কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম জেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠাকাল[সম্পাদনা]

১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহরে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ ভাগে চট্টগ্রাম শহরের ফিরিঙ্গি বাজারে অবস্থিত জে এম সেন হাই স্কুলটির (যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত প্রতিষ্ঠিত) সভাপতি কেলিশহরের প্রখ্যাত আইনজীবী রমনীমোহন চক্রবর্তী স্কুলটিকে কেলিশহরে স্থান্তরিত করেন। যুদ্ধশেষে স্কুলটি যথাস্থানে নিয়ে গেলে গ্রামের বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সুবোধ রঞ্জন রায়, এডভোকেট চিত্তপ্রিয় দাশ এবং সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তীর উদ্যোগে জে এম সেন হাই স্কুলের জায়গায় ১৯৪৭ সালে কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রামের কৃষক, মজুররা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে স্কুলগৃহ নির্মান করেন এবং সরঞ্জামও তারাই যুগিয়েছেন। ১৯৪৭ সালের ১লা জানুয়ারি কেলিশহর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হরগোবিন্দ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে প্রথম বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ গঠিত হয়। ২রা জানুয়ারি রমনীমোহন চক্রবর্তীকে সভাপতি, হীরেন্দ্রলাল গুপ্তকে সহ-সভাপতি এবং সুবোধ রঞ্জন রায় সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই সঙ্গে নীরেন্দ্র লাল চৌধুরী প্রধান শিক্ষক, হরিপ্রসাদ সেন সহকারী প্রধান শিক্ষক, সরোজ রঞ্জন রায়, সামশুল আলম, ভূপেন্দ্র নাথ চৌধুরী, রাজ্যেশ্বর চক্রবর্তী, মৌলভী নুরুচ্ছফা সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। অন্নদা কুমার চৌধুরী পুকুর সহ তার ১.৮৫ একর জমি স্কূলকে শর্তহীনভাবে দান করেন। বর্তমানে স্কুলটি ঐ পুকুরের পাড়ে জমির উপরেই স্থাপিত। পুকুরের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৫১ সালের ২৭ মার্চ শরৎ এম.ই. বিদ্যালয়কে কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত করা হয়। স্কুল উদ্বোধন কালে ১০০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল।বর্তমানে তা দেড় হাজার প্রায়। এই কেলিশহরের আরেক শিক্ষানুরাগী শ্রী সুধীর কুমার চৌধুরী চারটি পুকুর স্কুলকে দান করেন, যার বাৎসরিক আয় চার লক্ষের উপরে। উক্ত অর্থ স্কুলের উন্নয়ন এবং শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]