ইসরায়েলের মৌলিক নীতিসমূহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট, ৫০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ইসরায়েলের মৌলিক নীতিসমুহ (হিব্রু ভাষায়: חוקי היסוד‎, ħuqey ha-yesod) হলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের সাংবিধানিক আইন, যা শুধুমাত্র নেসেটের (বিভিন্ন মৌলিক আইন ও বিভাগের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে। এর অনেক আইন ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর ভিত্তি করে করা হয়, যা ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণায় বর্ণিত রয়েছে।[১] মৌলিক নীতিসমূহ রাষ্ট্রের প্রধান প্রতিষ্ঠানসমূহ কীভাবে গঠিত হবে, কী ধরনের ভূমিকা পালন করবে এবং রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে রচিত। এই মৌলিক নীতিগুলো দেশের নাগরিক অধিকার রক্ষা করে, যদিও এর আগে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ আইন দ্বারা এই ধরনের কিছু অধিকারকে সংরক্ষিত করা হয়েছিল।[২] এই মৌলিক নীতি: মানুষের মর্যাদা ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আইনি ভিত্তি প্রদান করে। এটি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষর সাথে সাংঘর্ষিক যে কোন আইনকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে। এটি জরুরি আইনের সময়ও নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করতে পারে।[৩][৪]

পটভূমি[সম্পাদনা]

ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণায় বলা হয় যে, ১ অক্টোবর ১৯৪৮-এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সংবিধান প্রণয়ন করা হবে এবং গৃহীত হবে।[৫] কিন্তু এই নির্দিষ্ট সময়সীমা আরব প্রতিবেশীদের সাথে যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে সদ্য গঠিত রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে অবাস্তব প্রমাণিত হয়। ২৫শে জানুয়ারি ১৯৪৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল, একটি গণপরিষদ নির্বাচিত করা, যেটি নতুন রাষ্ট্র সংবিধান রচনা করবে এবং অনুমোদন করবে। এটি অনেকগুলো আলোচনার পরেও সংবিধান সম্পর্কে কোন ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।

বেশ কিছু কারণের জন্য, ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন একটি সংবিধান তৈরি করতে চাননি। পরে মাত্র চার সভায় ১৯৪৯ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারিতে গণপরিষদে মধ্যবর্তীকালীন সংবিধান গৃহীত হয়, যার মানে এটা হয়ে ওঠে "প্রথম নেসেট"।[৬] নেসেট হলো সারাবিশ্বের তিনটি সার্বভৌম সংসদের একটি, যা কোন বিধিবদ্ধ সংবিধান দ্বারা আবদ্ধ নয়। অন্য দুইটি সংসদ হচ্ছে যুক্তরাজ্যনিউজিল্যান্ড। কারণ, গণপরিষদ ইসরায়েলের জন্য একটি সংবিধান রচনা করতে পারেনি, ফলে নেসেটের উপরে সংবিধান রচনার দায়িত্ব অর্পিত হয়।[৬]

মৌলিক নীতিসমূহ সব সাংবিধানিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে না এবং সেগুলো একত্রিত করে একটি বিস্তৃত সংবিধান তৈরির করার জন্য সেখানে কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা জন্য নেই। মৌলিক নীতিসমূহ যে নিয়মিত আইনের উপর প্রাধান্য পাবে তা স্পষ্ট করা নেই এবং অনেক ক্ষেত্রে যদি সমস্যা হয়, তাহলে ব্যাখ্যা করার জন্য বিচার বিভাগের উপর দায়িত্ব পড়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Basic Laws"knesset.gov.il। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৬ 
  2. Gross, Aeyal (১৯৯৮)। "The Politics of Rights in Israeli Constitutional Law": 80–118। 
  3. "Q&A on the Override Clause"en.idi.org.il। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-২২ 
  4. "Basic Law: Human Dignity and Liberty"। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৪ 
  5. "Declaration of Establishment of State of Israel"। Mfa.gov.il। ১৯৪৮-০৫-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-১৯ 
  6. "The Constituent Assembly"। Knesset.gov.il। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-২৪ 

অন্যান্য উৎস[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]