মোরশেদ শফিউল হাসান

মোরশেদ শফিউল হাসান
মোরশেদ শফিউল হাসান
জন্ম	২১ মার্চ ১৯৫৩ (বয়স ৭১); চট্টগ্রাম
জাতীয়তা	বাংলাদেশী
নাগরিকত্ব	বাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তন	ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশা	শিক্ষকতা, লেখক
পরিচিতির কারণ	প্রাবন্ধিক, গবেষক, সমালোচক ও কবি
অফিস	প্রথমা[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পুরস্কার	বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৬

মোরশেদ শফিউল হাসান (জন্ম: ২১ মার্চ ১৯৫৩) বাংলাদেশের একজন প্রাবন্ধিক, গবেষক, সমালোচক ও কবি। প্রবন্ধ ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। ^[১]^[২]

জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়[সম্পাদনা]

১৯৫৩ সালের ২১ মার্চ চট্টগ্রামে জন্ম মোরশেদ শফিউল হাসানের। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ইরশাদ হোসেন এবং মায়ের নাম বেগম সৈয়দুন্নেসা।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

পড়াশোনা করেছেন পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন মোরশেদ শফিউল হাসান।^[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পেশাগত জীবনের শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে। দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার, দৈনিক জনপদ’র সহ-সম্পাদক এবং দৈনিক গণকণ্ঠ ও বাংলার বাণীর সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন মোরশেদ শফিউল হাসান। আহমদ ছফা সম্পাদিত সাপ্তাহিক উত্তরণ-এর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৮৪ সালে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রভাষক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং ২০১১ সালে ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর নেন।^[৪] মাঝে দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে পাঠদান ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ইত্যাদিতে কাজ করেছেন তিনি। শিক্ষকতা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রথমা প্রকাশন-এ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। ^[৫]

সাহিত্য চর্চা[সম্পাদনা]

স্কুল জীবনেই লেখালেখির শুরু করেন মোরশেদ শফিউল হাসান। নিয়মিত ছড়া, কবিতা লিখতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন সময়ে ভিয়েতনাম মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে প্রধানত কিশোরদের জন্য লেখা তার ’’অবাক নাম ভিয়েতনাম’’ বইটি প্রকাশিত হয়। তরুণ বয়সেই তিনি রোকেয়া-গবেষক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। রোকেয়া বিষয়ে লেখা তাঁর প্রথম বই ’’বেগম রোকেয়া : সময় ও সাহিত্য’’ যা ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। রোকেয়া বিষয়ে ঢাকা ও কলকাতা থেকে তাঁর আরও দুটি বই যথাক্রমে ’’রোকেয়া : কালে ও কালোত্তরে’’ এবং ’’রোকেয়া : পাঠ ও মূল্যায়ন’’ প্রকাশিত হয়েছে। স্বনামে ও বেনামে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের বেশি। এর মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ, গবেষণা, কবিতা, উপন্যাস, অনুবাদ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, জীবনী, জনপ্রিয় বিজ্ঞান, সাময়িক প্রসঙ্গধর্মী বা সামাজিক-রাজনতিক বিশ্লেষণমূলক রচনা ইত্যাদি। হাসান শফি ও শাকিনা হাসীন নামেও বেশ কিছু বই লিখেছেন। ^[৬]^[৭]

প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

অবাক নাম ভিয়েতনাম, ৪র্থ সংস্করণ, মওলা ব্রাদার্স, ঢাকা (২০০০)
ইসলাম ও মৌলবাদ, প্রকাশক : প্রতিপক্ষ, ঢাকা (১৯৮৯)
ধর্ম ও ধর্মের রাজনীতি, প্রকাশক : প্যাপিরাস, ঢাকা (১৯৯৬)
পাকিস্তানবাদের বিরুদ্ধে, প্রকাশক : আজিম এণ্ড ব্রাদার্স, ঢাকা (১৯৯০)
সময়ের মুখোমুখি, প্রকাশক : পাঠক সমাবেশ, ঢাকা (১৯৯৪)
পাউডার পাঁচালি, প্রকাশক : সালমার, ঢাকা (১৯৯৭)
রাজনীতিহীনতার রাজনীতি, প্রকাশক : উত্তরণ, ঢাকা (২০০১)
ছফা ভাই: আমার দেখা আমার চেনা : মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা (২০০২)
বিশ্বায়নের কবলে বাংলা, প্রকাশক : অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা (২০০৮)
আমাজন অরণ্যের বীর, প্রকাশক : সুবর্ণ, ঢাকা (২০০৮)
স্রোতের বাইরে, প্রকাশক : শোভা প্রকাশ, ঢাকা (২০১১) ^[৮]
পূর্ব বাঙলার চিন্তাচর্চা (১৯৪৭-১৯৭০): দ্বন্দ্ব ও প্রতিক্রিয়া, অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা (২০১২)
স্বাধীনতার পটভূমি : ১৯৬০ দশক, অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা (২০১৪)
একাত্তর, অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা
বেগম রোকেয়া: সময় ও সাহিত্য, (২য় সং) মওলা ব্রাদার্স, ঢাকা (১৯৯৬)
অবাক নাম ভিয়েতনাম, অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা
রবীন্দ্রনাথ : অন্য আলোয়, অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা
বদ্ধিমুক্তির দায় ও দায়িত্ব, ২য় সং, অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা, (২০১৩)
হীনন্মন্যতার বিপক্ষে, মওলা ব্রাদার্স, ঢাকা (২০১১)
ছোটদের গ্যালিলিও, কথা প্রকাশন, ঢাকা, ৩য় সং (২০১৬)
বুলবুল চৌধুরী, তাঁর শিল্প অভিযান, অক্ষর প্রকাশনী, ঢাকা (২০১৩)

সম্পাদনা[সম্পাদনা]

আহমদ ছফা স্মারকগ্রন্থ, প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা (২০০৩)

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, (২০১৬ )
আহমদ ছফা সাহিত্য পুরস্কার (২০১৬)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ Bhorerkagoj। "সাক্ষাৎকার > সেই গোড়া থেকেই বইমেলার সঙ্গে পরিচয় : মোরশেদ শফিউল হাসান"। www.bhorerkagoj.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।
↑ "Reluctant Thinkers"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।
↑ "জাতির মননচর্চার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে তার প্রবন্ধ সাহিত্য: ড. মোরশেদ"। প্রিয়.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।
↑ BanglaNews24.com। "আনন্দদায়ক শিশুশিক্ষার প্রত্যয়ে বাতিঘরের যাত্রা"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।
↑ "দুটি তথ্যের প্রতিবাদ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।
↑ "মোরশেদ শফিউল হাসান – কালি ও কলম"। www.kaliokalam.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।
↑ "জনযুদ্ধের সেই চেহারা এই বইয়ে প্রতিফলিত হয়েছে"। www.channelionline.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।
↑ "হাসান শফি | মতামত"। মতামত-বিশ্লেষণ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৮-১২। ২০২০-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]

[1] Bhorerkagoj। "সাক্ষাৎকার > সেই গোড়া থেকেই বইমেলার সঙ্গে পরিচয় : মোরশেদ শফিউল হাসান"। www.bhorerkagoj.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[2] "Reluctant Thinkers"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[3] "জাতির মননচর্চার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে তার প্রবন্ধ সাহিত্য: ড. মোরশেদ"। প্রিয়.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[4] BanglaNews24.com। "আনন্দদায়ক শিশুশিক্ষার প্রত্যয়ে বাতিঘরের যাত্রা"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[5] "দুটি তথ্যের প্রতিবাদ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[6] "মোরশেদ শফিউল হাসান – কালি ও কলম"। www.kaliokalam.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[7] "জনযুদ্ধের সেই চেহারা এই বইয়ে প্রতিফলিত হয়েছে"। www.channelionline.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[8] "হাসান শফি | মতামত"। মতামত-বিশ্লেষণ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৮-১২। ২০২০-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০১।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

দে স প্রবন্ধ ও গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
১৯৬০–১৯৬৯	মুহাম্মদ আবদুল্লাহ-হিল কাফি (১৯৬০) মুহম্মদ আবদুল হাই (১৯৬১) আকবর আলী (১৯৬২) আবদুল কাদির (১৯৬৩) মুহম্মদ এনামুল হক (১৯৬৪) মোহাম্মদ মনসুরউদ্দীন (১৯৬৫) কাজী মোতাহার হোসেন (১৯৬৬) মযহারুল ইসলাম (১৯৬৭) আহমদ শরীফ (১৯৬৮) নীলিমা ইব্রাহিম (১৯৬৯)
১৯৭০–১৯৭৯	আনিসুজ্জামান (১৯৭০) মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (১৯৭১) বদরুদ্দীন উমর (১৯৭২) সৈয়দ মুর্তাজা আলী (১৯৭৩) মোবাশ্বের আলী (১৯৭৪) আলী আহমদ (১৯৭৫) মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন কাসিমপুরী (১৯৭৬) মমতাজুর রহমান তরফদার (১৯৭৭) সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (১৯৭৮) আহমদ রফিক (১৯৭৯)
১৯৮০–১৯৮৯	আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ (১৯৮০) আবুল কাসেম ফজলুল হক (১৯৮১) আবদুল মান্নান সৈয়দ (১৯৮১) গোলাম মুরশিদ (১৯৮২) মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৮২) শাহ আবুল হাসনাৎ মোহাম্মদ ইসমাইল (১৯৮৩) আবদুল জব্বার (১৯৮৩) মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (১৯৮৪) রফিকুল ইসলাম (১৯৮৪)
২০০০–২০০৯	শামসুজ্জামান খান (২০০১) মোবারক হোসেন খান (২০০২) সাঈদ-উর-রহমান (২০০৩) আসাদ্দর আলী (২০০৪) আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া (২০০৫) আলী আনোয়ার (২০০৬) যতীন সরকার (২০০৭) করুণাময় গোস্বামী (২০০৮) আবুল আহসান চৌধুরী (২০০৯)
২০১০–২০১৯	খান সারওয়ার মুরশিদ (২০১০) প্রবন্ধ: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, গবেষণা: বিশ্বজিৎ ঘোষ (২০১১) প্রবন্ধ: সনৎ কুমার সাহা, গবেষণা: খোন্দকার সিরাজুল হক (২০১২) প্রবন্ধ: মফিদুল হক, গবেষণা: জামিল চৌধুরী ও প্রভাংশু ত্রিপুরা (২০১৩) প্রবন্ধ: শান্তনু কায়সার, গবেষণা: ভূঁইয়া ইকবাল (২০১৪) প্রবন্ধ: আবুল মোমেন ও আতিউর রহমান, গবেষণা: মনিরুজ্জামান (২০১৫) মোরশেদ শফিউল হাসান (২০১৬) প্রবন্ধ: মাহবুবুল হক, গবেষণা: রফিকউল্লাহ্ খান (২০১৭) সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ (২০১৮) প্রবন্ধ: স্বরোচিষ সরকার, গবেষণা: রফিকুল ইসলাম (২০১৯)
২০২০–২০২৯	প্রবন্ধ ও গবেষণা: বেগম আকতার কামাল (২০২০) প্রবন্ধ ও গবেষণা: হোসেনউদ্দীন হোসেন (২০২১) প্রবন্ধ ও গবেষণা: মাসুদুজ্জামান (২০২২) প্রবন্ধ ও গবেষণা: জুলফিকার মতিন (২০২৩)