কোয়েটা জেলা

স্থানাঙ্ক: ৩০°১০′ উত্তর ৬৭°০০′ পূর্ব / ৩০.১৬৭° উত্তর ৬৭.০০০° পূর্ব / 30.167; 67.000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোয়েটা
کوئٹہ
জেলা
বেলুচিস্তানে কোয়েটা জেলার অবস্থান
বেলুচিস্তানে কোয়েটা জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩০°১০′ উত্তর ৬৭°০০′ পূর্ব / ৩০.১৬৭° উত্তর ৬৭.০০০° পূর্ব / 30.167; 67.000
দেশ পাকিস্তান
প্রদেশবেলুচিস্তান
বিভাগকোয়েটা বিভাগ
প্রতিষ্ঠাএপ্রিল ১৯৮৩
জেলাসদরকোয়েটা
সরকার
 • উপ-কমিশনারলতিফ কাকার[১]
 • জেলা মেয়রকালিমুল্লাহ কাকার
আয়তন[২]
 • মোট২,৬৫৩ বর্গকিমি (১,০২৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১৭)[৩]
 • মোট২২,৭৫,৬৯৯
 • জনঘনত্ব৮৬০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলপিকেটি (ইউটিসি+০৫:০০)
তহশীলের সংখ্যা
ওয়েবসাইটwww.balochistan.gov.pk

কোয়েটা (পশতু: کوټه, উর্দু: کوئٹہ‎‎) পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোয়েটা বিভাগের একটি জেলা। কোয়েটা জেলা এর কৃষিপণ্যের জন্য বিখ্যাত, বিশেষত কোয়েটার আপেলআঙুরের বাগান বেশি বিখ্যাত। কোয়েটা জেলার হান্না উপত্যকায় কাঠবাদাম উৎপন্ন হয়। ১৯৯৮ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী কোয়েটা জেলার জনসংখ্যা ছিল ৭,৬০,০০০, যেখানে ২০১০ সালে আনুমানিক জনসংখ্যা ১২,৩৫,০০০।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কোয়েটার প্রাচীন নাম ছিল শালকোট। এই নামে অঞ্চলটি এখনও পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে এই অঞ্চল গজনভি, ঘুরি, মঙ্গোল সাম্রাজ্যের শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে অঞ্চলটিকে হেরাতের শাসকরা শাহ বেগ আর্ঘুনকে প্রদান করে। কিন্তু মুঘলদের উদীয়মান শক্তির সামনে তিনি পালাতে বাধ্য হন। পিশীন ও শালকোট উভয় স্থান থেকেই আকবরের নিকট সামরিক শক্তি ও রাজস্ব যেত বলে আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়। যদিও এই অঞ্চলটি পরবর্তীতে কান্দাহারের সাথে সাফাভি সাম্রাজ্যের হস্তগত হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে কান্দাহারে খলজিদের ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এককালে শক্তিশালী বেলুচ ও আফগানদের যুদ্ধের ক্ষেত্র হয়ে ওঠে কালাত, কোয়েটা এবং পিশীন। কিন্তু ১৭৫১ সালে ইরানে ইরানিদের বিরুদ্ধে, ১৭৬১ সালে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠাদের বিরুদ্ধে এবং ১৭৬৫ সালে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফগানদের সহায়তায় বেলুচ সৈন্যদের অংশগ্রহণের জন্য আফগান শাসক আহমদ শাহ দুররানি কালাতের খান মীর নুরী নাসির খান বেলুচের হাতে কোয়েটা হস্তান্তর করেন।[৫]

ব্রিটিশ শাসন[সম্পাদনা]

১৮৭৯ সালে দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ বাহিনী কোয়েটা (শালকোট) দখল করে নেয়।

ভারতবর্ষে ইংরেজদের আধিপত্য বিস্তারের মধ্যে, ১৮৩৯ সালে শালকোটের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে ক্যাপ্টেন বিনকে নিযুক্ত করা হয়। তিনি শাহ সুজা-উল-মুলকের হয়ে এই অঞ্চল শাসন করেন। ১৮৭৬ সালে স্যার রবার্ট স্যান্ডিম্যান কোয়েটা দুর্গ দখল করে নেন এবং ১৮৮৩ পর্যন্ত কালাতের খানদের নামে পরিচালনা করেন। ১৮৮৩ সালে ব্রিটিশ সরকার ২৫,০০০ রুপির বিনিময়ে খানদের কাছ থেকে অঞ্চলটি ইজারা নেয়। পিশীন, শোরারুদ এবং কোয়েটা একই প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৯৫-৯৬ সালের আফগানিস্তানের সীমানা নির্ধারিত হয়ে যায়।[৫]

শালকোট শহরের মূল বাসিন্দারা ছিল কাসি জনগোষ্ঠীর। কান্দাহারের উপকণ্ঠে হওয়ায় এই শহরটি তত উন্নত ছিল না। ব্রিটিশদের আগমনের সাথে এই শহরের উন্নয়নের সূচনা ঘটে। ব্রিটিশরা এই অঞ্চলে সড়ক, রেল ও বিদ্যালয় নির্মাণ করে।

প্রশাসন[সম্পাদনা]

জেলার বিভাগ[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালে কোয়েটা ভেঙে পিশীন জেলা গঠিত হয়। বর্তমানে কোয়েটা জেলায় দুইটি শহর,[৬] একটি উপ-তহশিল এবং ৬৭টি ইউনিয়ন কাউন্সিল আছে। ২০০১ সালে কোয়েটাকে নগর জেলা ঘোষণা করা হয়।

  • জারগুন তহশিল
  • চিলতান তহশিল
  • পাঞ্জপাই উপ-তহশিল

প্রাদেশিক পরিষদ[সম্পাদনা]

বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের ৬ জন সদস্য কোয়েটা থেকে নির্বাচিত হন।[৭]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

১৯৯৮ সালের জনগণনা অনুসারে, কোয়েটা জেলার ৭৪% মানুষ শহরে বাস করে।[৮] জেলার প্রধান ধর্ম ইসলাম (৯৬%), এছাড়াও খ্রিস্টান (২.৭%) এবং হিন্দু ধর্মের (০.৫%) লোকেরাও বাস করে।[৯] ১৯৯৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী (৩০%) লোকের মাতৃভাষা পশতু, (২৮%) লোকের বেলুচি এবং (১৬%) লোকের মাতৃভাষা পাঞ্জাবি[১০] বেলুচিদের মধ্যে অনেকে ব্রাহুই ভাষাতেও কথা বলে। এই অঞ্চলে হাজারা জনগোষ্ঠীরও বসবাস রয়েছে।[১১]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. 1998 Census, পৃ. 1।
  3. "DISTRICT WISE CENSUS RESULTS CENSUS 2017" (পিডিএফ)। www.pbscensus.gov.pk। ২০১৭-০৮-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. PDD 2011, পৃ. viii।
  5. Quetta-Pishin - Imperial Gazetteer of India, v. 21, p. 13-4
  6. "Towns & Unions in the City District of Quetta"। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  7. "Provincial Assembly – Balochistan" (পিডিএফ)। ২১ মে ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  8. 1998 Census, পৃ. 17, 21।
  9. 1998 Census, পৃ. 20।
  10. 1998 Census, পৃ. 22।
  11. 1998 Census, পৃ. 7।

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • 1981 District census report of Quetta। District census report। 2। Islamabad: Population Census Organization, Statistics Division, Government of Pakistan। ১৯৮৩। 
  • 1998 District census report of Quetta। Census publication। 158। Islamabad: Population Census Organization, Statistics Division, Government of Pakistan। ২০০১। 
  • Planning & Development Department, Government of Balochistan (২০১১)। Quetta District Development Profile (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]