২০১৮ সালের জর্ডান বিক্ষোভ
তারিখ | ৩০ মে ২০১৮ | - ৭ জুন ২০১৮
---|---|
অবস্থান | জর্দান |
ধরন | প্রতিবাদ, সাধারণ ধর্মঘট |
কারণ | |
ফলাফল |
|
সংগঠক | শ্রমিক সংগঠন |
২০১৮ সালের জর্দান বিক্ষোভ ২০১৮ সালের ৩০ মে তারিখে হানি মুলকির সরকার জর্দান পার্লামেন্টে একটি নতুন ট্যাক্স আইন পাশ করলে তার প্রতিবাদে জর্দানের ৩০টি শ্রমিক সংগঠন কর্তৃক সংগঠিত সাধারণ ধর্মঘট সম্পর্কিত বিক্ষোভ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সমর্থিত বিলটি ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়া মুলকি দেশটির সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ কমিয়ে আনার জন্য পেশ করা হয়েছিল। নতুন কর বিল নিয়ে হানি সরকারের ব্যাখ্যা ছিল, জনসেবামূলক কাজে তহবিলের যোগান দিতে অর্থের প্রয়োজন। এছাড়া নতুন কর বিলে উচ্চআয়ের মানুষদের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। ২০১১ সালের আরব বসন্তের সময় এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা থেকে দেশটি কিছুটা বিপদমুক্ত হলে, দেশটির অর্থনীতি ঐ সহিংসতার কারণে এবং দেশটিতে সিরিয়ার বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তু চলে আসার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও জর্দান ইরাকি এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের একটি বড় অংশকে জায়গা দিয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতির উপর বিশাল এক বোঝা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জর্দানকে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শরণার্থী আশ্রয়দাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।[১]
৩১ মে হরতালের পরের দিন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ দেখিয়ে সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেয়। জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি বিক্ষোভে নতুন মাত্রা এনে দেয়, বিক্ষোভকারীরা রাজধানী আম্মানের চতুর্থ মোড়ে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে সেই রাতে অবস্থান নেয়। জনগণ ও সরকারের এই মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে সংকট নিরসনে ১ জুন জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিলটি স্থগিত করেন; সরকার বিষয়টিতে মৌনসম্মতি প্রদান করেন এবং বিবৃতি দেয় যে সিদ্ধান্তটির কারণে সরকারের কোষাগার থেকে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। হানি মুলকি ৪ জুন বাদশাহ আব্দুল্লাহর কাছে তার পদত্যাগ পত্র জমা না দেয়া পর্যন্ত মোট চারদিন চলেছিল। হানি মুলকির পদত্যাগের পর বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবীদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ওমর আল-রাজ্জাজকে নতুন সরকার গঠনের নির্দেশ দেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজ্জাজ নতুন ট্যাক্স বিল প্রত্যাহারের তার ইচ্ছা ঘোষণা করার পরেই বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
শুধুমাত্র মুসলিম ব্রাদারহুড বা বামপন্থীর মত প্রথাগত বিরোধী দলের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভটি সংগঠিত হয়নি, মধ্য ও দরিদ্র শ্রেণীর সাধারণ জনগণও বিক্ষোভেটিকে রসদ দিয়েছে। যদিও কিছু বিক্ষোভকারীরা রাতে বিভিন্ন জায়গায় টায়ারে আগুন এবং রাস্তা অবরোধ করেছিল, তবে বিক্ষোভ বেশ শান্তিপূর্ণভাবে ছিল এবং কয়েকজন নিহত হওয়ার বিষয়টিও সংবাদে এসেছে। রমজান মাস থাকায় বিক্ষোভকারীরা মূলত রাতেই তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।
বিক্ষোভের পটভূমি[সম্পাদনা]
প্রতিবাদ[সম্পাদনা]
ফলাফল[সম্পাদনা]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Jordan second largest refugee host worldwide — UNHCR"। The Jordan Times। ৮ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৮।