সোনার বাংলা কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সোনার বাংলা কলেজ
নীতিবাক্যভালো ছাত্রের পাশাপাশি ভালো মানুষ গড়তে চাই
ধরনবেসরকারি কলেজ
স্থাপিত২০০০ (2000)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষআবু ছালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৪১
শিক্ষার্থীপ্রায় ১৫০০
স্নাতকউচ্চ মাধ্যমিক ও অনার্স
ঠিকানা
কুমিল্লা-বুড়িচং আঞ্চলিক সড়ক
,
শিক্ষাঙ্গনউন্নত
ভাষাবাংলা
পোশাকের রঙনীল, সাদা
ক্রীড়াভলিভল, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, ক্রিকেট
ওয়েবসাইটsbccomillaboard.edu.bd

সোনার বাংলা কলেজ (Sonar Bangla College) একটি বেসরকারি কলেজ যা কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে কুমিল্লা-বুড়িচং আঞ্চলিক সড়কের পাশে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হলেন আবু ছালেক মু. সেলিম রেজা সৌরভ।

২০০০ সালের প্রথমার্ধে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সেলিম রেজার নেতৃত্বে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ সিদ্ধান্ত নেন যে, মানসম্মত শিক্ষার জন্য বুড়িচং উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। যারই ফলশ্রুতিতে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়কের গা ঘেঁষে প্রতিষ্ঠালাভ করলো সোনার বাংলা কলেজ।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

কলেজটিতে ২ টি চার তলা ভবন (একটি মূল ভবন অন্যটি বিজ্ঞান-ভবন), একটি একতলা টিনশেড ভবন ও ১০৫ টি সিটবিশিষ্ট একটি দ্বিতল ছাত্রাবাস (হাউজ অব উইজডম) রয়েছে। প্রায় ৭০০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন অডিটোরিয়াম (শ্যামলিমা), প্রায় ২০০ জন ধারণক্ষতাসম্পন্ন আরেকটি অডিটোরিয়াম (সাগরিকা), একটি নামাজকক্ষ (প্রার্থনা), ক্যান্টিন (ক্যাফে সিক্সটিন), প্রায় ৮,০০০ বই নিয়ে একটি গ্রন্থাগার (সঞ্চয়িতা), ছাত্রীদের জন্য দুটি কমনরুম (অবকাশ ও অবসর), গেইটের বাইরে একটি সুন্দর যাত্রীছাউনী, এবং ইলেক্ট্রন, নিউরন, স্পেকট্রাম, কম্পিউটার প্লাসসহ বিষয়ভিত্তিক ল্যাব। কলেজ গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই বাম দিকে ফুলের বাগান ও পার্কিং শেড এবং ডানদিকে ভলিবল কোর্ট চোখে পড়ে। কলেজে একটি বর্গাকার খেলার মাঠ রয়েছে। তাছাড়া একটি ম্যূরাল নির্মাণ করা হবে যেটি জাতীয় দিবসগুলোর মর্ম ধারণ করে।

কলেজটি সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রায় ৪০ টি সচল সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়।

প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মোট ২৬ টি শ্রেণিকক্ষ ও ৪১ জন শিক্ষক।

খরচ[সম্পাদনা]

এ কলেজে শিক্ষার মান অনুযায়ী মাসিক বেতন নগণ্য। মাত্র ৫০০ টাকা।

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

কঠোর শৃঙ্খলা, নৈতিক শিক্ষা এবং ঈর্ষণীয় ফলাফলের জন্য এটি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। উচ্চমাধ্যমিক শাখার পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনটি বিষয়ে (ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা) অনার্স চালু আছে। উচ্চমাধ্যমিক শাখায় প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে মোট ৪৫০ জন ভর্তি করানো হয় (প্রত্যেক বিভাগে ১৫০ জন করে)। কলেজে প্রায় ৬০ জনের মত শিক্ষক, কর্মচারী রয়েছে। তাছাড়া বোর্ড পরীক্ষায় শতভাগ পাশসহ আনুপাতিক হারে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির জন্য এ কলেজের সুনাম অনেক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ফলাফলও বেশ ভালো।

উচ্চমাধ্যমিক শাখায় সকাল ১০ টা বাজে ক্লাস শুরু হয় এবং বিকেল ৪ টায় শেষ হয়। প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে সকালের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক শনিবারে সাপ্তাহিক টিউটোরিয়াল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সহঃশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

সোনার বাংলা কলেজ পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে বেশ গুরুত্ব দেয়। প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই জেলা, আঞ্চলিক ও বিভাগীয় পর্যায়ে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক, কুইজ, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে ঈর্ষণীয় ফলাফল করছে। প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে ক্লাস শেষে সাংস্কৃতিক ও ক্লাব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ডিবেটিং ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, ইকোলজি ক্লাব, রাইটার্স ক্লাব ও ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবসহ মোট ১৫ টি সক্রিয় ক্লাব রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগী করতে চালু আছে 'গাইড এন্ড মোটিভেশন প্রোগ্রাম'। নৈতিক শিক্ষার জন্য আলাদা একটি পিরিয়ড আছে। খেলাধুলার জন্য আছে স্পোর্টস ক্লাব। মানবসেবায় ব্রতী হওয়ার জন্য সক্রিয় রয়েছে রোভার স্কাউট।

এইচএসসি পরীক্ষার আগে প্রাতিষ্ঠানিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে একজনকে 'দি বেস্ট স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার', দুজনকে 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার', একজন ছেলে ও আরেকজন মেয়েকে খেলাধুলার জন্য 'অ্যাথলিট অফ দ্য ইয়ার' অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়।

শৃঙ্খলা[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ম-শৃঙ্খলার দিকে বিশেষ নজর দেয়। মূলত শৃঙ্খলাই হলে প্রতিষ্ঠানটির সফলতার মূল ভিত্তি।

সপ্তাহে একটি 'নৈতিক শিক্ষা' বিষয়ে পিরিয়ড পরিচালনা, ছাত্রদের শৃঙ্খলাপরায়ণ করে গড়ে তুলতে সোনার বাংলা কলেজের জুড়ি নেই।

অ্যালামনাই[সম্পাদনা]

প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রয়েছে একটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম। তাছাড়া দুই বছর অন্তর অন্তর ডিসেম্বর মাসে রিইউনিয়ন প্রোগ্রাম পরিচালনার রেওয়াজ রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]