মাতারবাড়ি বন্দর

স্থানাঙ্ক: ২১°৪১′২৯″ উত্তর ৯১°৫১′৩২″ পূর্ব / ২১.৬৯১৪° উত্তর ৯১.৮৫৯০° পূর্ব / 21.6914; 91.8590
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর
মানচিত্র
অবস্থান
দেশবাংলাদেশ
অবস্থানমাতারবাড়ি, মহেশখালী উপজেলা, কক্সবাজার
স্থানাঙ্ক২১°৪১′২৯″ উত্তর ৯১°৫১′৩২″ পূর্ব / ২১.৬৯১৪° উত্তর ৯১.৮৫৯০° পূর্ব / 21.6914; 91.8590
বিস্তারিত
চালু২০২৬ (2026)[১]
মালিকবাংলাদেশ সরকার
পোতাশ্রয়ের ধরনগভীর সমুদ্র বন্দর[১]
পরিসংখ্যান
ন্যাভিগেশন চ্যানেলের দৈর্ঘ্য১৪.৩ কিলোমিটার (৮.৯ মা)[১]
ন্যাভিগেশন চ্যানেলের বিস্তৃত৩৫০ মিটার (১,১৫০ ফু)
চ্যানেলে জলের গভীরতা১৬ মিটার (৫২ ফু)[১]

মাতারবাড়ি বন্দর হল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের, কক্সবাজার জেলার, মাতারবাড়ি এলাকার প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর।[২] কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা কয়লাবাহী জাহাজ ভেড়ানো জেটিকে সম্প্রসারণ করে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক বন্দর হিসাবে নির্মাণ করা হবে। এই বন্দরে অন্তত ১৫ মিটার গভীরতা বা ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে প্রবেশ করতে পারবে।[১] প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি বন্দরের গভীরতা ১৬ মিটার[১] হওয়ায় প্রতিটি জাহাজ ৮ হাজারের বেশি কন্টেইনার আনতে পারবে।[৩] বর্তমানে, ৯-মিটারের চেয়ে কম খসড়া গভীরতার জাহাজ দেশের দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম এবং মোংলাতে প্রবেশ করতে পারে। মাতারবাড়ি বন্দর স্থাপনের কাজে প্রায় ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নৌ-চ্যানেল তৈরি করছে জাইকা।[১] প্রধান ন্যাভিগেশনাল চ্যানেল ৩৫০ মিটার প্রশস্ত। সে সাথে বন্দরের অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে ১০০ মিটার দীর্ঘ জেটি।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (ECNEC) অনুমোদন দেয় ১০ মার্চ, ২০২০

২০২৬ সালের নভেম্বর গভীর সমুদ্রবন্দরটির বহুমুখী টার্মিনাল কন্টেইনার জাহাজের জন্য প্রস্তুত হবে[১] এবং ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে একটি কয়লা টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।[১][৪]


বন্দরসূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরের জেটিতে এসে ভিড়েছে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি অউসু মারো। এটিই দেশের বন্দরে নোঙর করা সবচেয়ে বড় পণ্যবাহী জাহাজ। জাহাজটি ২৩০ মিটার দীর্ঘ এবং এর গভীরতা ১৪ মিটার। মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল ২০২৩ দুপুরে মাতারবাড়ি বন্দরে এসে পৌঁছায় জাহাজটি।

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য ও বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিজেদের সক্ষমতার রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। এ বন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে ১১৩টি জাহাজ।[৪]

নির্মাণ কাজ[সম্পাদনা]

মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনায় প্রথম ধাপে রয়েছে দুটি টার্মিনাল। সাধারণ পণ্যবাহী ও কনটেইনার টার্মিনালে বড় জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) ভিড়তে পারবে, যেটি এখন বাংলাদেশের কোনো বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারে না।[১] নির্মাণের প্রথম পর্যায়ে কন্টেইনার টার্মিনালটি ১৮ হেক্টর জমিতে নির্মিত হবে এবং ৪৬০ মিটার দীর্ঘ বার্থ থাকবে। এটি ৮,০০০ টিইইউ জাহাজ ধারণ করতে সক্ষম হবে এবং এর বার্ষিক ক্ষমতা ৬,০০,০০০ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউ হবে।

পরে, কনটেইনার টার্মিনাল প্রসারিত করা হবে, ৭০ হেক্টর জমিতে, এই পর্যায়ে একটি ১,৮৫০-মিটার বার্থ থাকবে, এবং এর বার্ষিক ক্ষমতা হবে ২.৮ মিলিয়ন-টন।

প্রথম ধাপে বন্দর ও পণ্য পরিবহনের জন্য সড়ক নির্মাণসহ খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০২৬ সাল।[১]

দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত হবে তিনটি কনটেইনার টার্মিনাল। এভাবে পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে টার্মিনাল।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মাতারবাড়ীতে এখন গভীর চ্যানেল"। প্রথম আলো। ২২ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২০ 
  2. "ECNEC approves Tk 177.77 billion Matarbari deep-sea port" (ইংরেজি ভাষায়)। bdnews24.com। ১০ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২০ 
  3. "জাপানি বন্দরের আদলে হবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর | সারাদেশ"archive1.ittefaq.com.bd। ৯ আগস্ট ২০১৭। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২০ 
  4. "মাতারবাড়ি বাণিজ্যিক বন্দর নির্মাণের উপযোগী: জাইকা ইউআরএল=http://somoynews.tv/pages/details/119416/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%BE"। somoynews.tv। ৬ জুলাই ২০১৮।  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য);

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]