীর্তন করে চিঠি দিয়েছিলেন। টেরিজাকে কিটিং-এর ২৫২ মিলিয়ন ডলার ঋণ জালিয়াতির তথ্যপ্রমাণ পাঠানো হলেও তিনি অনুদান ফেরত দেননি।[১৬]

চিকিৎসা সেবার নিম্নমান[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যাঞ্চেটের সম্পাদক রবিন ফক্স ১৯৯১ সালে কলকাতায় টেরিজার সেবাদান প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে চিকিৎসার মানকে অগ্রহণযোগ্য ও অপরিচ্ছন্ন বলে সমালোচনা করেছেন।[১৭] ফক্স বলেন, চিকিৎসাশাস্ত্রীয় বিদ্যা ছাড়াই টেরিজা ও তার সংঘ রোগীদের সম্পর্কে দেখা শোনা করে এবং তারা নিরাময়যোগ্য ও নিরাময়-অযোগ্য রোগের মাঝে কোন পার্থক্য করে না ফলশ্রুতিতে নিরাময়যোগ্য রোগীও মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারে।[১৭] মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পর্যবেক্ষকও একই মত প্রকাশ করেছেন।[১৮]

আধ্যাত্মিক ভণ্ডামি[সম্পাদনা]

টেরিজা মানুষকে ঈশ্বরপ্রেম শিক্ষা দিলেও টেরিজার চিঠিপত্র থেকে জানা যায় জীবনের শেষ পঞ্চাশ বছর তিনি অন্তরের অন্তস্থলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করেননি,[১৯] ঈশ্বরের অনুপস্থিতে হাহাকার প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন যে ঈশ্বর তাকে পরিত্যাগ করেছেন।[২০] তিনি লিখেছেন "কোথায় আমার বিশ্বাস? এমনকি হৃদয়ের গভীরে শূন্যতা আর অন্ধকার ছাড়া কিছু নেই। যদি ঈশ্বর তুমি থাকো, আমাকে ক্ষমা করো।[২১] টেরিজাকে তাই অনেকে আধ্যাত্মিক ভণ্ডামির অভিযোগ করেছেন।[২২][২৩]

কলকাতার নেতিবাচক প্রচারণা[সম্পাদনা]

কলকাতা পৌরসংস্থার মহানাগরিক বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য বলেছেন যে কলকাতার দরিদ্র লোকদের উপর টেরিজার কোন উল্লেখযোগ্য কর্ম নেই; টেরিজা রোগের চিকিৎসা করার চেয়ে রোগকে মহিমাহ্নিত করেছেন বেশি এবং সর্বোপরি সারাবিশ্বে কলকাতার নেতিবাচক দারিদ্র্যময় ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন।[৭] অরূপ চট্টোপাধ্যায় টেরিজার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন।[২৪]

গর্ভপাতবিরোধিতার সমালোচনা[সম্পাদনা]

টেরিজার ধর্ষিতাদেরও গর্ভপাত করতে দিতে অনীহা ছিল। টেরিজা তার নোবেল ভাষণে বলেন, "গর্ভপাত বিশ্বশান্তির সবচেয়ে বড় শত্রু।"[১৫] গর্ভপাত অধিকার আন্দোলনকারীরা টেরিজাকে গর্ভপাতবিরোধিতার জন্য কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন।[২৫][২৬][২৭]

গণমাধ্যমে টেরিজা সমালোচনা[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক তারিক আলিক্রিস্টোফার হিচেন্স টেরিজার ওপর হেল'স এঞ্জেল (নরকের দেবদূত) শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন। ১৯৯৫ সালে হিচিন্স দ্য মিশনারি পজিশন: মাদার টেরিজা ইন থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস (ধর্মপ্রচারক অবস্থান: তত্ত্বে ও কর্মে মাদার টেরিজা) নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন।[২৮] হিচেন্স দেখান যে ক্ষমতাহীনের সাথে ক্ষমতাবানের লড়াইয়ে সবসময় ক্ষমতাবানের পক্ষ নিয়েছেন, যেমন ভোপালের বিপর্যয়ে ইউনিয়ন কার্বাইডের পক্ষ নিয়েছেন, রোনাল্ড রিগানের সমর্থন করেছেন, এমনকি নিকারাগুয়া গিয়ে সন্ডিস্টাদের বিরুদ্ধে টেরিজা সিআইএ-সমর্থিত কন্ট্রাদের সমর্থন দিয়েছেন।[১৬] ভারতীয় লেখক ও চিকিৎসক অরূপ চট্টোপাধ্যায়, যিনি একসময় টেরিজার সেবাদান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, টেরিজার ধর্মপ্রচারকদলের ক্রিয়াকলাপ অনুসন্ধান করেছেন এবং তার মাদার টেরিজা: দ্যা ফাইনাল ভার্ডিক্ট নামের বইয়ে মাদারের সেবা-পদ্ধতি ও আরও নানা স্পর্শকাতরা বিষয় নিয়ে গুরুতর কিছু অভিযোগ করেন।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Christopher Hitchens (24 April 2012). The Missionary Position: Mother Theresa in Theory and Practice. McClelland & Stewart. pp. 51–. ISBN 978-0-7710-3919-5.
  2. "Catholic icon Teresa was both adored and attacked"www.yahoo.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০২ 
  3. Squires, Nick (২০১৬-০৯-০৪)। "Mother Teresa's legacy under cloud as sainthood nears"The Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0307-1235। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৩ 
  4. Goldenberg, Suzanne (১৯৯৯-০৮-০৬)। "Search for sins of saint of the gutters"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৩ 
  5. "The Humanist Challenge to the Sainthood of Mother Teresa"TheHumanist.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৩ 
  6. Prashad, Vijay (2012). "Mother Teresa as the Mirror of Bourgeois Guilt". In Najmi, Samina; Srikanth, Rajini. White Women in Racialized Spaces: Imaginative Transformation and Ethical Action in Literature (illustrated ed.). State University of New York Press. pp. 67–68. ISBN 978-0-7914-8808-9. Retrieved 8 March 2015.
  7. "Was Mother Teresa a saint? In city she made synonymous with suffering, a renewed debate over her legacy"Los Angeles Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০২। আইএসএসএন 0458-3035। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৮ 
  8. ঘোষ, শুভজ্যোতি (২০১৬-০৯-০৪)। "সন্ত হলেও সমালোচনা থেকে রেহাই নেই তেরেসার"বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২১ 
  9. মিশ্র, অমলেশ (৯ মার্চ ২০১৫)। "শ্রীমোহন ভাগবত নির্জলা সত্য বলে মৌচাকে ঢিল মেরেছেন" (পিডিএফ)স্বস্তিকা: ১২। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  10. Dutta, Krishna (১৬ মে ২০০৩)। "Saint of the gutters with friends in high places"Times Higher Education। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১১ 
  11. Mathews Thomas, Prince। "Pointing Fingers At Mother Teresa's Heirs"Forbes। Forbes Media LLC। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  12. Woods, Mark। "Mother Teresa and her critics: Should she really be made a saint?"Christian Today। Christian Media Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  13. "Mother Teresa's troubled legacy"New Internationalist (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৯-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৩ 
  14. "Saint of the gutters with friends in high places"Times Higher Education (THE) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৩-০৫-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৯ 
  15. "Mother Teresa to become saint amid criticism over miracles and missionaries"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০২। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৯ 
  16. হিচেন্স, ক্রিস্টোফার (১৯৯৫)। দ্য মিশনারি পজিশন: মাদার টেরিজা ইন থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস The Missionary Position: Mother Teresa in Theory and Practice [ধর্মপ্রচারক অবস্থান: তত্ত্বে ও কর্মে মাদার টেরিজা]। নিউ ইয়র্ক: ভারসো। আইএসবিএন 1-85984-054-X 
  17. Fox, Robin (১৯৯৪)। "Mother Teresa's care for the dying"। The Lancet344 (8925): 807–808। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(94)92353-1 
  18. Larivée, Serge; Carole Sénéchal; Geneviève Chénard (২০১৩)। "Les côtés ténébreux de Mère Teresa"। Studies in Religion/Sciences Religieuses42 (3): 319–345। ডিওআই:10.1177/0008429812469894 
  19. "Mother Teresa | Canonization, Awards, Facts, & Feast Day"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০১Although Mother Teresa displayed cheerfulness and a deep commitment to God in her daily work, her letters (which were collected and published in 2007) indicate that she did not feel God’s presence in her soul during the last 50 years of her life. The letters reveal the suffering she endured and her feeling that Jesus had abandoned her at the start of her mission. 
  20. David Van Biema (২৩ আগস্ট ২০০৭)। "Mother Teresa's Crisis of Faith"TIME। ১৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  21. "Sermon – Some Doubted"। Edgewoodpc.org। ১৯ জুন ২০১১। ১৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১১ 
  22. "CNN iReport: 'Crisis of Faith: Mother Teresa's letters'"CNN। ১ জুন ২০০৯। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  23. cf. Fr. James Martin, SJ, Letter in The New York Review of Books, 19 September 1996 In Defense of Mother Teresa, accessed 2 February 2014
  24. Schultz, Kai (২০১৬-০৮-২৬)। "A Critic's Lonely Quest: Revealing the Whole Truth About Mother Teresa"The New York Timesআইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৮ 
  25. Adam Taylor (১৮ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Why Mother Teresa is still no saint to many of her critics"Washington Post 
  26. "On the Same Page – Amit Chaudhuri – Mar 18,2013" 
  27. "City of Doubts: Kolkata's Uneasy Love for Mother Teresa – New America Media"। ২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  28. Crawley, William (২৬ আগস্ট ২০১০)। "Mother Teresa: The Final Verdict?"BBC। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসে ২০১৫ 

পঠনীয় রচনাদি[সম্পাদনা]