ভি এন জনকী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভিএন জানকী রামচন্দ্রন
வி.என்.ஜானகி
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৭ জানুয়ারী ১৯৮৮ – ৩০ জানুয়ারী ১৯৮৮
গভর্নরসুন্দর লালা খুরানা
পূর্বসূরীভি আর নেদুনচেড়িয়ান (ভারপ্রাপ্ত)
উত্তরসূরীরাষ্ট্রপতির শাসন
সংসদীয় এলাকাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি
সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম এর সভাপতি
কাজের মেয়াদ
02 জানুয়ারী 1988 – 07 ফেব্রুয়ারি 1989
পূর্বসূরীএম জি রামচন্দ্রন
উত্তরসূরীভিকে শশিকলা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মভাইকোম নারায়ণী জনকী
৩০ নভেম্বর ১৯২৩
ভাইকোম, কোট্টায়াম, ট্র্যানভাকোর রাজ্য (বর্তমানে কেরালাতে)
মৃত্যু১৯ মে ১৯৯৬(1996-05-19) (বয়স ৭২)
মাদ্রাজ (চেন্নাই)
রাজনৈতিক দলসর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম
দাম্পত্য সঙ্গীগণপতি ভাট (১৯৩৯ সালে বিয়ে - ১৯৬১ সালে বিচ্ছেদ)
এমজিআর
(১৯৬৩ সালে বিয়ে - '৮৭তে এমজিআরের দেহাবসান)
সন্তানসুরেন্দ্র
পেশাঅভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ

ভি এন জনকী (৩০ নভেম্বর ১৯২৩ - ১৯ মে ১৯৯৬; জন্মনামঃ ভাইকোম নারায়ণী জনকী), সাধারণভাবে জনকী রামচন্দ্রন নামে পরিচিত,[১] একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং তামিলনাড়ু প্রদেশের একজন আন্দোলন কর্মী ছিলেন। জনকী ছিলেন তামিল চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা এম জি রামচন্দ্রন এর সহধর্মিনী।

১৯৮৮ সালের ৭ই জানুয়ারী থেকে ৩০শে জানুয়ারী পর্যন্ত জনকী মাত্র ২৪ দিনের জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে তার সরকারের মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত করতে হয়।

পূর্ব জীবন[সম্পাদনা]

ট্র্যানভাকোর রাজ্যের কোট্টায়াম জেলার ভাইকোম শহরে জনকীর জন্ম হয়েছিলো[২], তার পরিবার তামিল এবং মালয়ালম দুই ভাষাই জানতো। জনকীর বাবার নাম ছিলো রাজগোপাল আইয়ার, এই রাজগোপাল তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরের একজন ভালো ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে ছিলেন, তার ভাই পাপানাসাম সিভান (১৮৯০-১৯৭৩) একজন গায়ক ছিলেন।[৩] জনকীর মাতা নারায়ণী আম্মা মালয়ালমভাষী ছিলেন, তিনি ছিলেন ভাইকোমের একজন মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের সদস্য। জনকী ১৯৩৯ সালে গণপতি ভাট নামের একজনকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের সুরেন্দ্র নামের একটি ছেলে হয় যে পরে এমজিআর এর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের স্বত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলো।[৪] ১৯৬৩ সালে জনকী এমজিআরকে বিয়ে করেন এবং তারা বাচ্চা নেননি, এমজিআরের মৃত্যু পর্যন্ত তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন জনকী।[৫]

চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং এমজিআরের সঙ্গে প্রণয়[সম্পাদনা]

১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে জনকী তামিল চলচ্চিত্রে শিল্পে মোটামুটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি ২৫টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তন্মধ্যে মোহিনী (১৯৪৮), রাজা মুক্তি, ভেলাইকারি, আয়িরাম তালাইভাঙ্গিয়া আবুর্ভা চিন্তামানি, দেভাকী এবং মারুদানাদে ইলাভারাসি জনপ্রিয় হয়। তার অভিনীত সফল চলচ্চিত্রগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার সঙ্গে এমজিআর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতেন, এবং জনকী হয় মুখ্য অভিনেত্রী (মারুদানাদে ইলাভারাসি চলচ্চিত্রে) অথবা একটি বড় সহঅভিনেত্রীর ভূমিকায় (রাজামুক্তি, ভেলাইকারি ইত্যাদি চলচ্চিত্রে) অভিনয় করতেন। দুজনে একসঙ্গে সর্বপ্রথম মোহিনী (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন যেই চলচ্চিত্রটি তাদের দুজনের ক্যারিয়ারেই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কারণ চলচ্চিত্রটি বড় ধরনের দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলো।

এমজিআর এবং জনকী একেঅপরের প্রেমে পড়ে যান। এমজিআর এর আগে পরপর দুইবার বিয়ে করলেও তার আগের দুই স্ত্রীই বড় ধরনের অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন। জনকী এবং তার স্বামী গণপতি একেঅপরকে ভালো না বাসলেও তারা একসঙ্গেই থাকছিলেন। ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ভারতে বিয়েবিচ্ছেদ সম্পর্কিত আইন ছিলোনা। ১৯৫৬ সালের পরেও এবং এমনকি ১৯৭৬ সাল পর্যন্তও ভারতে এ-সম্পর্কিত আইন চালু হয়নি, আবার হলেও এরকম আইন ছিলো যে, যাকে তালাক দেওয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কোনো বড় ধরনের অভিযোগ আনতে হবে যেমনঃ পরকীয়া। জনকী এবং রামচন্দ্রন যেহেতু একেঅপরকে ভালোবাসতেননা তাই তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে এভাবে একসঙ্গে বাস করা সম্ভব নয় এবং তাদের ছেলে সুরেন্দ্রর বয়স ২০ বছরের উপরে চলে গিয়েছিলো। জনকী এবং রামচন্দ্রন বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এবং আদালতে জনকী পরকীয়া প্রেম করেন বলে জানান গণপতি এবং জনকী বলেন তিনি গণপতিকে ভালোবাসেননা, অবশেষে আদালত তাদের বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং জনকী এবং গণপতি তাদের ২০ বছরের চেয়েও বেশি সময় ধরে থাকা বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটান।

১৯৬৩ সালে জনকী এমজিআরকে বিয়ে করেন। এমজিআরের তৃতীয় পত্নী হন জনকী এবং এমজিআর হয়ে যান জনকীর দ্বিতীয় পতি। ১৯৬৩ সালেই জনকীর বয়স ৪০ হয়ে যায় এবং জনকী চলচ্চিত্রে সহঅভিনেত্রীর ভূমিকায়ই শুধু প্রস্তাব পাচ্ছিলেন, অভিনয় ছেড়ে দেবার সিদ্ধান নেন জনকী এবং সংসারের কাজে মনোনিবেশ করেন। জনকী-এমজিআর যুগল বাচ্চা নেননি। এমজিআর যিনি তার আগের পত্নীদ্বয়ের দ্বারাও সন্তান নেননি জনকীর ছেলে সুরেন্দ্রর প্রতি মায়া দেখানো শুরু করেন।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Leading lady"S.H. Venkatramani। India Today। ৩১ জানুয়ারি ১৯৮৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "The 'leading' lady"Vincent DSouza। The Week। ১০ জানুয়ারি ১৯৮৮। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৮ 
  3. "Thyagi (1947)"। The Hindu। ৩০ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৮ 
  4. "M G Ramachandran autobiography copyright belongs to Janaki son, rules HC"A SubramaniTimes of India। ৪ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  5. "Janaki's son alone has copyright to MGR's autobiography: court"The Hindu। ৪ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]