ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল
ময়মনসিংহ-১০ আসনের
সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০১৪
পূর্বসূরীগিয়াস উদ্দিন আহমেদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1976-09-09) সেপ্টেম্বর ৯, ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মাতামাহফুজা গোলন্দাজ
পিতাআলতাফ হোসেন গোলন্দাজ
পেশারাজনীতিবিদ

ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (জন্ম ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে একাধিকবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ১৯৭৬ সালের ২৩শে জুন জেলার গফরগাঁও থানার বাগুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ ও মাতার নাম মাহফুজা গোলন্দাজ। আলতাফ হোসেন ৩ বার সংসদ সদস্য ও ১ বার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। ফাহমী মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।[১]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে গফরগাঁও উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং ১,৮৫,০৭৮ ভোট পেয়ে খেলাফত মজলিসের নুরুল ইসলাম খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। বিএনপি সহ বিরোধী দল সমূহ নির্বাচন বর্জন করায় আর কোন প্রার্থী ছিল না। দশম সংসদের মেয়াদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।


তিনি বর্তমানে গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করছেন।[২] ৩০ এপ্রিল ২০১৬ সালে জেলা কাউন্সিল হলে ২০১৮ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার কমিটি অনুমোদিত হলে বাবেল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন।[৩] ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন এবং মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২,৮১,২৩০ ভোট পেয়ে ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।[৪]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

ফাহমির বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৪ জুন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তাকে মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে সেই কর্মকর্তা গফরগাঁও থানায় মামলা করেন। তবে ফাহমি এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে গফরগাঁও উপজেলার চেয়ারম্যান থাকার সময় থেকেই ফাহমির বিরুদ্ধে ক্যাডার পালনের অভিযোগ আছে। তার ক্যাডারদের হাতে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা ও হামলার অভিযোগ আছে। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন ময়মনসিংহ-১০ আসনের পূর্ববর্তী সাংসদ গিয়াস উদ্দিন তাকে হত্যার চেষ্টা চলছে জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট চিঠি দেন; যেখানে হত্যাচেষ্টার তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে ফাহমি গোলন্দাজের নাম উল্লেখ করা হয়।[৫][৬]

২০১৮ সালে ফাহমি গোলন্দাজ দ্বিতীয় দফায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে নিজ দলের ভিন্ন নেতার অনুসারী নেতা-কর্মী এবং তার বিরোধিতা করা ব্যক্তিদের ওপর হামলা ও এলাকাছাড়া করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "হলফনামা" (পিডিএফ)119.40.90.133। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি"www.parliament.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৮ 
  3. "ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন"। ২০১৮-০৯-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৮ 
  4. "আ'লীগের একক প্রার্থী ২৫৮, শরিকরা ৪২"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৮ 
  5. হোসেন, আনোয়ার; পারভেজ, কামরান (৫ অক্টোবর ২০১৩)। "বিতর্কিত সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ 
  6. "গফরগাঁওয়ে এমপি গিয়াসকে হত্যার হুমকি : থানায় জিডি"দৈনিক যুগান্তর। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ 
  7. জায়িফ, আহমেদ (২৬ অক্টোবর ২০১৮)। "'গোলন্দাজ বাহিনী'তে পিষ্ট আওয়ামী লীগ"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ 
  8. রায়হান, জহির (১৩ আগস্ট ২০২২)। "গোলন্দাজের 'ত্রাসের রাজত্ব' গফরগাঁওয়ে"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২২