ডগি ব্রাউন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডগি ব্রাউন
২০০৬ সালে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে ব্যাটিংকালে ডগি ব্রাউন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডগলাস রবার্ট ব্রাউন
জন্ম (1969-10-29) ২৯ অক্টোবর ১৯৬৯ (বয়স ৫৪)
স্টার্লিং, স্কটল্যান্ড
উচ্চতা৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৭/২২)
১১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ 
ইংল্যান্ড বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২২ মার্চ ২০০৭ 
স্কটল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডস
টি২০আই অভিষেক১২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
স্কটল্যান্ড বনাম পাকিস্তান
শেষ টি২০আই১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
স্কটল্যান্ড বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯২–২০০৬ওয়ারউইকশায়ার
১৯৯৬ওয়েলিংটন
২০০০এমসিসি
২০০৩নামিবিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই টি২০আই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৫ ২০৯ ৩১৪
রানের সংখ্যা ৩১৯ ৮,৫১১ ৪,৮৮৩
ব্যাটিং গড় ১৭.৭২ ১.০০ ৩০.৬১ ২২.৮১
১০০/৫০ ০/১ ০/০ ১০/৪৪ ১/২৩
সর্বোচ্চ রান ৫০* ২০৩ ১০৮
বল করেছে ৯৫৩ ২৪ ৩০,৮৫৫ ১২,৯৪২
উইকেট ২২ ৫৬৭ ৩৭০
বোলিং গড় ৪১.৭৭ ২৮.৫৩ ২৬.৯৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ২১
ম্যাচে ১০ উইকেট - - -
সেরা বোলিং ৩/৩৭ ৮/৮৯ ৫/৩১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ০/– ১৩০/– ৭৬/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

ডগলাস রবার্ট ব্রাউন (ইংরেজি: Dougie Brown; জন্ম: ২৯ অক্টোবর, ১৯৬৯) স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক ইংরেজ, স্কটল্যান্ডীয় ও নামিবীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সময়কালে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া - এ তিনটি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন ডগি ব্রাউন

বর্তমানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার পর স্কটল্যান্ডের পক্ষে ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

অলোয়া একাডেমিতে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর ক্ল্যাকম্যাননান কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেন। স্কটল্যান্ডের পক্ষে অনূর্ধ্ব-১৮ দলের পক্ষে ফুটবল খেলায় অংশ নেন। ফেলথাম রাগবি ফুটবল ক্লাবে ফুলব্যাক অবস্থানে খেললেও অচিরেই ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হন তিনি।

স্কটল্যান্ড দলে খেলাকালীন ১৯৯২ সালে ওয়ারউইকশায়ার কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন তিনি। দলটির সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হন ও একই বছরে অভিষেক ঘটে তার। এরপর থেকেই সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবন এ দলটিতে পার করে দেন। এ সময়কালে ১২৫০০ এর অধিক রান তুলেন এবং প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটলিস্ট এ ক্রিকেট মিলিয়ে ৮৫০ এর অধিক উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও উত্তর বার্মিংহাম ক্লাব, অ্যাস্টন ইউনিটি সিসি’র পক্ষে খেলেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে শারজায় অনুষ্ঠিত চারদেশীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার জন্যে ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ১১ ডিসেম্বর স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৭ রানের স্বল্প ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড দল। খেলায় তিনি কোন উইকেট পাননি ও ৬ রান তুলতে সমর্থ হন। তবে ১৩ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের পরবর্তী খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। খেলার প্রথম বলেই ফিলো ওয়ালেসকে আউট করেন তিনি। এরপর ওয়ারউইকশায়ারের দলীয় সঙ্গী ও তৎকালীন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় ব্রায়ান লারাকে দুই বল পরই লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ড দল খুব সহজেই জয় পায়। এ খেলার পর একদিনের দলের বাইরে রাখা হয় তাকে। ১৯৯৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিজেকে আরেকবার পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। এটিই তার ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ ছিল।

২০০৫ সালের আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় স্কটল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি ১১ উইকেট দখল করেন। পাশাপাশি চূড়ান্ত খেলায় ৫৯ রান তুলে দলের শিরোপা নিশ্চিত করেন। ফলশ্রুতিতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে স্কটল্যান্ডকে একদিনের আন্তর্জাতিক খেলার মর্যাদা দেয়া হয়। এরপর থেকেই ডগি ব্রাউন ২০০৬ সালের ইউরোপীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ, ২০০৭ সালের বিশ্ব ক্রিকেট লীগ ও ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন।[১][২][৩]

ওয়ারউইকশায়ার ও নর্দাম্পটনশায়ার স্টিলব্যাকসের মধ্যকার খেলায় পেশির টান পান। এরফলে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।[৪]

কোচিং[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নামিবিয়া দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন ডগি ব্রাউন। এছাড়াও, ২০০২-০৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে দলটির কোচের দায়িত্বে থাকাকালীন বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। ক্রিকেটের বাইরে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।

২০০৭ মৌসুম শেষে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ওয়ারউইকশায়ারের কোচের দায়িত্বে ছিলেন।[৫] কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভের পূর্বে তিনি দলকে ২০১৪ সালের টি২০ ব্ল্যাস্ট ও ২০১৬ সালের রয়্যাল লন্ডন ওয়ান-ডে কাপের শিরোপা আনয়ণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।[৬][৭][৮]

জানুয়ারি, ২০১৭ সালে সাময়িকভাবে কোচের দায়িত্ব পালনকারী ওয়াইজ শায়ের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান কোচ হিসেবে ডগি ব্রাউনকে মনোনয়ন দেয়া হয়।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Scotland name experienced World Cup squad
  2. Scotland name summer squad
  3. England's greatest allrounder
  4. "Undercooked"। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  5. Brown earns top Warwickshire job
  6. Brown strong contender for Netherlands post
  7. Moment is right for Dougie Brown
  8. Warwickshire part with Brown, eye Giles
  9. "UAE celebrate new captain and coach appointments with win over Hong Kong", The National, 26 January 2017. Retrieved 3 February 2017.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]